"সুন্দরবনের কেওড়া ফল খাওয়ার অনুভূতি"
নমস্কার
"সুন্দরবনের কেওড়া ফল খাওয়ার অনুভূতি"
অনেক দিন পর যদি শৈশবের সেই চির পরিচিত ফল ফিরে পাওয়া যায় তাহলে আনন্দের আর শেষ থাকে না।কত স্মৃতি উপচে পড়ে মনে। হ্যাঁ বন্ধুরা, ঠিক তেমনই এই কেওড়া ফলগুলো।আমাদের বর্ধমানে কেওড়া ফল পাওয়া যায় না,তবে বারাসাতে পাওয়া যায়।তাই কয়েক দিন আগে যখন বাবা ও দাদা তাদের কাজ মেটানোর জন্য বারাসাত গিয়েছিলেন তখন কাজ মেটানোর পর কোর্টের মাঠ থেকে 80 টাকা কিলো দরে 500 গ্রাম কেওড়া ফল 40 টাকা দিয়ে কিনে এনেছিলেন।আমার ভাবতেও অবাক লাগে সেই শৈশবের কথা মনে পড়ে গেলে।যখন আমাদের নিজেদের নদীর পাশে বাড়ি ছিল আর নিজেদের কত কেওড়া গাছ ছিল।যে গাছের ডালে উঠে জোয়ারের সময় ভাটার সময় বসে থাকতাম আর কেওড়া খেতাম।বেশি টক না হলে ফেলে দিতাম আর কেওড়া পছন্দ করে বাছাই করে করে খেতাম।
যখন গাছ থেকে ডালসহ নামিয়ে কেওড়া খেতাম আর গাছের নিচে পড়ে থাকা পাকা কেওড়াগুলি কখনোই খেতাম না।অবশ্য সেই সময়ে অনেক এলাকায় ওই কেওড়ারও মূল্য ছিল আর 20 টাকা দরে কিলো বিক্রি হতো।আমাদের গাছ থেকে বাইরের অনেকেই কেওড়াসহ ডাল ভেঙে নিয়ে গিয়ে বাজারে কিংবা অন্য এলাকায় বিক্রি করতো।ইয়া বড় বড় কেওড়া গাছ আর কেওড়ার সাইজও বেশ বড় ছিল।আর একটি গাছ ছিল যার কেওড়াগুলি খুবই ছোট ছোট কিন্তু ভীষণই টক আর খেতে খুবই মজার ছিল ।যেটা আমার খুবই পছন্দের গাছ ছিল ,আমি প্রায় সেই গাছে উঠে বসে থাকতাম।অবশ্য আমি একা নই জোয়ারের সময় গেছো সাপও থাকতো দুই একটি গাছের ডালে।কখনো কেওড়ার মুকুট নিয়ে মাটিতে ঘুরিয়ে খেলতাম।
আর আজকের সময়ে কয়েক বছর হয়েছে শহরে এসে আমরা কেওড়া খায়নি ,এমনকি তার মুখ দর্শনও না করার মতো অবস্থা।তাই অনেক দিন পর সামনে পেয়ে বেশি দাম দিয়ে হলেও বাবা কিনে আনলেন,আমরা তো বেশ মজা করেই খেয়েছিলাম।তো কিভাবে খেলাম চলুন দেখে নিই---
উপকরণসমূহ:
2.জল
পদ্ধতিসমূহ:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি কেওড়ার মুকুটগুলি ফেলে দেব।
ধাপঃ 2
এরপর ভালোভাবে ধুয়ে নেব কেওড়ার গায়ের আঠাগুলি।
ধাপঃ 3
এবারে পরিমাণ মতো জল নিয়ে 3-4 মিনিট কেওড়াগুলি ফুটিয়ে সেদ্ধ করে নেব।এখন একটি পাত্রে ঢেলে নেব সেদ্ধ করা কেওড়াগুলি।
শেষ ধাপঃ
সবশেষে এগুলি ওই সেদ্ধ করা জলে গুলে নিয়ে কেওড়ার খোসা ও বিচিগুলি ফেলে দেব।এখন কেওড়ার রসগুলিতে সামান্য লবণ ও পরিমাণ মতো চিনি মিশিয়ে ভাত দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।আবার চাইলে অন্য রেসিপি তৈরি করে খাওয়াও সম্ভব।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
টাস্ক প্রুফ:
কমেন্টস লিংক--
https://x.com/green0156/status/1960694643424661843?t=OTvpzZey_9dc9UZk0AAKlA&s=19
https://x.com/green0156/status/1960695608366305594?t=c5LaEaiiKGddcbzYel3u6w&s=19
সুন্দরবনের কেওড়া ফল খাওয়ার অনুভূতি জানতে পেরে ভালো লেগেছে। এই ফল খায় খাইনি। আপনার অনুভূতি জানতে পেরে ভালো লেগেছে।
সুযোগ পেলে খেয়ে দেখবেন ভাইয়া, টক স্বাদের।
টুইটার লিংক
@green015, বেশ কিছু ছবি আপলোড হয়নি। এডিট করে ঠিক করে নেবে দ্রুত।
দাদা,এতে মাত্র 6 টি ছবি আপলোড করেছি।আমার এখান থেকে তো সবগুলোই আপলোড করা দেখাচ্ছে।আসলে ওটা মূলত অনুভূতিমূলক পোষ্টের সঙ্গে সঙ্গে একটু রেসিপিও তুলে ধরেছি।ধন্যবাদ দাদা।।