আমার বাংলা ব্লগ। বন্ধুদের নিয়ে কাটানো কিছু মুহূর্ত। ১০% পে-আউট লাজুক খ্যাক এর জন্য।
আর দেরি না করে চলুন যাওয়া যাক মূল পর্বে।
শুক্রবার মানেই আমরা চাকরিজীবীদের জন্য একটা আনন্দঘন দিন। সবারই মাজে একটা টান টান উত্তেজনা থাকে এবং শুক্রবারে একেকটা মানুষের একেক রকম প্ল্যানিং থাকে কে কি করবে। সবাই চায় শুক্রবার এর ছুটির দিনে একটু আনন্দ গণ মুহূর্ত কাটানোর জন্য। আমিও তার ব্যতিক্রম নই, আমিও চেষ্টা করি নিজেকে ফ্রেসনেস জন্য বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেড়ানো আড্ডা দেওয়া খাওয়া-দাওয়া হই হুল্ল করে কিছু সময় কাটানো। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি আমার শুক্রবার সন্ধ্যায় কাটানো কিছু মুহূর্তের গল্প।
ফটোগ্রাফি - ১
![]() |
---|
বন্ধুদের আবদার ফেলা কি জায় ছবি তুলতে চাইলো বন্ধুর নিজের মনের মত করে একটা ছবি তুললো।
গত শুক্রবার ডিউটি শেষ করে বাসায় গেলাম দুপুর বারোটায়। ফ্রেশ হয়ে নামাজ পড়ে এসে খাওয়া-দাওয়া করে দিলাম লাম্বা একটা ঘুম। ঘুম দেওয়ার পর পাশের রুম থেকে ভাইয়ের ডাক দিয়ে উঠালো, বলছিল ঢাকা যাওয়ার জন্য ইচ্ছে ছিল না তাই যায়নি। সাড়ে চারটার দিকে উঠলাম পাঁচটার দিকে তো এমনিতেই সন্ধা হয়ে যায়। তারপর উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে নামলাম, আর চিন্তা করলাম যে কি করব, কোথায় যাব, শুক্রবার দিন পাঁচটার দিকে একা একা আনমনে হাঁটছি আর ভাবছি।
কিছুক্ষণ পর একটা বন্ধুকে ফোন দিলাম কোথায় আছেন কেমন আছে কি অবস্থা কি করেন। বললাম যে আসেন দেখা করেন বসে চা খাই, একটা রিক্সা নিয়ে গেলাম জুরাইন, তারপর দুজনের সাক্ষাৎ হলো। সাক্ষাৎ হওয়ার পরবর্তীতে দুই বন্ধুর কথোপকথন এর মাঝখানে হঠাৎ করে একটা ছেলে ফোন দিলো। যে ভাইয়া কোথায় আছেন বললাম যে জুরাইন আছি। পরে বলল যে আমি আসতেছি। পরে বন্ধু বলছিলো যে এখানে তো ঘুরার বসার কোন জায়গা নেই কোথাও যাই বসি।
ফটোগ্রাফি - ২
![]() |
---|
জুরাইন পোস্তগোলা ব্রীজের নিচে হাঁটার মুহূর্ত একটা ফটোগ্রাফি নিলাম। রাত্রে রংবেরঙের বাতির আলোয় ব্রিজের নিচে জায়গাটি বেশ আকর্ষণীয় লাগছিল তাই একটা ছবি নিলাম।
এরপর আমিও ভাবলাম যে হ্যাঁ বসে কিছুক্ষণ আড্ডা দেওয়ার দরকার। পরে বন্ধু বলল চলেন এক জায়গায় যাওয়া যাবে, কোথায় যাব বলেন, বন্ধু চলেন আগে কোন কথা নাই বার্তা নাই যেতে যেতে ঢাকায়। যেখানে নিয়ে গেছিল সে জায়গাটার নাম হচ্ছে ভিক্টোরিয়া পার্ক। সে পার্কটি অবশ্য জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। আর ওই পার্কটি মূলত ব্রিটিশদের করা।
ফটোগ্রাফি - ৩
![]() |
---|
অন্ধকারে ছবি তোলার ইচ্ছে না থাকা সত্বেও যেহেতু ভিক্টোরিয়া পার্কে কখনো আসেনি তাই একটা সেলফি নিলাম।
বাংলাদেশে অনেক সরকারের অধঃপতন হয়েছে। কিন্তু কোন সরকার ওই পার্কটিকে আয়ত্ত করে নিতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত কিছু সংস্কারের কাজ করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিল। আমি তেমন কোনো ফটোগ্রাফি নিতে পারেনি। কারন আমরা যাওয়ার পরেও এখানে প্রায় সন্ধ্যা ৭ টার মত বেজে গেছে । আর ফটোগ্রাফি অন্ধকারের মধ্যে করার চেয়ে না করাই ভালো। তবুও চিন্তা করলাম যে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতেও পারি।
ফটোগ্রাফি - ৪
![]() |
---|
আমি ভাবলাম যে এত রাতে পার্কে কেবা থাকবে। পরে গিয়ে দেখলাম যে পার্কটি উন্মুক্ত এবং খুবই সুন্দর। মনে হয় যেন পুরো ঢাকা শহরের মানুষের মুখোরিত ওই পার্কে। যে যার মতো চলছে খেলছে বসে আছে গল্প করছে খুবই সুন্দর দেখলাম দৃশ্যগুলো।
ফটোগ্রাফি - ৫
![]() |
---|
ওইখানে বসে অনেকক্ষণ আড্ডা দেওয়ার পর বন্ধুকে বললাম যে চল উঠবো এই ফাঁকে আরো দুই একটা ছবি নিলাম। তবে এই জায়গাটা সেই জায়গা বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ব্যাংক ছিল ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে। এ পার্কের পাশে আছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা যারা বাংলাদেশী বন্ধুবান্ধব আছি মোটামুটি সবাই জানি।
ফটোগ্রাফি - ৬
![]() |
---|
ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে হেঁটে বাইরের দিকে যাওয়ার মুহূর্ত রাত তো অনেক হয়ে গেছে খিদা লেগেছে প্রচুর কিছু না কিছু খেতে হবে।
ফটোগ্রাফি - ৭
![]() |
---|
তিন বন্ধু ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে বেরিয়ে দুই-তিন মিনিট হাঁটার পর একটা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে গিয়ে উঠলাম এ রেস্টুরেন্টের নাম হচ্ছে দৃষ্টি আকর্ষণ।
ফটোগ্রাফি - ৮
![]() |
---|
কথোপকথন হচ্ছে সেলফি নিচ্ছে এর মধ্যে খাবার অর্ডার পাওয়া গেল। যেহেতু বন্ধু নিয়ে এসেছে বিলটা আমাকেই দেওয়া লাগবে এতে কোন ভুল নেই। তো আমি বললাম যে খাবার তোমরা চয়েস করো কি খাবে তখন সবাই কাছি বিরানি টাই চয়েস করলো।
ফটোগ্রাফি - ৯
![]() |
---|
খাবার অলরেডি সামনে এসে পড়েছে।
ফটোগ্রাফি - ১০
![]() |
---|
বন্ধুরা আপনারা আমার খাওয়ার মোমেন্ট দেখে আবার মনে কইরেন না যে জীবনেও আমি খাচ্ছি খাইনি। আসলে বিষয়টা হচ্ছে বন্ধু-বান্ধব মানেই মজা আর মাস্তি সবশেষে একটুখানি স্বস্তি,হাহাহা।
যাইহোক অনেক ভাবনা চিন্তা করার পর আমার শুক্রবারের সন্ধ্যার সময় কাটানো মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ করে আশা করি সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন। এবং কমেন্টের মধ্যে ভালো-মন্দ জানাবেন আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।
আল্লাহ হাফেজ।
শুক্রবার মানে যে শুধু চাকরিজীবীদের জন্য স্পেশাল দিন তা নয়, ছাত্ররাও এই দিনকে ভাল উপভোগ করে। পুরো সপ্তাহ কাজ করে এই দিনে সবার একটা অবসর মেলে। অবসরের এই দিনে সবাই চায় বন্ধু-বান্ধব কিংবা কাছের মানুষদের সঙ্গে খুবই সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে। বন্ধুদের সঙ্গে আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো অনেক সুন্দর ছিল। আপনার সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনি অনেক সুন্দর করে আপনার মনের ভাবটুকু কমেন্টের মধ্যে শেয়ার করেছেন। হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন শুধু চাকরিজীবী নয় সবাই ওই দিনটিতে আনন্দ করার জন্য চেষ্টা করে।
খুবই ভালো লেগেছে যা আমি অনেক আনন্দ পেয়েছি।আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।