চালকুমড়ার বিচি ভর্তা।
হ্যালো বন্ধুরা
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি,সুস্থ আছি।
চালকুমড়া আমাদের দেশে জনপ্রিয় একটি সবজি। ঘরের চালে এ সবজি ফলানো হয় বলে এটি চাল কুমড়া নামে পরিচিত। তবে চাল কুমড়া শুধু চালে নয় এই সবজি এখন মাচায় এবং জমিতেও চাষ করলে ফলন ভালো হয়।চালকুমড়া পুষ্টিকর একটি সবজি। এতে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার রয়েছে তাই চাল কুমড়ার উপকারিতা অনেক। যক্ষ্মা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাস্ট্রিকসহ বহু রোগের উপশম করে চাল কুমড়া।চালকুমড়া তরকারি হিসেবে খাওয়া ছাড়াও মোরব্বা,পায়েস,বড়া,ভাজা খাওয়া যায়।চালকুমড়ার কচি পাতা ও ডগাও শাক হিসেবে খাওয়া যায়।ঠিক তেমনি এর বিচিতেও অনেক স্বাস্থ্যউপকারিতা রয়েছে।চালকুমড়ার বিচি গুলো আমরা সাধারণত ফেলে দেই।আমি আজ চালকুমড়ার বিচি দিয়ে সুস্বাদু একটি ভর্তা তৈরি করেছি।চলুন তাহলে ভর্তার রেসিপি টি জেনে নেওয়া যাক।
চালকুমড়ার বিচি |
---|
রসুন |
কাঁচামরিচ |
শুকনা মরিচ |
কালোজিরা |
লবণ |
হলুদগুঁড়া |
সয়াবিন তেল |
সরিষার তেল |
প্রথম ধাপঃ
চালকুমড়ার মাঝের অংশ টি বিচি সহ কেটে নিয়েছি।তারপর ধুয়ে কুঁচি কুঁচি করে কেটে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপঃ
চুলায় একটা কড়াই বসিয়ে দিয়েছি।তারপর পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দুইটা শুকনা মরিচ মাঝখানে ছিঁড়ে তেলের মধ্যে দিয়ে দিয়েছি।নেড়েচেড়ে ভেজে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপঃ
শুকনা মরিচ ভাজা হলে কালোজিরা ফোঁড়ন দিয়ে রসুনের কোয়া গুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে লাল লাল করে ভেজে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপঃ
রসুনের কোয়া গুলো ভাজা হলে কাঁচামরিচ গুলো দিয়ে হালকা করে ভেজে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপঃ
এবার কুমড়ার বিচি গুলো দিয়ে লবণ হলুদগুঁড়া দিয়ে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপঃ
অল্প আঁচে নেড়েচেড়ে চালকুমড়ার বিচি গুলো ভেজে যখন লাল লাল হয়ে আসলে চুলার আঁচ বন্ধ করে দিয়েছি।
সপ্তম ধাপঃ
শিল পাটা ধুয়ে মুছে নিয়ে ভাজা কুমড়ার বিচি গুলো শিল পাটায় তুলে নিয়েছি।
অষ্টম ধাপঃ
একবার হালক করে বেটে নিয়েছি।তারপর আবার আরেকবার মিহি করে সবগুলো উপকরণ বেটে নিয়েছি।তারপর দুই কোয়া রসুন বেটে নিয়েছি।কাঁচা রসুনের স্বাদ আমার অনেক ভালো লাগে তাই। যারা পছন্দ করেন না তাদের দেওয়ার দরকার নাই।
নবম ধাপঃ
সবগুলো উপকরণ মিহি করে বাটা হলে হাতে অল্প পরিমাণে সরিষার তেল নিয়ে ভালো করে মেখে নিয়েছি।আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেলো মজাদার চালকুমড়ার বিচি ভর্তা রেসিপি টি।
পরিবেশন
ছোট একটা বাটিতে ভর্তা গুলো তুলে নিয়ে দু'টো কাঁচামরিচ ও পুদিনাপাতা দিয়ে সাজিয়ে নিয়েছি।
চাল কুমড়ার বিচি আমাদের শরীরের জন্য এত উপকারী তা আমার জানা ছিল না। ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। চাল কুমড়ার বিচি দিয়ে এরকম ভর্তা তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। নতুন একটি রেসিপি আপনার কাছ থেকে শেখা হলো। খুব তাড়াতাড়ি এটি ট্রাই করে দেখব। ইউনিক ও মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জ্বি আপু চালকুমড়া এবং এর বিচি আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী।অবশ্যই আপু ট্রাি করে দেখবেন আশাকরি আপনার অনেক ভালো লাগবে।ধন্যবাদ আপু।
দুর্দান্ত রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু আপনার ভর্তা রেসিপি গুলো সব সময় ভালো হয়। চাল কুমড়া আমাদের সকলের অনেক প্রিয় এবং চাল কুমড়া অনেক উপকারী একটি সবজি। তবে চাল কুমড়ার বিচি গুলো যদি নরম হয় তাহলে খেতে ভালো লাগে। কিন্তু শক্ত বিচি গুলো তেমন দেওয়া হয় না। আপনি যেভাবে ভর্তা করে দেখালেন তাহলে তো অনেক ভালো হবে এভাবে বিচি দিয়ে ভর্তা করে খেলে। অনেক ভালো লেগেছে আপনার আজকের রেসিপিটি ধন্যবাদ আপু।
জ্বি বিচি বেশি শক্ত হলে খেতে ভালো লাগেনা,তখন বিচির উপরের অংশ টা ফেলে দিতে হয় তা না হলে খাওয়া যায় না।ভর্তা রেসিপি টি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমার খুব ভালো লাগলো আপু।ধন্যবাদ আপু।
নতুন এবং ইউনিক একটি রেসিপি আজ আপনার মাধ্যমে দেখতে পেলাম।।
আসলে চাল কুমড়ার বিচি দিয়ে যে এত মজাদার রেসিপি প্রস্তুত করা যায় সেটা আমার।।
রেসিপিটি দেখে জিভে জল চলে আসলো খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হবে।।।
জ্বি ভাইয়া খেতে অনেক মজা হয়েছিলো।আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া।
চালকুমড়ার বিচি যে খাওয়া যায় এটা আমি আজ জানলাম। তাছাড়াও চাল কুমড়োর যে এত উপকারিতা রয়েছে সেটা হয়তো আপনার পোস্ট না পড়লে জানতেই পারতাম না দিদি। আমার কাছে দেখে তো বেশ ভালোই মনে হচ্ছে, খেতে অবশ্যই অনেক ভালো হয়েছে।
হ্যাঁ দাদা চালকুমড়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।এর বিচির মধ্যেও অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে।নরম বিচি গুলো বেটে বড়া,ভাজি, এরকম ভর্তা করে খেলে খুবই ভালো লাগে।ধন্যবাদ দাদা।
চাল কুমড়ার বিচি কখনো এভাবে ভর্তা করে খাওয়া হয়নি। আপনি তো খুব সুন্দর করে ভর্তা রেসিপি করেছেন । যেকোনো ধরনের ভর্তা খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। অনেক ভালো লাগলো একসময় এভাবে তৈরি করার চেষ্টা করব।
আমিও যেকোনো ভর্তা খেতে খুবই পছন্দ করি।তাই মাঝে মধ্যে একটু নতুন নতুন ভর্তা করার চেষ্টা করি।অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
চাল কুমড়ার বিসিক হত্যা করার দারুন একটা পদ্ধতি আসবে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এই রেসিপিটা আমারও খেতে অনেক ভালো লাগে। এই রেসিপিটা আমাদের এলাকাতে অনেক সুনাম অর্জন করেছে।
হ্যাঁ ভাইয়া এভাবে চালকুমড়ার বিচি ভর্তা করে খেতে অনেক ভালো লাগে।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আন্টি আমরা তো চাল কুমড়ার বিচিগুলো না খেয়ে ফেলে দিই। কিন্তু আপনি সেই বিচিগুলো দিয়েই অনেক সুন্দর একটি ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। সুন্দর একটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আন্টি।
আমিও আগে ফেলে দিতাম পরে একদিন দেখি আমার মা এরকম বিচি গুলো দিয়ে বড়া বানিয়েছে খেতে এতো বেশি ভালো লাগছে যা বলার মতো না।তখন থেকে আমি আর ফেলে দেই না।তোমাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাহ্ আন্টি আপনি আপনার মায়ের থেকে সুন্দর একটি রেসিপি শিখে নিয়েছেন বেশ ভালো লাগলো জেনে।
চাল কুমড়ার বিচি ভর্তা আমার মায়ের খুবই পছন্দের একটি রেসিপি। আর তাই আমার মা মাঝে মাঝেই এই মাজার ভর্তা তৈরি করে আমাদের খাওয়াতো। তবে অনেকদিন থেকেই এই চাল কুমড়ার ভর্তা রেসিপিটি খাওয়া হয়নি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে চাল কুমড়া বিচি ভর্তা রেসিপির প্রতিটি ধাপ তুলে ধরেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার মা(আন্টির) খুবই পছন্দের খাবার জেনে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া।সব মায়েরাই এরকম ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে অনেক মজার মজার রেসিপি তৈরি করে।ধন্যবাদ ভাইয়া।আন্টি কে আমার প্রণাম জানাবেন।🙏❤️
এ ধরনের রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি কিন্তু আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে কতটা লোভনীয় ছিল।চালকুমড়ার বিচি ভর্তা অনেক ধন্যবাদ। এত সুন্দর একটি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
একদিন খেয়ে দেখবেন ভাইয়া অনেক ভালো লাগবে।সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
বড়দি এই খাবারটা আমার মা বেশ পছন্দ করেন। আমি অবশ্য মিষ্টি কুমুড়ের বিচি ভাজি খেতে ভালোবাসি। মা দেখেই বলছে, ইস কবে থেকে খাওয়া হয় না। মা বললো কালোজিরা দিয়ে কখনো করে দেখে নি। তাই এরপরের বার কালোজিরা দিয়ে ট্রাই করবে। আর রেসিপিটার জন্য আমার মায়ের পক্ষ থেকে অনেক ধন্যবাদ বড়দি।
মাসি মার পছন্দের খাবার জেনে খুবই ভালো লাগলো।কালোজিরা দিয়ে করলে খেতে অনেক সুস্বাদু হয় ছোড়দা।মাসি মা'কে আমার প্রণাম জানাবেন ছোড়দা।🙏🙏🙏❤️❤️