আসসালামু আলাইকুম/আদাব
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটি বন্ধুরা
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে সোমবার ,১৩ অক্টোবর ২০২৫

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। কেমন আছেন আপনারা সবাই। আশা করছি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন। আমি ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকে আবার আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম একটি রেসিপি নিয়ে। তবে আজকে শেয়ার করা আমার এই রেসিপি পোস্ট এর মধ্যে বেশিরভাগেরই আমার আনন্দ এবং অনুভূতির প্রকাশ ঘটিয়েছি। পপকন খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। এমনিতেও বাইরের যেকোনো ধরনের ফাস্টফুড বা এই ধরনের খাবারগুলো সবাই অনেক পছন্দ করে। আমার ছেলে তো খুবই পছন্দ করে পপকন খেতে। তবে বাইরে থেকে যখনই পপকন কিনে আনি সেগুলো প্যাকেটজাত হলেও অনেক সময় নরম হয়ে যায় বা কবে তৈরি করা হয় সেটার ডেট ও দেওয়া থাকে না। তাছাড়া আমাদের বাড়িতে সবাই পপকন খেতে মোটামুটি পছন্দ করে। তাই আমি বাড়িতে নিজের হাতে পপকন তৈরি করি। পপকন তৈরি করা খুবই সহজ। বাড়িতে যখন খেতে ইচ্ছে করে তখন নিজে খুব তাড়াতাড়ি ভেজে গরম গরম পপকন খেতে পারি। সবাই এই খাবারের নাম পপকন বললেও আমরা এটাকে খই বা ভুট্টা ভাজা বলি। বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের খাবারের জিনিসের নাম। তাই আমরা সব সময় বইয়ের ভাষা বা যেটা বললে সবাই বুঝতে পারবে সেই ভাষাতে কথা বলার চেষ্টা করি। তবে আমাদের এলাকাতে ধানের ক্ষয় বেশি ভাজা হয়। তবে ধানের ক্ষয় ভাজতে অনেক ঝামেলা অনেক কিছু গোছাতে হয় তারপরে অনেক দেরি হয়। কিন্তু বাজার থেকে এভাবে ছোট ভুট্টার খই ভাজার জন্য শুধুমাত্র ভোটটা কিনে এনে বাড়িতে খুব সহজেই তৈরি করা যায় বলে আমরা এটা বেশি করি। তাছাড়া এভাবে খই তৈরি করে চিনি অথবা গুড় দিয়ে মোয়া মারি। শীতকালে তো এটা খেতে খুবই ভালো লাগে। এই যে সামনে শীতকাল আসছে এর মধ্যে শুরু হয়ে যাবে মুড়ি অথবা খই দিয়ে মোয়া তৈরি।এখন আমি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি কিভাবে পপকন বা ভুট্টার খই তৈরি করে।

প্রয়োজনীয় উপকরণ

ক্রমিক নম্বর	নাম
১	ছোট ভুট্টা
২	তেল
৩	লবণ

ভুট্টার খই বা পপকন তৈরি করার জন্য আমি প্রথমে বাজার থেকে কিছু ছোট ভুট্টা কিনে এনেছি। বাজারে হয়তো বা এই ভুট্টার নাম অন্য কিছু বলে কিন্তু আমার জানা নেই। আপনারা যদি এই ছোট ভুট্টার অন্য কোন নাম জেনে থাকেন সেটা অবশ্যই আমাকে কমেন্টে জানাবেন।

খই বা পপকন তৈরি করার জন্য প্রথমে আমি একটি পাত্রে তেল দিয়ে নিলাম। তেলের পরিমাণটা যতোটুকু ভোট্টা দেবেন তার থেকে একটু বেশি দিতে হবে। তাহলে খুব সুন্দর ভাবে খই গুলো হয়।

তেল গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে অল্প পরিমাণে লবণ দিয়ে দিবেন। তারপর তেলের পরিমাপ অনুযায়ী ছোট ভুট্টা দিয়ে দিতে হবে। এরপর এক থেকে দেড় মিনিট নাড়াচাড়া করলে ভুট্টা ফুটে খই হতে শুরু।

তবে যখন পপকন বা খই গুলো ফুটতে শুরু করবে তখন একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে না হলে সব বাইরে পড়ে যায়। আপনারা আমার ছবিটা দেখলেই বুঝতে পারবেন কিভাবে ছোট ভুট্টা থেকে বড় বড় পপকন হচ্ছিল। যখন এগুলো ফোটে তখন শব্দ হয় আর এই শব্দটা শুনে আমার ছেলে ভীষণ আনন্দ পায়। তাই আমি যখনই এই রেসিপিটা তৈরি করি তখনই আবু রায়হানকে সাথে নিয়ে করি। এতে ও অনেক আনন্দ পায় আর খুব আনন্দের সাথে এই পপকন খাই। বাজার থেকে কিনে আনার চেয়ে এভাবে ছোট ভুট্টা কিনে বাড়িতে তৈরি করলে অল্পতেই গরম অনেক বেশি পপকন তৈরি করা যায়। তাছাড়াও যখন ইচ্ছা তখন গরম গরম তৈরি করে খাওয়া যায়। আপনাদের কাছে আমার আজকের এই রেসিপিটা কেমন লাগলো সেটা অবশ্যই জানাবেন। রেসিপি সাথে পপকন তৈরির অনুভূতিগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে। আপনাদের সবার সুস্থতা কামনা করে আজকে এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আবারো আপনাদের মাঝে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবার চেষ্টা করব। আল্লাহ হাফেজ।