রাতের রংপুর শহরের শাপলা চত্বরের আলোকিত রূপে কিছু এলোমেলো ফটোগ্ৰাফি।।

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

প্রিয় হিন্দু ভাই-বোনদের জন্য আদাব ও ভালোবাসা 💗🙏। আমার প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও স্নেহ। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি, মহান আল্লাহর রহমতে এবং একে অপরের ভালোবাসায় আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও বেশ ভালো আছি।আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য,এই প্ল্যাটফর্মের সাথে আমার যাত্রা প্রায় এক বছর ধরে। সত্যি বলতে, এখানে আসতে পেরে আমার মনে হচ্ছে ! যেন নিজের আর একটি নতুন পরিবার খুঁজে পেয়েছি। প্রতিটি লেখা, প্রতিটি মন্তব্য, প্রতিটি বন্ধুত্ব আমাকে দিয়েছে আনন্দ, ভালোবাসা এক নতুন অধ্যায়ের স্বাদ।আজকে আমি আপনাদের সাথে রাতের রংপুর শহরের শাপলা চত্বরের আলোকিত রূপে কিছু এলোমেলো ফটোগ্ৰাফি শেয়ার করবো ।আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

রাতের শহর সবসময়ই আলাদা এক সৌন্দর্য ধারণ করে। দিনের ভিড়, কর্মব্যস্ততা আর ধুলোমাখা রাস্তাগুলো সন্ধ্যা নামতেই যেন আলো-ঝলমল উৎসবে রূপ নেয়। রংপুর শহরের কেন্দ্রস্থল শাপলা চত্বর তার এক অনন্য উদাহরণ। এলোমেলোভাবে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি থেকেও বোঝা যায়, এই চত্বর কেবল একটি ট্রাফিক রাউন্ডঅ্যাব নয়; বরং রাতের বুকে আলোর খেলায় ভরপুর এক জীবন্ত প্রতীক। শাপলার আলোকসজ্জা যেন একেক সময় একেক রঙের ভাষায় কথা বলে। নীল আলোতে শান্তি ও প্রশান্তির আবেশ, সবুজ আলোতে প্রাণচাঞ্চল্য ও নতুন আশার বার্তা, লাল আলোতে উৎসবের উচ্ছ্বাস, আর বেগুনিতে রহস্যময় এক সৌন্দর্যের ছোঁয়া।

ফটোগ্রাফি গুলোতে ধরা পড়েছে আলো আর বাস্তবতার এক অনবদ্য সংমিশ্রণ। কোথাও দেখা যাচ্ছে গাড়ির দ্রুতগতির কারণে সৃষ্ট লাইট ব্লার, কোথাও বিদ্যুতের তারের জট, আবার কোথাও বড় বড় বিলবোর্ড আলোকিত রাতকে আরও ভিন্নমাত্রা দিয়েছে। এই এলোমেলো ফ্রেমগুলো আসলে শহরের গতিশীলতাকেই প্রকাশ করে। জীবন এখানে থেমে নেই; বরং প্রতিটি আলো, প্রতিটি রঙ শহরবাসীর প্রতিদিনের সংগ্রাম, আনন্দ আর স্বপ্নকে যেন রঙিন ফ্রেমে বেঁধে রাখছে।

রাতের আঁধার যখন শহরকে ঢেকে ফেলে, তখন শাপলা চত্বর যেন উল্টোভাবে নিজেকে মেলে ধরে। দিনের আলোর ভিড়ে যেটা স্রেফ একটি সাধারণ স্থাপনা মনে হয়, রাতের বুকে সেটা হয়ে ওঠে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। আলোর প্রতিফলন, চারপাশের ব্যস্ত রাস্তাঘাট, আর মানুষের আনাগোনা মিলিয়ে এ যেন এক চলমান ক্যানভাস, যেখানে বাস্তবতা আর কল্পনা হাত ধরে হাঁটে। শহরের ভিড়, বাজারের শব্দ, যানবাহনের শব্দ, আর সেই সাথে রঙিন আলোর ঝলকানি । সব মিলিয়ে এই চত্বর এক ধরনের নগর জীবনের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।

শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক, তাই একে কেন্দ্র করে শহরের মাঝখানে এমন আলোকসজ্জা শুধু সৌন্দর্য বাড়ায় না, বরং আমাদের ঐতিহ্য আর পরিচয়কেও আধুনিকতার সঙ্গে নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দেয়। এখানে যে বৈচিত্র্যময় রঙের সমাহার ফুটে ওঠে, তা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে শহর কেবল কাজ আর ব্যস্ততার জায়গা নয়, এখানে সৌন্দর্যেরও সমান অধিকার আছে। ফটোগ্রাফির প্রতিটি ফ্রেমই যেন বলে দেয়, অন্ধকার যতই ঘনীভূত হোক না কেন, আলো সবসময় নিজের রূপে এসে হাজির হয়, আর সেই আলোর মধ্যেই লুকিয়ে থাকে জীবনের রঙ।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি । আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক । আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি । আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি । আমি গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই । এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি । আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য।