"রুই মাছের ডিম দিয়ে থানকুনি ও আলু ভাজি রেসিপি"
নমস্কার
রুই মাছের ডিম দিয়ে থানকুনি ও আলু ভাজি রেসিপি:
থানকুনি উদ্ভিদটি গ্রামাঞ্চলে খুবই দেখতে পাওয়া যায়।যদিও আমি এটি আমাদের বাড়িতে লাগিয়েছিলাম একটু জায়গা জুড়ে।কিন্তু এখন এটি অনেকটা জায়গা জুড়ে বিস্তার লাভ করেছে।যাইহোক থানকুনি বেটে খেতেও খুবই মজার, তবে আমি ভাজি খেতে পছন্দ করি।তাই এর সঙ্গে রুই মাছের ডিম ও আলু যুক্ত করেছি।আসলে থানকুনি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।তাছাড়া এটি একটি ঔষুধি উদ্ভিদসম্পন্ন।এই রেসিপিতে যেহেতু আমি কোনো ঝাল দিইনি তাই এটি স্যুক্ত হিসেবে সবার প্রথমেই পরিবেশন করতে হবে।এটি খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছিলো।আশা করি এই রেসিপিটি ভালো লাগবে আপনাদের সকলের কাছে।তো চলুন শুরু করা যাক---
উপকরণসমূহ:
2.থানকুনি- 1 ঝুঁড়ি
3.আলু- 4 টি
4.লবণ-1 টেবিল চামচ
5.হলুদ-1/2 টেবিল চামচ
6.পেঁয়াজ কুচি-2 টি
7.পাঁচফোড়ন-1/3 টেবিল চামচ
8.সরিষার তেল- 4 টেবিল চামচ
প্রস্তুত-প্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি থানকুনি বাগান থেকে কিছু থানকুনি তুলে নেব।এরপর পাতাগুলো একটি একটি করে বেছে নেব।
ধাপঃ 2
এখন ভালোভাবে ধুয়ে নেব থানকুনি পাতাগুলো।এরপর জল ঝরিয়ে নেব।
ধাপঃ 3
এরপর আলুগুলো চিকন করে কুচিয়ে নেব।তারপর জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নেব।
ধাপঃ 4
এখন আমি একটি পরিষ্কার কড়াই চুলাতে বসিয়ে দিলাম।এরপর পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়ে তার মধ্যে সামান্য লবন ও হলুদ দিয়ে নিলাম।এবারে কাঁচা ডিমগুলো তেলের মধ্যে দিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 5
এবারে ডিমগুলো হালকা করে ভেজে নিলাম।
ধাপঃ 6
এখন ভাজা ডিমের একপাশে কুচিয়ে নেওয়া পেঁয়াজ দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 7
এরপর পেঁয়াজগুলি হালকা ভেজে ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে তার মধ্যে আলু কুচিগুলি দিয়ে দেব।
ধাপঃ 8
এখন পরিমাণ মতো লবণ ও হলুদ দিয়ে মিশিয়ে নেব।
ধাপঃ 9
এবারে একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দেব যাতে আলুগুলি সেদ্ধ হয়ে যায়।
ধাপঃ 10
এখন আলুগুলি সেদ্ধ হয়ে গেলে থানকুনি দিয়ে দেব।আবারো পুনরায় ঢেকে রেখে দেব।
ধাপঃ 11
এরপর সবগুলো উপকরণ একত্রে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে কয়েক মিনিট রান্না করে নিলেই ভাজি রেডি হয়ে যাবে।
শেষ ধাপঃ
সবশেষে ভাজিটি একটি পাত্রে তুলে নিলাম।তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "রুই মাছের ডিম দিয়ে থানকুনি ও আলু ভাজি রেসিপি"।
পরিবেশন:
এটি এখন গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।এটি খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছিলো।।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
টাস্ক প্রুফ:
কমেন্টস লিংক--
https://x.com/green0156/status/1939558649443299500
https://x.com/green0156/status/1939559473166832000
https://x.com/green0156/status/1939560751938842937
https://x.com/green0156/status/1939561706956677360
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমার কাছে তো এরকম রেসিপি খেতে অসম্ভব ভালো লাগে। দেখে তো বুঝতেই পারছি এটা অনেক বেশি মজাদার হয়েছিল। সবাই একসাথে খেতে অসম্ভব ভালো লাগবে। এখন যদি পেতাম তাহলে তো মজা করে খেতে পারতাম। যারা কখনো এই রেসিপিটা তৈরি করেনি তারা সহজে এটা শিখে নিতে পারবে। নিশ্চয়ই মজা করে খেয়েছেন এই মজার রেসিপিটা। সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাইয়া, আসলেই মজা করে খেয়েছিলাম।ধন্যবাদ আপনাকে।
থানকুনি খাওয়া শরীরের জন্য অনেক উপকার। কিন্তু এমন রেসিপি আমার কাছে একদমই নতুন। থানকুনি দিয়ে তরকারি রান্না করে খেয়েছি তবে মাছের ডিম এমন ভাজি করে কখনো খাওয়া হয়নি। বেশ সুন্দর একটি রেসিপি শিখে নিলাম। এমন সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অবশ্যই দিদি,এইবার সুযোগ পেলে এভাবে তৈরি করে খেয়ে দেখবেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ আপু আপনি তো রুই মাছের ডিম এবং থানকুনি পাতা ও আলু দিয়ে মজাদার রেসিপি বানিয়েছেন। আপনার রেসিপিটি দেখে আর সত্যিই আমার জিভে জল এসে গেল। আর থানকুনি পাতা ওষুধি গাছও এই পাতাগুলো খেলে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হয়। অনেক অনেক ধন্যবাদ এত চমৎকার একটি রেসিপি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী শাক।ধন্যবাদ আপনাকে
থানকুনি শাক আমার ভীষণই পছন্দর একটু শাক। আপনি থানকুনি শাক দিয়ে খুব সুন্দর এবং সুস্বাদু একটি রেসিপি আজকে তৈরি করেছেন যা দেখেই আমার খেতে ইচ্ছা করছে। খুবই লোভনীয় এবং সুস্বাদু রেসিপি।
তাই,এই শাক আপনার পছন্দের জেনে ভালো লাগলো দাদা।ধন্যবাদ আপনাকে।
থানকুনি পাতা সত্যি অনেক বেশী ভেষজগুন সম্পন্ন একটা পাতা, আমি নিয়মিত খাই সেই ছোটবেলা হতে। তবে এর ভর্তা আমার কাছে বেশী প্রিয়।
হ্যাঁ ভাইয়া, আমি ছাড়া আমার পরিবারের সবাইও ভর্তা খেতেই বেশি পছন্দ করে।আর ভর্তা করেই প্রায় খেয়ে থাকে,অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
রুই মাছের ডিম দিয়ে থানকুনি ও আলু ভাজি রেসিপি দারুন হয়েছে আপু। দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজার হয়েছিল। নতুন একটি রেসিপি শিখতে পেরে অনেক ভালো লাগলো।
আসলেই অনেক মজার হয়েছিল খেতে,ধন্যবাদ আপু।