আমার অতি সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ বিষয়ক আপডেট -০২
সিকিম ভ্রমণের আজ আমাদের ছিল দ্বিতীয় দিন । আগের থেকে শিডিউল করা ছিল যে আজ আমরা "নাথুলা পাস্" যাবো । বাট একেবারে তিব্বতের বর্ডারে হওয়ার কারণে এই অঞ্চলটায় বেশ কড়াকড়ি । যদিও আমাদের মিলিটারি পাস্ ছিল কিন্তু, অন্য ধরণের জটিলতায় নাথুলা পাস্ ভ্রমণ পরের দিন করা হলো ।
এই সুযোগে আমরা বেরিয়ে পড়লাম হৈ হৈ করে পুরো গ্যাংটক ঘুরে দেখতে । ঘুরতে বেরোনোর একটু পরেই বুঝতে পারলাম সমতলের মানুষদের জন্য সিকিম ভ্রমণ বেশ কষ্টসাধ্য কাজ । অসম্ভব চড়াই উৎরাই । উঠতে নামতে পায়ে হেঁটে বেশ কষ্ট হচ্ছিলো । যদিও আমাদের সর্বক্ষণের জন্য একটা বিশাল গাড়ি রিজার্ভ করা ছিল । কিন্তু, গাড়িতে করে স্পটে গিয়ে তো সেই নামতেই হয় ।
আর স্পটগুলোও হলো একদম উঁচুতে । একবার ওই উঁচুতে ওঠো তো ওই নীচে নামো । তবে, আমার জাস্ট পায়ে ব্যাথা ছাড়া আর কোনোধরনের কষ্ট অনুভূত হয়নি । শুনেছি অনেকের শাসকষ্ট হয়, কারো বুকে ব্যাথা করে, কেউ মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে যায় । বাট, আমরা এনজয় করেছি । কারো কিছু হয়নি ।
এইদিন আমরা ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা অবধি ঘুরেছি । অর্কিড ফ্লাওয়ার গার্ডেন, মনাস্ট্রি, গণেশতক, ওয়াইল্ড লাইফ ফরেস্ট এবং ওয়াটার ফলস সব ঘুরে ঘুরে দেখলুম ।
কয়েকটা প্রাচীন সিকিম আর্ট । আমার হোটেলের লাউঞ্জ থেকে তোলা পিক ।
তারিখ : ১৪ নভেম্বর ২০২২
সময় : সকাল ১০ টা ২০ মিনিট
স্থান : গ্যাংটক, সিকিম, ভারত ।
গ্যাংটকের একটি পুষ্প উদ্যান ।
তারিখ : ১৪ নভেম্বর ২০২২
সময় : সকাল ১০ টা ৪০ মিনিট
স্থান : গ্যাংটক, সিকিম, ভারত ।
গ্যাংটকের অর্কিড হাউজ । এটি একটি নামকরা গ্রীন হাউজ । শীতকালে এই গ্রীন হাউজে হেক রকমের দুষ্প্রাপ্য অর্কিড ফুল দেখতে পাওয়া যায় ।
তারিখ : ১৪ নভেম্বর ২০২২
সময় : সকাল ১১ টা ০০ মিনিট
স্থান : গ্যাংটক, সিকিম, ভারত ।
সিকিমের ট্রাডিশনাল ড্রেসে আমরা ।
তারিখ : ১৪ নভেম্বর ২০২২
সময় : সকাল ১১ টা ০০ মিনিট
স্থান : গ্যাংটক, সিকিম, ভারত ।
সিকিমের Enchey Monastery । ১৯০৯ সালে প্রতিষ্ঠত এই বৌদ্ধ গুম্ফাটি খুবই চমৎকার একটি দর্শনীয় স্থান । আমরা প্রায় এক ঘন্টা অতিবাহিত করি এখানে । দারুন প্লেস ।
তারিখ : ১৪ নভেম্বর ২০২২
সময় : সকাল ১১ টা ৪০ মিনিট
স্থান : গ্যাংটক, সিকিম, ভারত ।
গুম্ফার মূল প্রবেশদ্বারের সামনে আমরা ।
তারিখ : ১৪ নভেম্বর ২০২২
সময় : সকাল ১১ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : গ্যাংটক, সিকিম, ভারত ।
"ওঁম মণিপদ্মে হুঁম" বৌদ্ধ লামাদের মহা মন্ত্র খোদাই করা জপযন্ত্র ।
তারিখ : ১৪ নভেম্বর ২০২২
সময় : সকাল ১১ টা ৫০ মিনিট
স্থান : গ্যাংটক, সিকিম, ভারত ।
গুম্ফার মূল প্রবেশদ্বারে ঢোকার দু'পাশে অনেকগুলি বৌদ্ধ দেব-দেবীর মূর্তি খোদাই করা রয়েছে ।
তারিখ : ১৪ নভেম্বর ২০২২
সময় : দুপুর ১২ টা ০০ মিনিট
স্থান : গ্যাংটক, সিকিম, ভারত ।
গুম্ফার ভেতরে রয়েছে অসংখ্য কারুকার্যখচিত নানান সব আসবাব, বৌদ্ধ দেব-দেবীর মূর্তি এবং বিশালকায় গৌতম বুদ্ধের মূর্তি ।
তারিখ : ১৪ নভেম্বর ২০২২
সময় : দুপুর ১২ টা ০৫ মিনিট
স্থান : গ্যাংটক, সিকিম, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
সিকিমের ট্রাডিশনাল ড্রেসে আপনাদেরকে যা লাগছে না দাদা। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে দেখে। প্রাচীন সিকিম আর্ট গুলো দেখছি ভীষণ সুন্দর। তার সাথে বৌদি এবং টিনটিনের দারুন সব ছবি দেখলাম। জায়গাটা সত্যি ভীষণ সুন্দর। তার উপর আবার নানান সব কারুকার্য দেখে তো অবাক। এই ধরনের কারুকার্য গুলো মাথায় আসে কিভাবে বুঝতে পারিনা। সত্যিই আপনাদের ভ্রমণটা বেশ ভালই কাটছে। আশা করি পরবর্তীতে আরও কিছু দেখতে পারবো।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
দাদা আপনার সংক্ষিপ্ত ভ্রমণের আপডেট গুলো অনেক চমৎকার!তবে আপনার মধ্যেও বেশ আপডেট আসছে দাদা!😍😍।বৌদিকে তো চেনাই যাচ্ছে না অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে।নতুন জায়গায় ভ্রমন করতে গেছেন ভালোভাবে সুন্দর সময় কাটিয়ে সুস্থভাবে ফিরে আসেন এই কামনা করি।🙏🙏
বাহ্ দাদা! সব পুরোনো স্মৃতি তরতাজা হয়ে উঠলো আমার। মনে পরে গেলো ছোটবেলায় ঘোরার কথা। আমরাও এমন ক্রেডিশনাল ড্রেস পরে ছবি তুলেছিলাম। পরে বলা ভুল হবে, ওরা একরকম জোড় করেই পরিয়েছিলো।😀 আবার যেতে ইচ্ছে হচ্ছে।
সেখানকার প্রতিটা জায়গা কতটা সুন্দর তা আপনার এত সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝা যাচ্ছে। দাদা আপনাকে এবং বৌদিকে একসাথে সেখানকার ট্রাডিশনাল ড্রেসে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। আমাদের টিনটিন বাবুকেও খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। টিনটিন বাবুর ফটোগ্রাফ দেখে বুঝতে পারছি সে কতটা আনন্দে আছে।আমার কাছে পুষ্প উদ্যান ও অর্কিড হাউজ এই দুটো জায়গা অনেক ভালো লেগেছে। দাদা আপনাদের সবার জন্য শুভকামনা রইল যাতে সুস্থ ভাবে ভ্রমণ শেষে ফিরে আসতে পারেন।ধন্যবাদ দাদা।
"নাথুলা পাস্" বাহ,খুবই সুন্দর নাম।গ্যাংটক জায়গাটি ভীষণ সুন্দর।দেখে মন ভরে গেল অসাধারণ ছবিগুলো।পাহাড়ি এলাকায় চড়াই উতরাই থাকবেই।আমিও শুনেছি দাদা অনেকের শ্বাসকষ্ট হয় উঁচু স্থানে গেলে।তৃতীয় ফুলের মধ্যে একটি পুতুলের রূপ দেখতে পেলাম।আর আপনাদের সকলকে বেশ সুন্দর দেখতে লাগছে দাদা সিকিমের ট্রাডিশনাল ড্রেসে ।ধন্যবাদ আপনাকে।
অসাধারণ বেশ কিছু দৃশ্য উপভোগ করলাম আজকের পর্বে, সত্যি বলতে আমার কাছে মনে হচ্ছে সিকিমের নতুন রাজা-রানীর উপস্থিতি দেখছি। বৌদিকে তো এই পোষাকে দারুণ লাগছে কিন্তু দাদাকে কেমন জানি অদ্ভুদ অদ্ভুদ লাগছে হা হা হা। তবে বেশ আকর্ষণবোধ করছি ভ্রমন করার জন্য। ধন্যবাদ
Well!
দাদা আপনার পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের ভ্রমনের আপডেট পেয়ে অনেক ভাল লাগলো।সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করে আমাদের কাছে প্রতিটা জায়গা তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সবাইকে অনেক মিষ্টি লাগছে দেখতে, 😍😍যদিও আপনার চোখ ঢাকা।মানুষের আসল সৌন্দর্য তার চোখে। তবুও কিউট লাগছে। সবাই সুস্থ, সুন্দরভাবে ঘুরে আসুন এই কামনাই করি। 🥰🥰🥰 ধন্যবাদ দাদা।
সিকিম ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।। ফটোগ্রাফি গুলা দেখে মনে হচ্ছে আমি যদি এমন জায়গায় ভ্রমণ করতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো হতো।।
ফটোগ্রাফির সাথে জায়গাটার খুব সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন ফটোগ্রাফি দেখে মনে হচ্ছে আমিও যেন ঘুরছি আপনাদের সাথে।।
অবশ্যই পরবর্তী পর্বগুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম। যদি কখনো যাওয়ার সুযোগ হয় তাহলে পরিচিত পরিচিত মনে হবে।।