বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে ফটোগ্রাফি মূলক একটি পোস্ট শেয়ার করব। আমার আজকে শেয়ার করা ফটোগ্রাফিটি হলো জেব্রা হাওরথিয়া গাছের ফটোগ্রাফি। এই জেব্রা হওরথিয়া খুব ছোট কিন্তু আকর্ষণীয় একটি গাছ। এটি মূলত সাকু্্যলেন্ট প্রজাতির একটি গাছ। এই গাছের পাতাগুলো দেখতে মোটা,শাঁসালো ও তীক্ষ্ণ। গাছ গুলো দেখতে খুব ছোট যা টবে চাষের জন্য উপযোগী। তবে এই গাছগুলো দেখতে অনেকটা অ্যালোভেরা গাছের মতো। অ্যালোভেরা গাছ আকারে অনেকটা বড় হয়ে থাকে কিন্তু এই গাছগুলো খুবই ছোট ছোট। এই গাছগুলো খুব ধীরে ধীরে বাড়ার কারণে এগুলো টবেই চাষ করা যায়। এই গাছগুলোর জন্য খুব বেশি যত্নের প্রয়োজন পড়ে না সামান্য যত্নেই এই গাছগুলো বেড়ে ওঠে। এই গাছগুলোর নিয়মিত জলের প্রয়োজন পড়ে না ।সপ্তাহে একবার জল দিলেই বা মাটি শুকিয়ে যাওয়ার পর জল দিলে এই গাছগুলো দিব্যি বেঁচে থাকে। এই গাছগুলোর উপরে সরাসরি রোদের আলো না পারলেও গাছগুলোর কোন প্রকার ক্ষতি হয় না। এই গাছগুলো মূলত যাদের বাগানের অনেক শখ থাকে। বিশেষ করে যারা ব্যস্ত মানুষজন তারা তাদের বাগানের শখ মেটাতে এই সব গাছগুলো তাদের বাগানে লাগাতে পারে। কারণ গাছগুলোর সেরকম কোন যত্নের প্রয়োজন হয় না তাই। এই গাছে ফুল হয়ে থাকে গ্রীষ্মকালে এটি পাতলা, লম্বা কাণ্ডে ছোট, নলাকার সাদা ফুল ফোটাতে পারে, যদিও এটি তার ফুলের জন্য পরিচিত নয়। গাছের পাতার সৌন্দর্যগুলোই যে কারোর মন আকর্ষণ করবে। যাইহোক, আমার আজকের শেয়ার করা এই জেব্রা হাওরথিয়া গাছের ফটোগ্রাফি আমি একটি নার্সারি থেকে করেছি।কিছুমাস আগে একটি নার্সারিতে গেছিলাম কিছু গাছ কেনার জন্য। সেখানে বিভিন্ন ধরনের এইসব ক্যাকটাস জাতীয় গাছগুলো আমি দেখি। এই গাছগুলো আসলে দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমি আমার বাড়ির জন্য কিছু এই ক্যাকটাস গাছ কিনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু গাছের দাম গুলো তুলনামূলক একটু বেশি ছিল সেই নার্সারিতে। তাই আর এই গাছগুলো কেনা হয়নি। কিন্তু সেই সময় এই গাছগুলোর কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। তারমধ্যে এই জেব্রা হাওরথিয়া গাছের ফটোগ্রাফি আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম। এর আশেপাশে আরও বিভিন্ন ধরনের ক্যাকটাস গাছ ছিল বিগত ব্লগে আরও ভিন্ন ক্যাকটাস গাছের ফটোগ্রাফি তোমাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আর আজকে এই জেব্রা হাওরথিয়া গাছের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম। তাহলে আমার শেয়ার করা আজকের এই জেব্রা হাওরথিয়া গাছের ফটোগ্রাফি দেখে নেওয়া যাক।




🎨পোস্ট বিবরণ🎨
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | বারাসাত, ওয়েস্ট বেঙ্গল। |
বন্ধুরা, আজকে শেয়ার করা এই পোস্ট টি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ সবাইকে

আমার পরিচয়
আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷


খুব সুন্দর একটি গাছের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনি৷ এরকম গাছ সাধারণত দেখার সুযোগ হয় না৷ আজকে আপনার কাছ থেকে এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফির মধ্য দিয়ে এই গাছ দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো৷ যেভাবে আপনি এখানে সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা খুবই সুন্দর হয়েছে৷ একই সাথে এখানে ফটোগ্রাফিগুলোর সাথে খুব সুন্দর বর্ণনা শেয়ার করেছেন ৷