আমড়া মাখা রেসিপি ।। বাড়িতে তৈরি মসলা দিয়ে ।
প্রাণ প্রিয় বন্ধুগণ, আশাকরি মহান আল্লাহতালার অশেষ রহমতে সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন । আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি ।
উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|
আমড়া | চারটি |
শুকনা মরিচ গুড়া | আধা চা চামচ |
কাসুন্দি | ১টেবিল চামচ |
লবণ | পরিমাণ মত |
ব্লাক সল্ট | আধা চা চামচ |
মিক্সড মশল্লা | আধা চা চামচ |
সরিষার তেল | পরিমাণ মত |
শুকনা মরিচের সরাসরি গুড়া করে মাখানোর চেয়ে আমি খেয়াল করে দেখেছি মরিচ ভেজে গুড়া করে নিলে তার স্বাদ কয়েকগুণ বেশী পাওয়া যায় । আমার কাছে এমন ভাজা মরিচের গুড়া ছিল না তাই আজকে কিছু মরিচ প্রথমে মাটির খোলায় ভেজে নিলাম । মাটির খোলাতে মরিচ ভাজা ভাল হয় কারণ এতে সহজে পুড়ে যায় না এবং প্রতিটা মরিচ সমান ভাবে ভাজা হয়ে যায় ।
ভাজার পরে আমি শিলপাটায় বেটে নিলাম । তবে এর সাথে অবশ্যই একটু লবণ দিয়ে নিয়েছি । এতে করে মরিচের আসল স্বাদ পাওয়া যায় । সহজে গুড়া হয়ে যায় এবং এর ঝাঝ কম নাকে এসে আক্রমণ করে ।
যতটা সম্ভবটা সম্ভব মোলায়েম ভাবে গুড়া করে নেওয়ার চেষ্টা করলাম । বাকিটা দাঁতের ভরসায় ছেড়ে দিয়েছে । খাওয়ার সময় নিশ্চিত পেশায় হয়ে যাবে ।
এবার আমি চারটি আমড়া পিলার দিয়ে খোসা ছড়িয়ে নিলাম । আমি সাধারণত প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কিনে নিজের হেফাজতে রেখে দিই চাকু, পিলার, ব্লেন্ডার এগুলো একা হাতে ব্যবহার করি বলে কবে কিনেছি সেটাও আর মনে পড়ে না । তবে পিলারটা কিনে ছিলাম আমের সীজনে আচার করার জন্য।
এখন আমি আমড়া গুলো পানি দিয়ে ৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে দিয়েছিলাম । আমাড়ার খোসা ছাড়ানোর পরে উপরে আঠার স্তর জমে যায় অনেক খানি ।তাই ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে ফেললে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।
এবার ছোট ছুরি দিয়ে আমড়া গুলো লম্বা ফালি দিয়ে কেটে নিলাম ।
প্রতিটা মসলা আমড়ার কুচি গুলোর উপরে পরিমাণ মত দিয়ে দিলাম । আমার ঝাল ভাঙ্গা এবং মিক্সড মশল্লা এই দুইটার মাজগেই অল্প পরিমাণে লবণ আছে । তাই একটু স্বাদ নেওয়ার পরে বিট লবণ এবং সাধারণ লবন দিলাম। সাথে কাসুন্দি ও দিয়ে দিলাম পরিমাণ মত ।
দুইটা বাটি মুখোমুখি রেখে ঝাকি দিয়ে আমড়া এবং মসলা ভাল ভাবে ঝাকি দিয়ে মিশিয়ে নিলাম । খুব সুন্দর ভাবে মিশে গেছে । যদিও আটি গুলোতে মসলার পরিমাণ কম । কিন্তু সমস্যা নেই কারণ আমড়ার মাঝের দিকে টক নেই বললেই চলে।
এবার আমি একটা পিরিচে নিয়ে তুথ পিক দিয়ে পরিবেশন করলাম । ৩জনের জন্য তিনটা তুথ পিক । আমড়া খেতে সময় লাগলো দুই মিনিট কারণ স্বাদ হয়েছিল পারফেক্ট। তবে কাল যে বড় একটা পাত্রে গোটা বিশেক কেটে নেব এটা নিশ্চিত ।
আজকে আমার রেসিপি পোস্ট এখানেই সমাপ্ত করছি । আশা করি এটা আপনাদের একটু হলেও উপকারে আসবে যারা একটু স্বাদ করে আমড়া মেখে খেতে পছন্দ করেন । সবাই ভাল থাকবেন এই কামনা করে আজ বিদায় নিচ্ছি ।
ধন্যবাদান্তে | @maruffhh |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইসঃ | mobile |
মোবাইল নেমঃ | redmi 6a |
ক্যামেরাঃ | 8mp |

আমরা মাখা টাইটেলটি পড়তেই জিভে দল চলে আসলো 😋 এ ধরনের খাবার আমার খুবই ফেভারিট😋 একটু ঝাল ঝাল করে মাখানো হলে খেতে খুবই ভালোবাসি 😋আপনার প্রস্তুত করা খাবারটিও খুব মজা হয়েছিল দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
কালকে আমড়া মাখায় নাকি ঝাল অনেক বেশি হয়েছিল। তবে আমার কাছে ঠিক মনে একটু ঝাল না হলে স্বাদ পাওয়া যায় নাকি।
জি ভাইয়া ঠিক বলেছেন শুকনো মরিচের গুঁড়ার চেয়ে মরিচ পুড়িয়ে নিলে অনেক মজা হয় ভর্তাতে।আপনি বাড়িতে তৈরি করা মসলা দিয়ে অনেক সুন্দর করে আমড়া মাখিয়েছেন।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
মতামত প্রদানের জন্য ধন্যবাদ আপু । আর এই মসলা একদিন তৈরি করে নিলে অনেকদিন সংরক্ষণ করে খাওয়া যায় । এটাই সুবিধা ।
এই ধরনের টক জাতীয় খাবার মাঝে মাঝে খেতে খুবই মজা লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে আমরা মাথা রেসিপি করেছেন। যেটা খুবই সহজ পদ্ধতি অনেক ভালো লাগলো।
পদ্ধতি অবশ্যই সহজ৷। শুধু শিলপাটায় মরিচ গুড়া করতে গিয়ে আমার অবস্থা কেরোসিন হয়ে গেছিলো।
আর ধৈর্য ধরতে পারলেন না তাই পেড়েই ফেললেন। যাই হোক এমন হামলা মাখা রেসিপি দেখে আমার জিভে জল চলে আসলো। খেতে বেশি ইচ্ছা করছে আমার এখন। আমরা মাখা রেসিপিটি আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ।
ধন্যবাদ আপু। টক জিনিসটা আসলেই পীড়াদায়ক যদি না সময় মত না খেতে পাওয়া যায়। চোখের দেখা আর জিভে জল একেবারে নিরবচ্ছিন্ন কানেকশন।
আমড়া অনেক লোভনীয় একটি ফল এবং এটি আপনি যেভাবে রেসিপি বানিয়েছেন এভাবে দেখে জিবে পানি চলে আসছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে আমড়া মাখা প্রস্তুত করার জন্য ভালো থাকবেন।
অনেকদিন ধরেই অপেক্ষায় ছিলাম। তবে কাল এ বছরের মত প্রথম বার ট্রাই করেই ফেললাম। এর স্বাদ আমাকে হতাশ করেনি।
আসলে অনেক লোভনীয় ছিল, আর আপনাকে হতাশ করেনি জেনে আনন্দিত হলাম সুস্বাদু এবং মজা করে খেয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
যাক তবে ধৈর্যের বাধ ভেঙে এ বছরের আমড়ার স্বাদ নিলেন। আসলে এভাবে মসলা মেখে আমড়া খেলে অনেক সুস্বাদু হয়। আমার তো খুবই পছন্দের। দেখতে ও বেশ লোভনীয় লাগছে।
এদিকে গাছ পানে চেয়েই আমার লোভ লেগে যাচ্ছিলো। থোকায় থোকায় আমড়া যে কি পরিমাণ ধরে আছে। মনে মনে শুধু ভাবছি আর কিভাবে খাওয়া যায়।
আমরা মাখা খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আমরা গতকাল বাসায় আমরা মাখিয়ে খেয়েছি। তবে আপনার আমরা মাখা দেখে লোভ লেগে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি কালকে খেয়েছি সম্ভবত আজকেও খাবো। গাছে আমড়া যতদিন আছে প্রতিদিন খাওয়া চলবে। মিস দিয়ে আফসুস করতে আমি রাজি নই।
আপনি ভাই বেশ আমরা মাখাতে পারেন। বাড়িতে তৈরি মশলা দিয়ে খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে আজকে আমরা মাখিয়ে দেখানোর জন্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া। পারফেক্ট স্বাদের মশল্লা মানেই পারফেক্ট স্বাদের রেসিপি।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর একটি আমড়া মাখার রেসিপি দেওয়ার জন্য। আমড়া মাখা খেতে অনেক ভালো লাগে এটা একটি লোভনীয় খাবার, কাসুন্দি দিয়ে যেকোন টক ফল মাখালে খেতে অনেক ভালো লাগে।মিক্সড মসলাটা আমার কাছে ভালো লেগেছে এভাবে বানিয়ে রাখলে যেকোন টক ফল ঝটপট করে খাওয়া যাবে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকে ও ধন্যবাদ আপু। বিশেষ করে একটা নির্ভুল বানানে কমেন্ট করার জন্য।
মিক্সড মসলা তৈরি করে রেখেদিলাম ইচ্ছে হলেও খেতে পারবো যখন তখন।
ওয়াও অসাধারণ আমড়া মাখার রেসিপি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল। আমাদের বাড়িতে আমড়া অনেক আছে এটি আমি প্রায় খেয়ে থাকি। আপনার রেসিপি দেখে আমি এভাবে বানানোর চেষ্টা করব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার ও প্রায় একই অবস্থা । আমড়ার সীজনে প্রায় প্রতিদিন ই আমড়া মাখা খাওয়া হয় । এবং আজ ও পেড়ে নিয়ে আসলাম ।