সাবুদানা'র পায়েস
হ্যালো বন্ধুরা
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সকল সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নতুন একটি রেসিপি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।আশাকরি আমার আজকের রেসিপি পোস্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে!
সাবুদানা আমরা সকলেই কমবেশি চিনি এবং এর গুণাবলী সম্পর্কে মোটামুটি সকলেরই জানা।তারপরও সংক্ষেপে একটু বর্ণনা দিচ্ছি....সাবুদানা হলো ছোট ছোট মুক্তার মতো দানাদার এক ধরনের খাদ্যশস্য, যা মূলত কাসাভা (ট্যাপিওকা) গাছের শিকড় থেকে তৈরি হয়। রান্নার পর এগুলো স্বচ্ছ, নরম ও হালকা চটচটে হয়ে যায়। সাবুদানা সহজপাচ্য ও পুষ্টিগুণে ভরপুর, বিশেষত উপবাসের সময়ে খাওয়ার জন্য এটি জনপ্রিয়।সাদা মুক্তোর মতো দানাদার আকৃতি।রান্নার পর স্বচ্ছ ও নরম হয়।স্বাদে হালকা, অন্য উপকরণের স্বাদ সহজে শোষণ করে।শক্তি ও কার্বোহাইড্রেটে সমৃদ্ধ।সাবুদানার খিচুড়ি,সাবুদানার পায়েস,বড়া বা ভাজা,বিভিন্ন ডেজার্ট ও পানীয় ইত্যাদি তৈরি করা যায়।
গতকাল রাতে কেনো জানি কিছুই খেতে মন চাইছিলো না তাই হঠাৎ করেই মনে হলো সাবুদানার পায়েস করি আর সাথে ফুলকো ফুলকো লুচি তাহলে রাতের খাবার টা বেশ জমে যাবে..!সেই চিন্তা থেকেই বানিয়ে ফেললাম সাবুদানার পায়েস,আর সাথে রেসিপির ছবি গুলো তুলে নিলাম যাতে করে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারি।রাতের বেলায় ছবি তোলা জন্য ছবিগুলো খুব একটা পরিস্কার হয়নি তবে বোঝার মতো হয়েছে।রান্নার ছবি যদি ভালো না আসে সেগুলো শেয়ার করতে আমার একদম ভালো লাগে না।আমি খুব অল্প কাজ করি কিন্তু আমি সবসময়ই আমার বেস্ট টাই শেয়ার করার চেষ্টা করি।ছবি গুলো খুব ভালো না হলেও রেসিপি টি কিন্তু চমৎকার হয়েছিলো তাই শেয়ার না করে থাকতেই পারছি না।চলুন তাহলে রেসিপি টি জেনে নেওয়া যাক।
সাবুদানা'র পায়েস
উপকরণ
প্রথমে সাবুদানা গুলো ভালো করে বেছে নিয়েছি,যাতে কোনো ময়লা না থাকে।তারপর অল্প আঁচে কাঠ খোলায় কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে হালকা করে ভেজে নিয়েছি।এভাবে রান্না করলে সাবুগুলো গলে যাবে না বরং খেতে সুস্বাদু লাগে।

এবার একটা পাতিলে এক লিটার গরুর দুধ দিয়ে বারবার নেড়েচেড়ে কিছুক্ষণ ধরে জাল দিয়ে নিয়েছি।দুধ যখন ঘন হয়ে আসছে তখন ভেজে রাখা সাবুদানা গুলো ঢেলে দিয়েছি।

সাবুদানা গুলো দেওয়ার পর অনবরত নাড়তে থাকলাম যাতে করে দলা পাকিয়ে না আসে।ভাজা সাবুদানা যদিও বা খুব একটা দলা পাকিয়ে যায় না তারপরেও অনবরত নাড়তে থাকলাম।

এবার তেজপাতা এলাচ গুলো দিয়ে আরো কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে জাল দিয়ে নিলাম।তারপর স্বাদমতো চিনি দিয়ে ভালোভাবে সবগুলো উপকরণ মিশিয়ে নিলাম।

এবার কিসমিস ও ভেজে রাখা বাদাম থেঁতো করা গুলো দিয়ে খুব ভালোভাবে নেড়েচেড়ে একদম মৃদু আঁচে কিছুক্ষণ রান্না করে নিলাম,যাতে করে বাদাম কিসমিস গুলো একটু নরম হয়ে আসে।তারপর যখন দুধ ঘন হয়ে একদম ক্ষীরের মতো হয়ে আসছে,তখন চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি।আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেলো মজাদার সাবুদানার পায়েস রেসিপি টি।
এরপর পায়েসের সাথে খাওয়ার জন্য কয়েকটা ফুলকো লুচি তৈরি করে নিলাম।সেই রেসিপিটি অবশ্য করা হয়নি তবে পরবর্তী সময়ে কিভাবে ফুলকো লুচি তৈরি করা যায় এই রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
ফাইনাল লুক
আশাকরি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে?সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করে আজ এখানেই শেষ করছি।
OR
সাবুদানা দিয়ে পায়েস তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। সাবুদান আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আর পায়েস খেতেও বেশ ভালো লাগে। আপনার তৈরি করার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে যেভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।