প্রচন্ড গরমের পরে স্বস্তির বৃষ্টি
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে মোটামুটি ভালো আছি। গত এক থেকে দেড় সপ্তাহ ধরে আমাদের নীলফামারী অঞ্চলে প্রচন্ড পরিমাণে গরম পড়ছিল এবং এই গড়মের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর কাছাকাছি গরম অনুভুতি হচ্ছিল, অন্ততপক্ষে google weather app তো সেটাই বলছিল।
গত কয়েকদিন ধরে এই গরমে তীব্রটা এতটাই বেশি ছিল যে জনজীবন নির্বাহের জন্য যেসব কার্যক্রম আমরা করে থাকি সেসব কার্যক্রম করতে অনেকটা কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। এছাড়াও যারা খেটে খাওয়া মানুষ রয়েছে তাদের জন্য দিনের কাজগুলো করা অনেকটাই বেশি কষ্টকর হয়ে যাচ্ছিল এবং এই গরমটা এমন ছিল রাতের বেলা ও প্রচন্ড গরম অনুভুতি হচ্ছিল। সূর্য যেদিকে অস্ত যায় ঠিক সেই দিকেই আমার রুমের একটি দেওয়াল পড়েছে। যখন সন্ধ্যার পরে সেই দেওয়ালের মধ্যে আমরা হাত দেই সেই হাতটা আমরা বেশিক্ষন রাখতে পারি না, কারণ সেখানে প্রচন্ড পরিমাণে গরম হয়ে আছে।
এছাড়াও আমাদের ছাদে ছোটখাটো একটি বাগান রয়েছে। সেই বাগানে প্রতিনিয়তই পানি দেওয়া হয়। সকালে পানি দেওয়ার পরে যখন বিকেলের দিকে পানি দেওয়ার জন্য আবারও যাই, মনে হয় যেন ১০-১২ দিন থেকে গাছগুলোতে পানি দেওয়া হয়নি। গাছগুলো একদম সুখে কাঠ হয়ে যায় এবং গাছের পাতাগুলো অনেকটা মরা মরা ভাব হয়ে যায়। এই বিষয়গুলো এজন্যই বললাম যাতে করে এখানকার গরমের তীব্রতা আপনারা ভালোভাবে বুঝতে পারেন। বর্তমানে আমাদের এই নীলফামারীসহ বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং স্বস্তির একটি পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
আজ সারাদিন প্রচন্ড ব্যস্ত ছিলাম। বাসা বাড়ির কিছু কাজ করাছি, যার জন্য আমাকে প্রতিনিয়তই এখানে ওখানে ছুটে বেড়াতে হচ্ছে। যার কারণে এই বিষয়গুলো আরো বেশি ভাবে উপলব্ধি করতে পারছিলাম, বেশ কয়েকদিন ধরে। তবে আজকের দিনে ছোটাছুটি করে অত বেশি ক্লান্ত হইনি যতটা এই কয়েকদিনে হয়ে ছিলাম। মোট কথা বলতে আজকের দিনটা অন্যান্য দিনে তুলনায় অনেকটা শক্তির সাথে গেছে। আজকের ঘুম ভেঙ্গেছে বৃষ্টির আওয়াজে। এতদিন পরে স্বস্তির বৃষ্টি পেয়েছি এজন্য মহান সৃষ্টিকর্তাকে অশেষ কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাতে চাই। সেই সাথে এলাকাবাসীও অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছিল, যখন এই মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। তবে আমাদের বাংলাদেশে তো ও রাস্তাঘাটের অবস্থা খুব একটা বেশি ভালো না।
এদিকে একটু বৃষ্টি হলেই এ রাস্তাঘাট ডুবে যায় এবং রাস্তাঘাটে থাকা ছোট ছোট গর্তগুলো আমরা দেখতে পাই না। যার কারণে কম বেশি একটু অ্যাক্সিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই দিক থেকে একটু কষ্টকর পরিবেশ ছিল বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে। কিন্তু দুপুরের পর থেকে আর বৃষ্টি হয়নি এবং মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশ ছিল। এর জন্য এখনো পরিবেশটা অনেক শীতলতম হয়ে আছে। আপনাদের এলাকার কি অবস্থা? আপনাদের এলাকাতেও কি মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশ বিরাজ করছে! যদি করে থাকে অবশ্যই মন্তব্যে জানাতে পারেন। আজকের মত খুব বেশি কিছু লিখছি না, আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সকলকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: প্রচন্ড গরমের পরে স্বস্তির বৃষ্টি
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......