মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সকল সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি।

আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নতুন একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করছি আশাকরি আমার আজকের রেসিপি পোস্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে।

ডিম চিচিঙ্গার ঘন্ট

চিচিঙ্গা একটি উপকারী সবজি যা বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে। এটি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, এবং ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়াও, চিচিঙ্গা চোখের স্বাস্থ্য, ত্বক ভালো রাখতে এবং হজমক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়ক।চিচিঙ্গা কার কাছে কেমন লাগে জানিনা তবে আমার কাছে এটি ভীষণ পছন্দের একটি সবজি।তাই তো বাজারে গেলেই আমি অল্প হলেও কেনার চেষ্টা করি।তারপর নিজের পছন্দসই রান্না করে খাই।আমার বাচ্চাদেরও পছন্দের তালিকায় রয়েছে চিচিঙ্গা।

রেসিপির উপকরণ

চিচিঙ্গা
ডিম
পেঁয়াজ
কাঁচা মরিচ
আদা-রসুনবাটা
জিরাগুঁড়া
মরিচের গুঁড়া
লবণ
হলুদগুঁড়া
তেল

ধাপ-১

প্রথমে কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে পেঁয়াজ কাঁচামরিচ গুলো দিয়ে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে বাদামি করে ভেজে নিয়েছি।

ধাপ-২

পেঁয়াজ ভাজা হলে তার মধ্যে একটি ডিম দিয়ে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে পেঁয়াজের সাথে ডিম গুলো মিশিয়ে নিয়েছি।তারপর কিছুক্ষণ ধরে ভেজে ডিম গুলো একটা বাটিতে তুলে নিয়েছি।

ধাপ-৩
এবার কড়াইয়ে আবার কিছুটা তেল দিয়ে ঝুরি ঝুরি করে কেটে রাখা চিচিঙ্গা গুলো দিয়ে,তার মধ্যে লবণ হলুদ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কিছুক্ষণ রান্না করে নিয়েছি।

ধাপ-৪
কিছুক্ষণ পর ঢাকনা খুলে অল্প আছে নেড়েচেড়ে চিচিঙ্গা গুলো ভেজে নিয়েছি।

ধাপ-৫

এবার আদা রসুন বাটা ও গুঁড়া মসলাগুলো দিয়ে দিয়েছি।

ধাপ-৬

মসলাগুলো দেয়ার পর সামান্য একটু জল দিয়ে ভালোভাবে মসলাগুলো কষিয়ে নিয়েছি যাতে করে কাঁচা মসলার গন্ধ না আসে।জল শুকিয়ে চিচিঙ্গা গুলো ভাজা ভাজা হয়ে আসলে তার মধ্যে ভেজে রাখা পেঁয়াজ ও ডিম গুলো দিয়ে দিয়েছি।

ধাপ-৭
ডিম গুলো দেওয়ার পর সামান্য একটু জল দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করে নিয়েছি।জল শুকিয়ে মাখো মাখো হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেল ডিম চিচিঙ্গার ঘন্ট রেসিপি টি।

ফাইনাল লুক

এই রেসিপিটি গরম ভাত কিংবা রুটি পরোটা যে কোনো কিছুর সাথেই খাওয়া যায় এবং খেতেও খুব দারুন লাগে।খুবই অল্প উপকরণ দিয়ে যে কেউ এভাবে রেসিপিটি তৈরি করে ফেলতে পারবেন।আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে?

ধন্যবাদ।

VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy