স্বরচিত কবিতা : “নিঃশব্দের উত্তরাধিকার”

in আমার বাংলা ব্লগlast month
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু/ আদাব।

🌿আমি তানহা তানজিল তরসা। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @tanha001

আজ ১০ জুলাই ২০২৫ ইং: রোজ বৃহস্পতিবার ।


বাংলায় ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।


হ্যালো বন্ধুরা.........

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি স্বরচিত কবিতা পোস্ট শেয়ার করব।কবিতা লেখালেখি করতে আমি অনেক পছন্দ করি। কবিতা পড়তে ও অনেক ভালো লাগে।আশা করি আমার লেখা কবিতা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

energy-7822301_1280.jpg

Source

“নিঃশব্দের উত্তরাধিকার”
লেখাঃ তানহা তানজিল তরসা

একটি ঘর, একটুখানি স্বপ্ন,
ছোট্ট শহরের নিঃশব্দ কোণে
সেখানে বাস করত এক নারী,
যার চোখে ছিল দীপ্তি, যার অন্তরে গোপন ক্ষরণ।

বাইরে ছিল সে এক শান্ত নদী,
ভিতরে ছিল উত্তাল ঢেউ।
হৃদয়ের গহীনে এক নবজন্মের সুর,
তবু চারপাশে কেবলই বিষাক্ত নিন্দার ঢেউ।

কোলে এক সন্তান, আর পেটে অন্য জীবন,
অবহেলা, কটূক্তি আর কুৎসিত ভাষার মাঝে
সে আগলে রাখে প্রেমের শিকড়,
ভাঙা ঘরের ছাদেও সে গড়ে তোলে ভালোবাসার সাজে।

তাকে বোঝে না অনেকেই,
তবুও ছিল একজন, তার প্রাণের পছন্দ।
যে পুরুষটি ক্লান্তির ভিড়েও
তার পাশে ছিল ছায়া হয়ে নিরবচারে অনন্ত।

তারা গড়েছিল নতুন ঠিকানা,
জীবনের ব্যথা আর বেদনার পাশ কাটিয়ে।
কিন্তু সমাজ তো থামে না,
সে তো বিদ্রূপে, ঘৃণায় রক্ত ঝরায় প্রতিনিয়ত চুপিচুপি।

তবুও সে ভাঙে না, ডোবে না অন্ধকারে
তার চোখে স্বপ্নের আলো, ঠোঁটে ছুঁয়ে থাকা আশার গান।
প্রতিটি নিশ্বাসে সে বুনে চলে সাহসের রেখা,
প্রতিটি নীরবতায় সে গেয়ে যায় স্বাধীনতার প্রাণ।

সে জানে না হয়তো, তার সন্তানের চোখে
একদিন ফুটে উঠবে সেই মায়ের ছায়া।
নরম অথচ অদম্য, নিঃশব্দ অথচ দীপ্তিময়,
একজন নারী যার যুদ্ধে আছে পৃথিবী বদলানোর মায়া।

এই নারী কে? সে তুমি সে আমি, সে প্রতিবেশী নিভৃত।
তার কাহিনি কারো চোখে কান্না,
আবার কারো চোখে জাগরণ সূচি
কারণ সে নিঃশব্দের উত্তরাধিকার,
যার গল্প থেকেই গড়ে উঠবে এক নতুন পৃথিবী।


কবিতার মূলভাব:

এই কবিতায় তুলে ধরা হয়েছে এক নিরীহ, অবহেলিত অথচ অসম্ভব সাহসী নারীর জীবনের গল্প যিনি সমাজের অবজ্ঞা, কটূক্তি, এবং অবিচারের মাঝেও হার মানেননি। তিনি ছিলেন এক মা, এক স্ত্রী, এক প্রেমিকা যার জীবন নিঃশব্দ অথচ দীপ্তিময় সংগ্রামে ভরা।তার প্রতিবাদ ছিল না উচ্চস্বরে, ছিল না বিক্ষোভে তবে প্রতিটি নীরবতা ছিল এক একটি অদৃশ্য বিদ্রোহ। সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে তিনি প্রতিদিন লড়াই করে গেছেন, ভালোবাসা দিয়ে, সহ্যশক্তি দিয়ে। সমাজ যাকে দুর্বল ভেবেছিল, সে-ই হয়ে উঠেছে শক্তির প্রতীক মায়ার ভিতরে আগুন হয়ে জ্বলে থেকেছে।এই নারীর গল্প কেবল একটি মানুষের নয়, এটি প্রতিটি ঘরের, প্রতিটি নিঃশব্দ মায়ের গল্প। যার যন্ত্রণার ভাষা হয়তো কেউ বোঝে না, তবুও তার সংগ্রামের উত্তরাধিকারেই একদিন জন্ম নেবে এক পরিবর্তিত সমাজ।এই কবিতা মূলত এক নিঃশব্দ নারীর ত্যাগ, ধৈর্য এবং নিরব সাহসের প্রশস্তি যা ভবিষ্যতের জন্য এক অনন্ত প্রেরণা হয়ে রয়ে যাবে।


পোস্টের ধরনস্বরচিত কবিতা পোস্ট
লেখাতানহা তানজিল তরসা
ডিভাইসরেডমি নোট ১১
লোকেশনকালীগঞ্জ



আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়


আমি তানহা তানজিল তরসা। আমার স্টিম আইডির নাম @tanha001। আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। আমি বিবাহিতা। আমার একটা ছেলে সন্তান আছে। আমি ফটোগ্রাফি, গান গাইতে,রান্না করতে ও বাইকে ঘুরতে অনেক পছন্দ করি। আমার জন্ম স্থান কালিগঞ্জ থানা ঝিনাইদহ জেলায়। আমি পেশায় এক গৃহিনী। পাশাপাশি আমি আমার পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। আমি আমার হাসবেন্ড এর চাকরির সূত্রে পাবনা চাটমোহর এ বসবাস করছি।


সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। স্পেশালি ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, এডমিন ও মডারেটরদের যারা আমাকে এত সুন্দর একটা কমিউনিটিতে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে এবং আমাকে প্রতিনিয়ত সাপোর্ট করছেন।


১০%প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।


Logo.png

New_Benner_ABB.png

20250619_101610.jpg

20250506_054638.jpg

Sort:  
 28 days ago 

আপনার কাছ থেকে আজকের সুন্দর কবিতা পড়ে অনেক বেশি ভালো লাগছে৷ এখানে এই কবিতা শেয়ার করার মধ্য দিয়ে আপনি আপনার কবি প্রতিভাকে যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ তার পাশাপাশি এখানে আপনি খুবই সুন্দরভাবে এই কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন৷ এখানে যখন আপনার কাছ থেকে এত সুন্দর একটি কবিতা পড়লাম তখন তা আমাকে অনেক বেশি মুগ্ধ করেছে৷ এই কবিতা শেয়ার করার মধ্য দিয়ে আপনি আপনার কবি প্রতিভাকে অনেক ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ এখানে আপনি সুন্দর লাইন এর সামজ্ঞস্যতা বজায় রেখেছেন৷

 28 days ago 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।