নিরামিষ চাল কুমড়ো রান্না।
কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
মাছ মাংস বা মসলাদার খাবার সব সময় খেতে খেতে মাঝেমধ্যে ইচ্ছা করে একদম হালকা-পাতলা কিছু রান্না করে খেতে। তাছাড়াও মাঝেমধ্যে যে ভীষণ গরম পরছে তাতে মশলা যুক্ত খাবার শরীরের জন্য যেন অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়ছে। তাই আজকে রান্না করব একদমই বিনা মশলার নিরামিষ চাল কুমড়ো। চাল কুমড়া খাওয়া শরীরের জন্য অনেক উপকার। যারা নিরামিষ খেতে খুব পছন্দ করে বা নিরামিষ খাবার খায় তাদের জন্য এই রান্নাটি হতে পারে অনেক বেশি প্রিয় এবং সুস্বাদু। তবে এই রান্নাটা বিনা মসলায় একদম হালকা হলেও খেতে কিন্তু অনেক বেশি সুস্বাদু হয়ে থাকে। চাল কুমড়ো বাড়িতে আসলে আমি মসলা না দিয়ে এইভাবে হালকা পাতলা রান্না প্রায়ই করে থাকি। আমার বাড়ির সবাই এরকম হালকা পাতলা রান্না খেতে খুবই পছন্দ করে। খুবই কম উপকরণে এবং অল্প সময়ের মধ্যে চটজলদি তৈরি হয়ে যায় এই নিরামিষ রান্নাটি। তাহলে চলুন বেশি কথা না বাড়িয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করি এই নিরামিষ চাল কুমড়া রান্নার রেসিপি।
--} নিরামিষ চাল কুমড়ো রান্নার উপকরণ {--
চাল কুমড়ো
কাঁচা লঙ্কা
হলুদ
লবণ
গোটা জিরে
তেল
-}} নিরামিষ চাল কুমড়ো রান্নার পদ্ধতি {{-
নিরামিষ চাল কুমড়া রান্না করার জন্য প্রথমে আমি চাল কুমড়োটাকে ভালো করে খোসা ছিলে ধুয়ে নিলাম। সুন্দর করে পরিষ্কার জলে কয়েকবার ধুয়ে চৌকো আকার করে ছোট ছোট করে কেটে নিলাম। এবার বেশ কয়েকটা কাঁচা লঙ্কা মাঝখান থেকে চিরে নিলাম।
কড়াইতে এক চামচ পরিমাণ তেল দিয়ে দিলাম। তেল একটু গরম হয়ে আসলে আমি দিয়ে দিলাম অর্ধেক চামচ মত জিরে ফোড়ন। আসলে এই রান্নাতে রাঁধুনি ফোড়ন দিতে হয়। কিন্তু রান্না করার সময় দেখতে পেলাম যে রাঁধুনিটা ফুরিয়ে গেছে তাই বাধ্য হয়ে জিরে দিতে হলো। রাধুনী দিলে অসম্ভব সুন্দর একটা সুগন্ধ ছড়ায়। কয়েক সেকেন্ড জিরে নাড়াচাড়া করে ভাজা হয়ে আসলেই দিয়ে দিলাম কেটে রাখা চাল কুমড়ো।
চাল কুমড়ো জিরে এবং তেলের সাথে ভালো করে নাড়াচাড়া করে নিলাম। তারপর দিয়ে দিলাম চিরে রাখা কাঁচা লঙ্কা, হলুদ এবং লবণ। সব উপকরণ সুন্দরভাবে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে দিলাম চাল কুমড়োর সাথে। ভালো করে নাড়াচাড়া করে কিছুক্ষণের জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম। তাহলে সুন্দর করে চাল কুমড়ো সেদ্ধ হয়ে যেতে পারবে। আগে থেকে এমন হলুদ লবণ দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে সেদ্ধ করে নিলে চাল কুমড়োর স্বাদ অনেক ভালো হয়। ঢাকনা উঠিয়ে মাঝেমধ্যে নাড়াচাড়া করে নিলাম যেন কড়াইতে লেগে চাল কুমড়ো পুড়ে না যায়। চাল কুমড়া অবশ্য হালকা জল ছেড়েছে যার ফলে খুব একটা পোড়া লাগার সম্ভাবনা থাকে না।
বেশ কিছুক্ষণ ঢাকনা দিয়ে ঢেকে সেদ্ধ করে নেওয়ার পরে দেখলাম চাল কুমড়ো সুন্দর করে সিদ্ধ হয়ে গেছে এবং নরম হয়ে গেছে। এ পর্যায়ে দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো জল। জল দিয়ে ভালো করে পাঁচ থেকে সাত মিনিট জ্বাল করে নিলাম। স্বাদ ব্যালেন্স করার জন্য এক চিমটি চিনি দিয়েছি। যদিও অনেকেই রান্নায় চিনি ব্যবহার করে না তবে আমি একটু করে থাকি। বেশ কিছুক্ষণ পর দেখলাম ঝোল অনেকটাই পরিমাণ মতো চলে এসেছে এবং রান্নাও হয়ে গেছে। এবার এই নিরামিষ চাল কুমড়ো রান্না পরিবেশনের জন্য একদম প্রস্তুত। এমন করে রান্না করলে চাল কুমড়া খেতে ভীষণে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে।
ক্যামেরা পরিচিতি : Realme
ক্যামেরা মডেল : realme narzo 60 pro
ক্যামেরা লেংথ : 26 mm
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
অনেক লোভনীয় এবং মজাদার একটা রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। আপনার তৈরি করা আজকের এই রেসিপিটা দেখে আমার তো জিভে জল চলে এসেছে। রেসিপিটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে কথাটা সুস্বাদু হয়েছিল। আমার কিন্তু অনেক পছন্দ হয়েছে আপনার তৈরি করা রেসিপি। অনেক বেশি খেতেও ইচ্ছে করছে এটা।
খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন নিরামিষ চাল কুমড়োর রেসিপিটি। উপকরণ কম হলেও রান্নাটা দেখতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি স্বাস্থ্যকরও মনে হলো। ধাপে ধাপে ছবিসহ ব্যাখ্যা রান্না শিখতে অনেক সহজ করে দিয়েছে। খুব ভালো লেগেছে আপনার এই পোস্টটি।
আপনি ঠিক বলেছেন অনেক সময় হালকা মসলা যুক্ত খাবার খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপি খেতে নিশ্চয় অনেক মজার ছিল। কালারটা দারুণ এসেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
https://x.com/pussmemecoin/status/1936792534929592418?s=46&t=nHPwcg_swfA_HF8Tq9ebSw
সাধারণত সব সময় চাল কুমড়া ভাজি খাওয়া হয়।এভাবে নিরামিষ তরকারি রান্না করে খুব একটা খাওয়া হয়না। আপনি খুবই মজাদার একটি রেসিপি উপস্থাপন করেছেন আপু। আপনার তৈরি রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। দেখতেও বেশ লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সব সময় মাছ-মাংস খেতে ভালো লাগে না। মাঝেমধ্যে নিরামিষ রেসিপি খেতে বেশ মাথায় লাগে। আজকে আপনি নিরামিষ চাল কুমড়ো সবজির মজার রেসিপি করেছেন। তবে আপনার রেসিপির কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু আছে। ধন্যবাদ আপু মজার রেসিপিটি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।