কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে বিশেষ বিশেষ তথ্য
আজ - বুধবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমার আজকের পোস্টে বিভিন্ন বিষয়ের রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে সাজানো। যা পড়লে অনেক বিষয়ে তথ্য পাবেন ইনশাআল্লাহ। তাই চলুন আর দেরি না করে এখনই মনোযোগ সহকারে পড়া শুরু করি এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝার চেষ্টা করি মূল বিষয়।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
ফটোগ্রাফি
আপনারা সকলে অবগত রয়েছেন যে আমাদের ক্যাডেটমুখী বিদ্যালয়ের নাম 'গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল' যেহেতু ক্যাডেট মুখি স্কুল তাই প্রতিনিয়ত অ্যাসেম্বলি ক্লাস ও পিটি প্যারেড করানো হয়ে থাকে। ২০২২ সালের লাস্ট দুই পিটি প্যারেডের অংশবিশেষ আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হয়েছে। এরপরে আর কোন পিটি প্যারেড করানো হয়নি কারণ ফাইনাল পরীক্ষা ডিসেম্বরের ১৮ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবস এবং ১৫ই ডিসেম্বর লাস্ট পিটি প্যারেড করানো হয়। বুদ্ধিজীবী দিবসে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুক্তিযুদ্ধের যাবতীয় বিষয় ছাত্রছাত্রীদের মাঝে একটু একটু করে তুলে ধরেছিলেন। আমাদের প্রধান শিক্ষক একজন মুক্তিযোদ্ধা, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক গেম টিচার। উনি তার জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন, যা আমাদের অজানা ছিল। দুইটা দিনই একইভাবে আমাদের অনেক বিষয় সম্পর্কে অবগত করেছেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে অনেক আগেই ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে। তবে আমাদের এখানে অনেক বিষয় মাথায় রেখে ফাইনাল পরীক্ষা ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ শুরু করা হয়। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য,একদিকে অভিভাবকদের মন সন্তুষ্ট রাখার, ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার মধ্যে ধরে রাখার চেষ্টা। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় নিজেদের উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা ইত্যাদি বিষয়কে মাথায় রেখে পরীক্ষা ডিসেম্বর মাসের ৩য় সপ্তা দেওয়া হয়। নিজের ছেলেমেয়েদের পরীক্ষা তাই অভিভাবকেরা এসে বসে রয়েছেন। ঠান্ডার সকাল তাই সবাই একত্রে রোদে বসে রোদ তাপয়াছে। কেউ খেলছে লুডু খেলা আবার কেউবা গুটি সারা খেলা ব্যস্ত। এভাবেই দুই আড়াই ঘন্টা বসে থাকতে হয় তাদের। আড়াই ঘন্টার পরীক্ষায় ছেলেমেয়েরা এক ঘন্টায় কাজ সম্পন্ন করতে পারে এরপরের সময় বুঝে কথা। অনেক সময় দেখা যায় ম্যাজিস্ট্রেট, এসিল্যান্ড,উপদেষ্টা, পরিচালক ইত্যাদি পর্যায়ের মানুষ এসে উপস্থিত হয়ে যায় তাই নির্দিষ্ট সময় ছাড়া তাদেরকে ছেড়ে দেয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনা। গত পরশুদিন ইংরেজি পরীক্ষা চলাকালীন নাদির হোসেন শামীম এবার ফাইনাল পরীক্ষার প্রশ্ন কম্পোস্ট করা ও ছাপানোর দায়িত্ব আমি নিজেই নিয়েছি। মোবাইলের কিপটে ভয়েস টাইপিং করে স্কুলের সম্পূর্ণ প্রশ্ন আমি আর মুস্তাফিজুর সম্পন্ন করেছি। পাশাপাশি আপনাদের প্রিয় বাংলা ব্লগ ইউজার মারুফের প্রিন্টার থেকে প্রিন্ট আউট করে নেওয়া হয় রাতে। তবে ঠান্ডার সন্ধ্যায় মুড়ি চিবাতে চিবাতে কাজ করার মজাই আলাদা। মূল পেজ কপি করে নেওয়া হয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের কম্পিউটার দোকান থেকে। এভাবেই চারটা পরীক্ষা সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়েছে। আশা করি আগামী বৃহস্পতিবার ও রবিবারে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়ে যাবে। আসলে স্কুলের বিশেষ কিছু বিষয় আমাদের বেশি মাথা ঘামাতে হয় স্কুলের উন্নয়নের জন্য। যেমন আজকে অনেক ফুল গাছ কিনে এনেছি আবারো ফুলবাগানকে নতুন সাজে সাজাতে চাই। হয়তো তার ফটোগ্রাফি গুলো আপনারা খুব দ্রুত পেয়ে যাবেন।
|
---|
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৬ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্ট, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আমরা যেভাবে আমাদের স্কুলটাকে চালিয়ে যাচ্ছি খুব দ্রুত ভালো একটা অবস্থান আশা করছি। একবার যদি আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ক্যাডেটে ভর্তি করাতে পারি তাহলে তো আর কোন কথাই থাকবে না। এর সাথে যে ধরনের কার্যক্রম আমরা পরিচালনা করি তার সকলেরই ভালো লাগছে।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।