কাঁচকি মাছকে মরিচ করে খাওয়া বাই @moarif বেনিফেসিয়াল সাই-ফক্স-১০%
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য।সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই যাঁর যাঁর অবস্থা থেকে ভালো আছেন।ঈদ পরবর্তী সময় সবাই আবার যাঁর যাঁর অবস্থানে ফিরে আসছেন আবার তাই সবাইকে স্বাগতম।যদি ও আমি এখনো আমার কাজ কর্মে ফিরে নাই বাড়িতে অনেক ব্যস্ততার মধ্যে দিন পার করতেছি।তবে আজ ঢাকা ব্যাক করছি আগামিকাল থেকে পুনরায় কর্মে ফিরে যাব।
তো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে একটি জনপ্রিয় রেসিপি নিয়ে এসেছি।সেটি হচ্ছে কাঁচকি মাছকে মরিচ করে খাওয়ার রেসিপি।
তো আমার কাঁচকি মাছের মরিচ করে খাওয়ার রেসিপি তৈরি করতে কী কী উপাদানগুলো সাহায্য বা প্রয়োজন হয়েছে তা নিম্মরূপ:
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
কাঁচকি মাছ | ৩০০- গ্রাম |
টমেটো | ১-টা |
হলুদের গুড়া | পরিমাণমত |
মরিচের গুড়া | পরিমাণমত |
লবণ | পরিমাণমত |
কাঁচা মরিচ | ৪-টা |
সরিষার তেল | পরিমাণমত |
আসলে কাঁচকি পেয়েছি আমার বাড়ীর জেঠাতো ভাইর বউয়ের বাপের বাড়ী থেকে।উনি শুনেছেন যে আমি ঢাকা থেকে বাড়িতে আসছি।তাই আমার জন্য বাপের বাড়ীর পুকুর থেকে জাল দিয়ে তুলে আমার জন্য বাড়ীতে আনা।তাই আমার আম্মু আমাকে একটু জাল করে তৈরি করে রান্না করেছেন।
প্রথমে আমি ৩০০ গ্রাম কাঁচকি মাছকে কেঁটে ও ধুঁয়ে একটা বাটিতে নিলাম।যেন পরিষ্কার দেখা যায়।
তাঁরপর মাটির চুলার উপর একটা কড়াই বসিয়ে দিলাম।এবং তাতে তাপ দিতে লাগলাম।যখন দেখলাম কড়াই শুকিয়ে গেল তখন এরমাঝে সরিষার তেল ঢেলে দিলাম।আর তেলকে গরম করে নিলাম
তাঁরপর যখন দেখলাম তেল গরম হয়ে গেছে তখন এর মাঝে আস্তে আস্তে পেঁয়াজ, হলুদের গুড়া, মরিচের গুড়া, কাঁচা মরিচ ও লবণ দিয়ে দিলাম।
তাঁরপরে এইগুলাকে ভালো করে নাড়াচড়া করে নিলাম সরিষার তেলের ভিতরে।আর যতক্ষণ না পর্যন্ত মসলাজাতীয় উপাদানগুলো লালচে দেখাচ্ছে না ততক্ষণ পর্যন্ত তেলের ভিতরে নাড়াচড়া করে নিলাম।*
যখন দেখলাম মসলাজাতীয় উপাদানগুলো লালচে দেখাচ্ছে তখন এর মাঝে কাঁচকি মাছগুলো ঢেলে দিলাম।এবং এর ভিতরে এইগুালারে নাড়াচড়া করে নিলাম।তাঁরপরে এর ভিতরে আবার টমেটো দিয়ে দিলাম।টমেটো দেয়ার পর এইগুালারে আবার কাঁচকি মাছসহ সব মসলাজাতীয় উপাদানগুলারে নাড়াচড়া করিয়ে নিলাম
টমেটোসহ সব মসলাজাতীয় উপাদানগুলোরে নাড়াচড়া করারপর এর মাঝে পানি ঢেলে দিলাম।পানি দেয়ার পর পাঁচ মিনিটের জন্য কড়াইকে ঢাকনা দিয়ে দিলাম।আর পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা তুলে দেখি হয়ে গেল আমার কাঁচকি মাছকে মরিচ করে খাওয়ার রেসিপি।
সর্বশেষ যখন দেখলাম আমার আমি কাঁচকি মাছ হয়ে গেল তখন কড়াই থেকে আমি আমার কাঁচকি মাছগুলারে ছোট্ট একটা পাতিলে নিয়ে রাখলাম।
অবশেষে আমি আমার কাঁচকি মাছকে মরিচ খাওয়ার রেসিপির ইতি টানলাম।
ছোট মাছ আমার খুব প্রিয়। আপনি খুব সুন্দর করে কাচকি মাছের দোপেঁয়াজো করেছেন। দেখি অত্যন্ত ভালো লাগলো। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে অত্যন্ত মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। এত অসাধারণ রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
কাঁচকি মাছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে এবং কাঁচকি মাছ খুব কম সংখ্যক লোক অপছন্দ করে। বিশেষ করে আমি অনেক পছন্দ করি। আর সেই কাঁচকি মাছের রেসিপি খুব সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ।
এই রেসিপিটি নাম কেন কাচকি মাছের মরিচ করে খাওয়া বুঝতে পারলাম না। যাই হোক পুকুরের কাচকি মাছ খেতে খুবই সুস্বাদু হয় আপনি গ্রামের বাড়িতে যাওয়া উপলক্ষে খুবই সুস্বাদু একটি মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। যা আসলেই অনেক লোভনীয় লাগছে দেখতে।
ধন্যবাদ।
আপনার রেসিপিটি অনেক সুন্দর হয়েছে।
আর রেসিপির কালারটাতো জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। দেখে একটু খাওয়ার ইচ্ছে জাগে গেল ভাইয়া।
দেখে মনে হচ্ছে রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি কাচকি মাছেকে মরিচ করে খাওয়ার রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
কৃতঙ্গতা প্রকাশ করছি।
ভাই আপনার টাইটেল দেখে আমি একটু অবাক হয়েছি। কাঁচকি মাছকে মরিচ করে খাওয়া টাইটেল পড়ে বুঝতে পারিনি। পরে আপনার পুরো পোস্ট দেখে বুঝতে পারলাম। অনেক মজা পেয়েছি ভাইয়া টাইটেল ও পুরো রেসিপি দেখে। কাঁচকি মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আমরা এই রেসিপিকে কাচকি মাছের ভুনা বলি।আমার কাছে কাচকি মাছ এভাবে রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপির কালার দেখতে অসাধারণ হয়েছে। খেতেও মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার জন্য ও রইল শুভ কামনা।
ভাই আপনাকে রেসিপিটা দেখেই জিভে জল চলে এসেছে। রেসিপের কালার খুব অসাধারণ ভাবে ফুটে উঠেছে। রেসিপির কালার দেখলে যে কারো জিভে জল চলে আসবে। ধাপে ধাপে খুব সুন্দর উপস্থাপন করেছেন আপনি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
আপনার কমেন্ট এর দ্বারা আমি উৎসাহিত হই পরবর্তী কোন রেসিপি নিয়ে আসতে আপনাদের মাঝে।
কাচকি মাছ খেতে অনেক সুস্বাদু। কাচকি মাছের গুনাগুন অনেক বেশি। আমি খুব সুন্দর করে কাচকি মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখে মনে হয় অর্ধভোজন হয়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার এত সুন্দর মন্ত্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
কাচকি মাছ আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি মাছ, এটি আমাদের চোখের জ্যোতি বাড়াতে সাহায্য করে, আপনার আজকের রেসিপিটি অসাধারণ ছিল অনেক ঝাল ঝাল মনে হচ্ছে, ঝাল ঝাল হওয়াতে মনে হচ্ছে আপনার আজকের রেসিপিটি অসাধারণ হয়েছে খেতে।
জ্বি একটু ঝাল করে রান্না খাওয়া।
আলু এবং বেগুন কুচি কুচি করে কেটে কাচকি মাছ রান্না করলে খেতে আরো বেশি সুস্বাদু হয়।এভাবে কাচকি মাছ খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। আপনি আজকে অনেক সুন্দর ভাবে পেঁয়াজ এবং টমেটো দিয়ে কাচকি মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। যা দেখে মানুষ খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে কাচকি মাছের এত সুন্দর একটি রেসিপি উপস্থাপন করার জন্য।
আপনার সুপরামর্শের জন্য অনেক কৃতঙ্গ।