স্বরচিত নতুন একটি কবিতা " চালাকের রাজত্ব "
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। প্রায় দুইদিন পর আবার আপনাদের কাছে আসছি। এই দুইদিন কোন কিছু লেখার কোনো মন মানসিকতা ছিলো না। আসলে আমি মনের উপর জোর দিয়ে কিছু করতে পারি না। তারপর ও আমি শক্ত থেকে আমার পরিবারকে সামাল দিয়েছি। আমি ভিতরে ভেঙ্গে পড়তাম আবার নিজেকে সামলিয়ে কাজ শুরু করতাম। কারণ আমি জানতাম আমি ভেঙ্গে পড়লে আমার পরিবার ও ভেঙ্গে পড়বে।আমার প্রিয় মানুষটি একদম ভেঙ্গে পড়েছিলো। সে ঠিক মতো এই দুটো দিন খাওয়া দাওয়া করিনি, ঠিক মতো দাড়াতে পারতো না। বাবা - মা অসুস্থ হয়ে পড়ছিলো। এই অবস্থায় আমি ভেঙ্গে পড়লে কি করে চলবে। কারণ আমার কাছে আগে আমার পরিবার তারপর অন্য সবকিছু। তারপরও এখন সম্পূর্ন বিপদ কাটেনি। তবে আগের থেকে অনেকটা ভালো তাই ভাবলাম আপনাদের মাঝে আসলে একটু ভালো লাগবে। আমি এখন ও নিজে শক্ত থেকে সবাইকে শক্তি জোগায় চলেছি। এই বিপদে ঈশ্বর ছিলো আমাদের একমাত্র ভরসা। ঈশ্বর আমাদের সবার প্রার্থনা শুনেছেন, তাই শত কোটি প্রণাম তার চরণে। আর আপনারা সবাই আশীর্বাদ করেন খুব তাড়াতাড়ি আমার পরিবারের উপর থেকে বিপদের ছায়া সরে যায়। এবং আবার যেনো আমার পরিবার নিয়ে হাসি আনন্দে থাকতে পারি আগের মতো।
কাল সন্ধ্যায় সোফার উপরে বসে আবোল তাবোল চিন্তা করতে করতে এই কবিতাটি লিখেছিলাম। ভাবলাম এটি আপনাদের সাথে শেয়ার করি। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
চালকের রাজত্ব
চালাকচতুর বিপরীতে সর্বস্বান্ত ফতুর,
যুগের হাওয়া বেশিরভাগ এমনি পাওয়া,
বোকা বানানোর খেলা চলছে খোলামেলা।
মিথ্যার আশ্রয় সত্য ধামাচাপা বিস্ময়,
আপ্রাণ চেষ্টা ভুরি ভুরি নির্লজ্জ প্রচেষ্টা,
চতুর্দিকে সর্বক্ষেত্রে বিরাজমান ছলনা দৃশ্যমান,
শিকারি ধরিবাজ শিকার হতভম্ব বিরাজ।
আত্মকেন্দ্রিক ভাবনা কৃত্রিম আচরণ যাতনা,
স্বার্থের আকণ্ঠ মনজুরে লিপ্সা।
চালাকির রাজত্ব ঠকানোর কার্যকলাপে বিরক্ত,
বোকার তকমা নিজেকে বুদ্ধিমান উপমা,
আসল পরিচয় গোপন সাদামাটা বিবরণ।
নানান সম্পর্কে হৃদ্রতা চেনাজানা মুগ্ধতা।
রোজকার সানিধ্য প্রয়োজনে নৈকট্য আবদ্ধ,
উদ্দেশ্য প্রণোদিত কথন গোপন অভি স্নিগ্ধ রুপায়ন।
স্বার্থপর ছোবল সদা সত্য আড়াল প্রবল।
চালাক আত্মবিশ্বাসী সফলভাবে প্রয়োগে আগ্রাসী,
ঔদ্ধত্য পুরোপুরি বিপক্ষে সরলতা উপরে,
ভাবনার অবহেলা অনুভূতির কদর্য ছেলে খেলা,
নিদারুণ ফলাফল চালাকের হাসি মুখ উজ্জ্বল,
মনের ক্যানভাস কৃত্রিম রং এর আশ্বাস,
বোকার অন্ধবিশ্বাস চালাকির ছিনিমিনি পরিহাস,
নিষ্ঠুর উপহাস ছলা কলার বিষাক্ত নিঃশ্বাস।
বিশ্বাস চূর্ণ-বিচূর্ণ বোকা সাজাপ্রাপ্ত বিবর্ন।
চালাক হোল দলহীন বোকামির কণ্ঠ শব্দহীন,
চালাকির মজ্জাগত শেষমেষ বোকাদের অবগত।
মিথ্যাচার নির্বিচার সত্যের আকারে প্রচার,
সত্য চিরন্তন সাময়িক মিথ্যার বিচরণ,
চালাকির শেষ বোকার হাতেই পরিশেষ।
এই কবিতাটি লিখার পিছনে অনেক গুলো বিষয় আছে। কিন্তু সে গুলো আমি শেয়ার করতে পারছি না । সেজন্য দুঃখিত।
দাদার প্রথম পোস্টে পরিবারের খুব কাছের মানুষের অসুস্থতার খবর টা দেখে সত্যিই খুব চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম বৌদি। তবে আজকে আবার দেখলাম এখন অনেকটাই বিপদ মুক্ত। আমার মনে হয় এটা আমাদের এই পরিবারের সবার জন্যই অনেক স্বস্তির একটা খবর।
বৌদি আমি জানিনা এই লেখাটা পারিপার্শ্বিক কোন ঘটনার সাথে মিলিয়ে আপনি লিখেছেন। তবে এতটুকু বলতে পারি আমার নিজের জীবনের সাথে ও কেন যেন খুব মিলে যাচ্ছে এই লেখাটা। আপনার লেখার সবথেকে বড় দিক হলো বাস্তবতা গুলোকে একদম আঙ্গুল দিয়ে তুলে ধরেন সব সময়। একটা মানুষের মন সেই মাপের সরল না হলে কখনই এভাবে লেখা সম্ভব নয়।
সবশেষ এই লাইন দুটো পৃথিবীর সব মানুষকে উৎসর্গ করলাম।
মনে হচ্ছে বৌদিকা ধূর্ততায় বিরক্ত। মানুষ চেনা আজকাল আসলেই মুশকিল। তবে যারা বেশি চালাকি করে নিজের অজান্তেই তারা ঠকে যায়। চমৎকার লিখেছেন বৌদি। কবিতাটিতে ভাবনার খোরাক আছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
বৌদি , তুমি কবিতা লেখার প্রথমেই বলেছ প্রিয় মানুষটাকে ভেঙে যেতে দেখে তুমিও ভেঙে পড়েছে এর থেকে বোঝা যাচ্ছে তুমি তোমার প্রিয় মানুষটাকে কত ভালবাসো ।তোমাদের এই অটুট বন্ধন সারাজীবন থাকুক । তোমরা তোমাদের পরিবারের সকল বিপদ সম্পূর্ণভাবে খুব তাড়াতাড়ি কাটিয়ে ওঠ সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা করি ।সবকিছু একটু নরমাল হয়েছে শুনে আমরাও সবাই স্বস্তি পেলাম। মানসিকভাবে এত চাপের মধ্যেও খুবই সুন্দর একটি কবিতা তুমি লিখেছ ,বৌদি। আমাদের সমাজের বাস্তবতা তোমার প্রতিবাদী ভাষায় তুলে ধরেছো। বাংলা একটা প্রচলিত কথা আছে "অতি চালাকের গলায় দড়ি" ,চালাকের রাজত্বে যারা অতি চালাকি করতে চায় তাদের সাথে সবসময় খারাপই হয়। আমাদের এসব লোকের কাছ থেকে একটু দূরত্ব বজায় রাখতে হবে নিজেদের সবসময় ভালো থাকতে হবে।
দিদির কবিতাটা সত্যিই অকল্পনীয়।আপনার লেখালেখির সত্যিই প্রশংসা করতে হয় দিদি।
বৌদি আশীর্বাদ করি যেন আপনার পরিবারের বিপদ কেটে যাবে।
লাইনগুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল।
আসলে বৌদি প্রিয় মানুষটির কষ্ট দেখলে নিজে কষ্ট হয়। আপনারও ঠিক তেমনই হয়েছে। যাই হোক দোয়া করি সকল সমস্যার সমাধান হবে। আপনার কবিতাটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনি খুবই সুন্দর কবিতাটি লিখেছেন। আপনাদের জন্য দোয়া রইল।
কবিতা লিখতে গেলেও একটা যোগ্যতা লাগে আর সেটা আপনার যে বেশ ভালো আছে তা এই কবিতায় সবচেয়ে বড় প্রমাণ। মাধুর্য দিয়ে লেখা লাইনগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ বৌদি।
দাদার লেখাটি পড়েছি এবং আপনাদের পরিবারের শেষ নিউজ নিয়েছি । সর্বোপরি এখন অনেকটাই বিপদমুক্ত , এটা জেনে ভালো লেগেছে এবং তাছাড়াও বৌদি আপনার কবিতার লেখাগুলো আজকে অনেকটাই ভারি ভারি ছিল , যেটা বুঝতে আমার একটু অসুবিধা হয়েছে ।তবে বেশি চালাকির ফল যে ভালো হয় না, সেটা আমি বুঝতে পেরেছি । কারণ এটাই হয়তো কবিতার মূলভাব ছিল ।
কথায় আছে ট্রুথ ইজ গড সত্যই ভগবান। মিথ্যা যতটাই শক্তি সঞ্চয় করুক না কেন সে সত্যের কাছে পরাজিত হবেই একদিন।কবিতার প্রতিটি শব্দের পেছনে এক একটি কারন লুকায়িত। যা হোক বৌদিভাই ভালই লিখেছেন কিন্তু মমার্থ বোঝাটা কঠিন। তবে রোগ, শোক, জরা ,ব্যাধি সব দূর হয়ে যাক এই প্রর্থনা করছি ইশ্বরের কাছে। ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা ।
এই লাইনটি পড়ে বৌদির সত্যিই খুব ভালো লেগেছে। এ কবিতাটিতে আপনি মনের কথা তুলে ধরেছেন সমাজের বাস্তব কিছু কথা তুলে ধরেছেন। এবং প্রতিবাদী মূলক কবিতা সত্যিই খুব ভালো লাগলো বৌদি। যারা বেশি চালাকি করতে যায় তারা যা নিজেই ঠকে যায় সেটা তারা কখনোই বুঝতে পারেনা। কথায় আছে অতি চালাকের গলায় দড়ি।
যাইহোক বৌদি জানেন আপনি কবিতাটি কেন শেয়ার করেছেন নিশ্চয় আপনার মনে কোন দুঃখ রয়েছে। কিংবা কেউ আপনার সাথে খুব বড় চালাকি ও করেছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ বৌদি এত সুন্দর একটি কবিতা মাঝে মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার পরবর্তী কবিতার অপেক্ষায় রইলাম। কারণ আপনি সবসময় এমন সুন্দর সুন্দর কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেন।