তীব্র গরম শেষে স্বস্তির বৃষ্টি
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনার সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে ভালো আছি। তবে সকাল থেকেই শারীরিকভাবে একটু দুর্বল বলে মনে হচ্ছে। এদিকে ঘুম ঘুম ভাব যাচ্ছে না এবং শারীরিক দুর্বলতা ও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। এর বেশিরভাগ কারণ হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হওয়া এবং মাথা অতিরিক্ত টেনশন। যার কারণেই হয়তো আজকে শরীরটা একটু বেশি খারাপ লাগছে।
আজ সকালে ঘুম থেকে একটু লেট করে উঠেছি। কারণ সেই ভোরবেলা থেকেই এদিকে বৃষ্টিপাত শুরু হয় এবং সেই বৃষ্টিপাতের কারণে এতদিনের যে গরম ভাবটা ছিলো, যে আবহাওয়াটা ছিল সেই আবহাওয়াটা পরিবর্তন হয়ে যায় এবং শীতল একটি পরিবেশ বর্তমানে নীলফামারীতে বিরাজ করছে। সকাল সাড়ে নয়টা অবধি বৃষ্টি চলেছে আমাদের এই নীলফামারী শহরে। এর পরেই মূলত ঘুম থেকে উঠেছিলাম। পরবর্তীতে আবারো প্রচন্ড গরম এবং প্রচন্ড রোদ উঠেছিল যার কারণে বৃষ্টি এবং গরমের যে ভাবটা ছিল সেটা মিলে একটি আলাদা ধরনের গড়ম সৃষ্টি হয়। যেটা অবশ্য খুব বেশি সময় ছিলো না। আবারও দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে প্রচন্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে আমাদের এই নীলফামারী শহরে।
যদিও সেই সময়টা আমি বাসায় ছিলাম না। তবে বাসার বাহিরে থাকা অবস্থাতেও বাসার খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি সেই বৃস্টির সময় সকলেই গোসল করেছেন। কারণ এতদিন একটানা গরমের কারণে সবারই জনজীবন একদম অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিল। দুপুরবেলা এরকম বৃষ্টি সেই সাথে শীতল আবহাওয়া একটি আলাদা ধরনের রূপ প্রদান করেছে আমাদের এই শহরকে। তবে দুপুরবেলা যখন বাসায় বৃষ্টি শুরু হয় তখন আমি বাসায় ছিলাম পরবর্তীতে বাসায় একটা কাজের কারণে আমাকে বাসা থেকে বের হতে হয়েছিল এবং তখনই আমি দেখেছিলাম আমার মা এবং আমার বউ দুজনে একসাথে মিলে বৃষ্টির পানিতে গোসল করছে এবং বৃষ্টির উপভোগ করছে। সেটা একটা মধুর দৃশ্য যেটা প্রত্যেক ছেলেরাই তার পরিবারের কাছে আশা করে।
সম্ভবত ২ ঘন্টা বৃষ্টি হয়েছিল এবং ২ ঘন্টায় এত পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছিল যে আমাদের আশেপাশের যেসব খালি জায়গাগুলো রয়েছে সেখানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে এবং রাস্তার আনাচে-কানাচে প্রচুর পরিমাণে পানি এখনো জমে রয়েছে এবং আবহাওয়াটাও আগের থেকে অনেকটাই শীতল হয়েছে। আল্লাহ তায়ালার কাছে অশেষ মেহেরবানী তিনি একটু মাথা অতিরিক্ত গরমের পরে আমাদের স্বস্তির দৃষ্টি প্রদান করলেন।
যত দিন যাচ্ছে তত কেন জানি গরম আমার সহ্য হচ্ছে না। আগে অবশ্য আমি এমনটা ছিলাম না কিন্তু ইদানিং এই সমস্যাটা বেশি দেখা দিচ্ছে। এই মাত্রা অতিরিক্ত গরমের কারণে শরীরের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে এবং শারীরিকভাবে অনেকটা দুর্বলতা অনুভব করছি। এই বিষয়টা শুধুমাত্র আমি একা করছি তা কিন্তু নয় আমাদের এই অঞ্চলের প্রত্যেকটা মানুষ এই ধরনের পরিস্থিতির শিকার কারণ। যে পরিমাণে গরম পড়েছে এই পরিমাণের গরম মনে হয় গত দশকেও কোন বার পড়েনি।
তবে আর যাই হোক এত মাত্র অতিরিক্ত গরমের কারণে স্বস্তির বৃষ্টিতে আমাদের নীলফামারী শহরের বাসিন্দারা অনেক খুশি এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। যাই হোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সকলকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: তীব্র গরম শেষে স্বস্তির বৃষ্টি
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
আমাদের এদিকে ৩/৪ দিন ধরে বেশ ভালোই বৃষ্টি হচ্ছে। তাই তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। যাইহোক আপনার মা এবং বউ বৃষ্টিতে ভিজেছে, জেনে খুব ভালো লাগলো। বৃষ্টিতে ভিজতে আসলেই খুব ভালো লাগে। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।