"বৃষ্টিমুখর পরিবেশে ইউনিভার্সিটিতে কাটানো কিছু মুহূর্ত"

in আমার বাংলা ব্লগlast month

নমস্কার

কেমন আছেন বন্ধুরা? আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের কৃপায়।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।যাইহোক আজ চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি অনুভূতি শেয়ার করতে।আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের লেখা অনুভূতিটি।তো আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক----

বৃষ্টিমুখর পরিবেশে ইউনিভার্সিটিতে কাটানো কিছু মুহূর্ত:


GridArt_20250618_042318586.jpg

বন্ধুরা,বৃষ্টিমুখর পরিবেশ আমাদের সবারই ভীষণ পছন্দের।তবে সেটি যদি বাড়িতে বসে উপভোগ করা যায় তাহলে মনে হয় অনেক প্রশান্তি, কিন্তু বৃষ্টির দিনে বাইরে বের হওয়াটা যেমন বিরক্তিকর তেমনি কষ্টকর।তবে গতদিন আমি যখন ইউনিভার্সিটি যাওয়ার চিন্তা করেছিলাম সেইদিন সকাল থেকেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছিলো।অনেক সময় আমাদের এখানে বৃষ্টি হলে আমার ইউনিভার্সিটির দিকে বৃষ্টি হয় না।

IMG_20250618_041703.jpg

IMG_20250618_041731.jpg

কারন আমার বাড়ি থেকে ইউনিভার্সিটির দূরত্ব প্রায় 20 কিলোমিটার।তাই সাতপাঁচ না ভেবে বৃষ্টির মধ্যে স্নান সেরে ঠাকুর পূজা দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম রাস্তায়।আবার বৃষ্টির মধ্যে এক কিলোমিটার হেঁটে তবেই টোটো ধরতে হবে।কিন্তু এই বৃষ্টির মধ্যে আমি তো হেঁটেই চলেছি কোনো টোটো এর দেখা নেই।যেহেতু বৃষ্টির দিন তাই অনেকটা সময় পার হওয়ার পর একটি টোটো পেলুম,যেটা ধরে স্টেশন গেলাম।সেখানে আবার টিকিট কাটতে গিয়ে আরেক মুশকিল।

IMG_20250618_041652.jpg

IMG_20250618_041716.jpg

আমি চাইলাম,বর্ধমান রিটার্ন টিকিট।উনি আমাকে দিলেন পাণ্ডুয়ার টিকিট সেটা ফেরত নিলাম।এরপর অসহ্য বৃষ্টির মধ্যে ট্রেন আসলো লেট করে।কোনরকম তো ট্রেনে করে বর্ধমান চলে গেলাম,কিন্তু আমার ধারণার পুরো উল্টো কান্ড এখানে।যেখানে ভেবেছিলাম এখানে বৃষ্টি হচ্ছে না সেখানে দেখি বর্ধমানে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে।তার মধ্যে ইউনিভার্সিটি যাওয়ার জন্য টোটো ধরতেই অর্ধেক ভিজে গেলাম।এবারে কোনোরকম টোটো চড়ে ইউনিভার্সিটির যেই না কাছাকাছি গিয়েছি সেই রানিং টোটো থেকে আমার জলের বোতল পড়ে গেল নিচে।তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে তাই আর টোটো থামাতে বলিনি,তবে দুইমাস আগেই আমি একটা বোতল হারিয়েছি।

IMG_20250618_041634.jpg

IMG_20250618_041743.jpg

এটি যেহেতু কাছাকাছি পড়েছিলো তাই আমি বৃষ্টির মধ্যে গিয়ে আবার নিয়ে আসলাম।যাইহোক এবারে ইউনিভার্সিটিতে গিয়েই কিছু গল্প,কয়েকটি ক্লাস আর ক্যান্টিনে খেতে যাওয়া সবই হলো।কিন্তু শেষ দিকে এসে কারেন্ট চলে গেল, তখন ইউনিভার্সিটি পুরো ভূতুড়ে টাইপের মনে হচ্ছিলো।বিশেষ করে এই বারান্দার খোলা দরজার দৃশ্যটি আরো অদ্ভুত ছিল।এবারে বৃষ্টিমুখর পরিবেশের কয়েকটি ছবি তুললাম, দুই একটি ছোট গাছ ভেঙে পড়েছে বৃষ্টিতে।সবমিলিয়ে ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার মুহূর্তটি খুবই বিরক্তিকর ছিল যদিও বাকি মুহূর্তগুলি বেশ ভালোই কেটেছিলো।


আশা করি আমার আজকের অনুভূতিগুলি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।পরের দিন আবার নতুন কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে, ততক্ষণ সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।

পোষ্ট বিবরণ:

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PkpkXyXwzmWEkSA7U2PjRr7VoGxjyzQFnZHCkVBWn57JTVUvY7omc512mhJJX...vDZX3Fcaov38Zxjxq21rAE9wN1b8HnrBKZamZjaRXZMJVUcaVKGLWFRFVNG6MXCo9ptvvGTefY61oasZ4TrQFVwMiYWBFUH8ivxFm1LbtvBRqtkowye4ZCeEyk.png

শ্রেণীজেনারেল রাইটিং
ডিভাইসpoco m2
অভিবাদন্তে@green015
লোকেশনবর্ধমান

3DLAmCsuTe3bV13dhrdWmiiTzq9WMPZDTkYuSGyZVu3GHrVMeaaa5zs2PBqZqSpD3mqpsYSX3wFfZZ5QwCBBzTwH9RFzqAQeqnQ3KuAvy8Nj1ZK1uL8xwsKK6MgDT8xwdHqPK76Y63rPyW9N4QaubxdwM3GV2pD.gif

আমার পরিচয়
আমি রিপা রায়।আমার স্টিমিট ইউজার আইডি @green015.আমি একজন ভারতীয়।আমি বর্ধমান ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি,ইতিহাস বিষয় নিয়ে।বর্তমানে আমি ওখানেই অধ্যয়নরত আছি।এখানে বাংলা ভাষায় মন খুলে লেখালেখি করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।এছাড়া আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্ববোধ করি।

IMG_20240429_201646.jpg
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last month