ফটোগ্রাফিঃ বিভিন্ন জীবিকা।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

সবাইকে শুভেচ্ছা।

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, সবাই ভাল ও সুস্থ্য আছেন,আশাকরি। সকলে ভালো থাকেন এই প্রত্যাশা করি । আমিও ভাল আছি। আজ ২৮ কার্তিক হেমন্তকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ১৩ নভেম্বর,২০২৩ খ্রীস্টাব্দ। বন্ধুরা আজ আমি ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। কয়েকদিন আগে বাইরে কাজে গিয়েছিলাম। সে ফাঁকে এক নার্সারিতে কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম,সেগুলো আপনাদের সাথে পূর্বে শেয়ার করেছি। সেইদিনই আরও কিছু বিভিন্ন জীবিকার ফটোগ্রাফি করেছিলাম। আমরা চলতে ফিরতে এমন অনেক কিছুই দেখতে পাই, যা মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য করে থাকেন। এই মানুষ গুলো কত কষ্ট করে ফেরি করে হরেক জিনিস বিক্রি করে থাকেন শুধু পরিবারের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য।সেই সব হরেক পন্যের কয়েকটি ফটোগ্রাফি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।

প্রথম ফটোগ্রাফি

f5.jpg

আমরা চলতে ফিরতে এমন অনেক দৃশ্য দেখতে পাই যা জীবন নির্বাহের জন্য মানুষ করে থাকেন। ছবিতে এক শিশু বয়স বেশি হলে ১০ কি ১১। এই বয়সেই সে উপার্জনের জন্য রাস্তায় বেলুন বিক্রি করছে। কথা বলে জানলাম শিশুটি সকালে স্কুলে পড়ে আর বিকালে বেলুন বিক্রি করে পরিবারে বার্তি উপার্জনের জন্য।

দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি

f4.jpg

এই ফটোগ্রাফিতে একজন শিশু বিভিন্ন খেলনা বিক্রি করছে। বেশ রং বেরং এর খেলনা। বেশ সুন্দর দেখতে। এই ছেলেটি শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে এই সকল খেলনা বিক্রি করে পরিবারকে সাহায্য করার জন্য।

তৃতীয় ফটোগ্রাফি

f3.jpg

এই জিনিস আমরা সবাই চিনি। এটাকে হাওয়াই মিঠাই বলে। ছোট বেলায় অনেক খেয়েছি। মুখে দেয়ার সাথে সাথেই গলে যায়। তখন ছোট কাঁচের বাক্সে বিক্রি করত। এখন বিভিন্ন মল ও খাওয়ার দোকানেও বিক্রি হয়। এবং বিভিন্ন ডিজাইন করে বিক্রি করে ক্রেতাদের আকর্ষন করার জন্য।

চতুর্থ ফটোগ্রাফি

f1.jpg

এটাও আমাদের সকলের পরিচিত মুড়ির মোয়া। বিশেষ করে শীতে মুড়ি-মোয়া অনেক উপাদেয় খাবার। নগরে ফেরি করে বিক্রি করে। আবার বিভিন্ন মেলায়ও বিক্রি হতে দেখা যায়। খেতে বেশ ভালো লাগে। তাই ফটোগ্রাফি করার পর এক প্যাকেট কিনে নিলাম। খেতে বেশ মচমচে। এবং বেশ মজাদার।

পঞ্চম ফটোগ্রাফি

f2.jpg

এটা হল পাপড়ের ফটোগ্রাফি।বেশ মুখোরোচক খাবার। এক সাথে অনেক খেলেও পেট ভরে না। মাঝে মাঝে ভেবে অবাক হই এই পাপড় বিক্রি করেও পরিবারের সদস্যদের খাবারের যোগার করা সম্ভব! এভাবেই চলছে জীবন নির্বাহের লড়াই। সেলুট এইসব লড়াকু মানুষদের।
আশাকরি আজকের বিভিন্ন জীবিকার ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার ফটোগ্রাফি ব্লগ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে । সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।

পোস্ট বিবরণ

পোস্টফটোগ্রাফি
পোস্ট তৈরিselina 75
ডিভাইসSamsung A10
তারিখ১৩ নভেম্বর২০২৩ইং
লোকেশনঢাকা

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 2 years ago 

ফটোগ্রাফি টপিকটা দারুন ছিল, বিভিন্ন মানুষের জীবিকা নিয়ে আজকের ফটোগ্রাফি। আমি রাস্তায় প্রায়ই সময় দেখতে পারি ছোট ছোট বাচ্চারা পরিবারের জন্য কাজ করে যাচ্ছে, আসলে দারিদ্রতা মানুষকে বাস্তবতা শেখায়।

 2 years ago 

ঠিক তাই ভাইয়া। দারিদ্রতার কারনে শিশুরাও পরিবারের পাশে দাড়ানোর জন্য আয় করছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 years ago 

খুবই সুন্দর হয়েছে ফটোগ্রাফি গুলো আপু।পাপরের ছবি দেখে তো রীতিমতো লোভ লেগে গেলো।খুব গুছিয়ে আপনি উপস্থাপন করেছেন।আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 2 years ago 

জীবন আর জীবিকার তাগিদে মানুষ কতো কিছুই না করছে। আপনি চমৎকারভাবে ছবিগুলো তুলেছেন আর ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা যখন এই কাজগুলো করে জীবিকা নির্বাহ করে তখন সত্যিই আমার ভীষণ খারাপ লাগে। ছবিগুলো ভালো ছিল।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

জীবন জীবিকার তাগিদেই শিশুরা এ ধরনের কাজ করছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 years ago 

আসলে আমরা বাইরে বের হলে এমন অনেক জিনিসেরই দেখা পায়। জীবিকার তাগিতে মানুষ অনেক কিছু করে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো হয়েছে বাস্তব জীবনে চিত্র তুলে ধরেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

আমরা রাস্তায় বের হলেই এ চিত্র দেখতে পাই। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 years ago 

জীবিকার টানে মানুষকে কত কিছুই করতে হয়। আসলে দায়িত্ব চলে আসলে বয়স কোন ব্যাপার না। ছোট বাচ্চাদের এই কাজগুলো করতে প্রায় সময় দেখা যায়। তবে আমার কাছে এই ব্যাপারটা খুবই খারাপ লাগে। আপনি আজকে বিভিন্ন জীবিকার ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। এই ধরনের কাজগুলোতে পরিশ্রমটাও বেশি হয় তবে তার তুলনায় উপার্জনটা কম হয়।

 2 years ago 

জীবন জীবিকার তাগিদে এ ধরনের কাজ করছে শিশুরা। অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

পেটের দায়ে মানুষ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করে থাকে। পরিবারের বোঝা যখন ঘাড়ে আসে তখন মানুষ এ ধরনের ব্যবসা করতে বাধ্য হয়। আপনারা পোস্টের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে জীবিকা নির্বাহ করা মানুষগুলোকে দেখতে পেলাম। ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর হয়েছে।

Posted using SteemPro Mobile

 2 years ago 

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 years ago 

বিভিন্ন মানুষের জীবিকা নিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ধারণ করেছেন আপু। রাস্তার পাশে প্রায়ই এরকম ভাবে বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করতে দেখা যায়। অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।

 2 years ago 

অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্যে।