হঠাৎ থেমে যাওয়া ট্রেন আর তার চারপাশের দৃশ্যচিত্র ।

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

প্রিয় হিন্দু ভাই-বোনদের জন্য আদাব ও ভালোবাসা 💗🙏। আমার প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও স্নেহ। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি, মহান আল্লাহর রহমতে এবং একে অপরের ভালোবাসায় আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও বেশ ভালো আছি।আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য,এই প্ল্যাটফর্মের সাথে আমার যাত্রা প্রায় এক বছর ধরে। সত্যি বলতে, এখানে আসতে পেরে আমার মনে হচ্ছে ! যেন নিজের আর একটি নতুন পরিবার খুঁজে পেয়েছি। প্রতিটি লেখা, প্রতিটি মন্তব্য, প্রতিটি বন্ধুত্ব আমাকে দিয়েছে আনন্দ, ভালোবাসা এক নতুন অধ্যায়ের স্বাদ।আজকে আমি আপনাদের সাথে হঠাৎ থেমে যাওয়া ট্রেন আর তার চারপাশের দৃশ্যচিত্র শেয়ার করবো ।আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

জীবনের প্রতিদিনের ব্যস্ততার ভিড়ে হঠাৎ করে কোনো অচেনা মুহূর্ত আমাদের মনে অন্যরকম একটা আবেগ জাগিয়ে তোলে। আমার সঙ্গে রেলস্টেশন ও ট্রেনের দৃশ্যে এক ধরনের আবেগ ময় সৌন্দর্য তৈরি করেছেন। শৈশব কিংবা অতীতের কোনো যাত্রার কথা মনে পড়ে যাওয়া ‌। আবার নতুন করে জীবনের চলার স্রোতও চোখে ভাসে। আমি সেদিনও এমন এক মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে ছিলাম। স্টেশনের পাশে একেবারেই সাধারণ একটি কাজে গিয়েছিলাম। মনে ছিল না যে সেদিন ট্রেনের সাথে এমনভাবে হঠাৎ দেখা হয়ে যাবে। কিন্তু জীবনের সৌন্দর্যই বোধহয় এই যে, অনেক কিছুই অপ্রত্যাশিতভাবে ঘটে যায়।

স্টেশনের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম, উদ্দেশ্য শুধু একটা ছোট কাজ সারব। চারপাশে ছিল শান্ত নিস্তব্ধতা, গাছের সারি আর ফাঁকা প্ল্যাটফর্ম যেন একটা নিরিবিলি বিকেলের ছবি আঁকছিল। হঠাৎ করেই দূর থেকে কানে এলো ট্রেনের বাঁশির শব্দ, মুহূর্তেই সেই নীরবতা ভেঙে গর্জে উঠল ইঞ্জিনের ডাক। যতই কাছে আসতে লাগল, ততই মনে হচ্ছিল সময় যেন থমকে দাঁড়িয়ে আছে। ব্যাগ থেকে তাড়াতাড়ি ফোন বের করলাম, কারণ এমন দৃশ্য অপ্রস্তুত অবস্থায় হঠাৎ আসে আর ঠিক তত দ্রুত হারিয়েও যায়।

ট্রেনটা এসে থামতেই একসাথে অনেক রঙের দৃশ্য চোখে ধরা দিল। জানালা দিয়ে উঁকি দেওয়া মানুষের মুখগুলো যেন আলাদা আলাদা গল্প বলছে। কারও চোখে বাড়ি ফেরার তাড়াহুড়ো, কারও চোখে দীর্ঘ যাত্রার ক্লান্তি, আবার কারও চোখে অদ্ভুত উচ্ছ্বাস। প্ল্যাটফর্মের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটা ছাগলও যেন এই গল্পের চরিত্র হয়ে উঠল। গ্রামের স্টেশন বলে মানুষের ভিড়ও খুব বেশি নয়।কেউ নেমে গন্তব্যে হাঁটা দিল, কেউ আবার প্রিয়জনকে নিতে দাঁড়িয়ে রইল। আর আমি দাঁড়িয়ে থেকে শুধু ক্যামেরার ফ্রেমে মুহূর্তগুলো ধরে রাখছিলাম।

এই স্টেশনটাকে দেখে মনে হলো, এখানে কোনো আধুনিক সাজসজ্জার প্রয়োজন নেই, নেই শহরের মতো কোলাহলও। কেবল সাধারণ মানুষের জীবন আর প্রকৃতির সান্নিধ্যই যেন এর আসল সৌন্দর্য। রেললাইন ধরে একদিকে যাত্রা শুরু হয়, অন্যদিকে কারও বিদায়ের বেদনাও লুকিয়ে থাকে। আমি যে কয়েকটা ছবি তুললাম, সেগুলো আসলে শুধু দৃশ্য নয়, মানুষের নিত্যদিনের বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি।

ট্রেনটা আবার ধীরে ধীরে প্ল্যাটফর্ম ছাড়তে শুরু করল। কয়েকজন হাত নেড়ে বিদায় জানাচ্ছিল, কেউ আবার চুপচাপ দাঁড়িয়ে তাকিয়ে ছিল মিলিয়ে যাওয়া বগির দিকে। সেই মুহূর্তে মনে হলো, রেললাইন শুধু লোহার তৈরি নয়, বরং মানুষের স্বপ্ন, আশা আর অপেক্ষার পথও বয়ে নিয়ে যায়। আমার তোলা ছবিগুলো তাই নিছক কিছু ফটোগ্রাফ নয়, বরং একটা জীবন্ত গল্প, যেখানে প্রতিটি মুখ, প্রতিটি দৃশ্য আর প্রতিটি শব্দ মিলেমিশে জীবনের চলমান কাব্য হয়ে আছে।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি । আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক । আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি । আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি । আমি গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই । এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি । আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য।