মজাদার কাঁঠাল রান্নার রেসিপি।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম

আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আজকের নতুন ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।



প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি রেসিপি পোস্ট। আজ যে রেসিপি পোস্ট আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব সেটি হল মজাদার কাঁঠাল রান্নার রেসিপি। এই রেসিপিটি খেতে আমি অনেক পছন্দ করি। দীর্ঘ এক বছর অপেক্ষা করার পর যখন কাঁঠালের সিজন আসে তখন কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে এভাবে রেসিপি তৈরি করে প্রায়ই সময় খাওয়া হয়। আমি অনেক পছন্দ করি সেজন্য আমার আম্মু এই কাঁঠাল গুলো ডিপ ফ্রিজেও সংরক্ষণ করে রাখে যাতে পরবর্তীতেও খেতে পারি। তবে এই কাঁঠালের রেসিপিটি শুধু শুধু খেতেই বেশি ভালো লাগে। গরম গরম মজাদার এই কাঁঠাল রান্নার মধ্যে লেবুর রস যুক্ত করে খেতে অনেক দারুন লাগে। আপনারা কে কে এভাবে খেয়েছেন তারা অবশ্যই মন্তব্যে জানাবেন। তাহলে চলুন রেসিপির স্টেপগুলো দেখে নেওয়া যাক।





উপকরণসমূহ :

• কাঁঠাল
• পেঁয়াজ
• রসুন
• তেল
• জিরা
• দারুচিনি
• গোলমরিচ
• লবঙ্গ
• কাঁচা মরিচ
• শুকনা মরিচ
• এলাচ
• লবন
• হলুদ



ধাপ-১

প্রথমে পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচা মরিচ, শুকনা মরিচ, জিরা, দারুচিনি, গোলমরিচ এবং এলাচ রেডি করে নিলাম। এই সবগুলো উপকরণ ব্লেন্ডারের জারে দিয়ে সামান্য একটু পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিব।

ধাপ-২

এখন করাইতে তেল গরম করে ব্লেন্ড করা মসলাগুলো তেলের মধ্যে দিয়ে দিব।

ধাপ-৩

মসলাগুলোর মধ্যে লবণ এবং হলুদ দিয়ে খুব ভালোভাবে তেল ওঠা পর্যন্ত মসলাগুলো ভালো করে কষিয়ে নিব।

ধাপ-৪

এই পর্যায়ে আগে থেকে কেটে পরিষ্কার করে ধুয়ে রাখা কাঁঠাল গুলো মসলার মধ্যে দিয়ে খুব ভালোভাবে মিক্সড করে নিব।

ধাপ-৫

মসলার সাথে কাঁঠাল গুলো ভালো করে কষানোর পর পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিব কাঁঠালগুলো ভালোভাবে সেদ্ধ হওয়ার জন্য। কাঁঠালে আমি কোন ঝোল রাখবো না। মাখামাখা করবো। সেজন্য খুবই সামান্য পানি দিয়েছি।

ধাপ-৬

এরপর মিডিয়াম আঁচে কাঁঠালগুলো খুব মজা করে রান্না করে নিব যতক্ষণ না কাঁঠাল গুলো সেদ্ধ হচ্ছে ততক্ষণ।

সর্বশেষ ধাপ

এখন মজাদার কাঁঠাল রান্না একটি প্লেটে পরিবেশন করে নিলাম।





এই ছিল আমার আজকের মজাদার রেসিপি। কাঁঠাল রান্নার এই রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটা অবশ্যই মন্তব্যে জানাবেন। আর কারা কারা এভাবে কাঁঠাল রান্না করে খেয়ে থাকেন তারাও জানাতে ভুলবেন না। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ হাফেজ


সময় নিয়ে পোস্টটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ


1691507400587_compress31.jpg

আসসালামু আলাইকুম। আমি নীলিমা আক্তার ঐশী। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী। আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে এবং তাদের প্রশংসা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের জুন মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি।আমি বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হয়েছি সবার সাথে বিভিন্ন রেসিপি এবং আর্ট শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে অন্য সবার থেকে দারুন দারুন সব ক্রিয়েটিভিটি শিখতে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মত আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি।

New_Benner_ABB-6.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP


Heroism_Copy.png

20230619_2107145.gif

Sort:  
 last year 

আরে আপু খাওয়া তো দূরের কথা এভাবে রেসিপি তৈরি করা যায় সে সম্পর্কে তো ধারণা ছিল না। আপনার মাধ্যমে এই ইউনিক রেসিপি টা সম্পর্কে অবগত হলাম। আসলে না খেলে বুঝতে পারছি না টেস্ট কিরকম হবে একদিন রান্না করে খাওয়াবেন।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

কাঁঠাল সিদ্ধ বলি আমরা এই রেসিপিটি কে। আমরা ছোটবেলায় অনেক খেয়েছিলাম। অনেকদিন থেকে এই কাঁঠাল সিদ্ধ খাওয়া হয় না। আপনার রেসিপিটি দেখে মনে পড়ে গেল এবং খাওয়ার ইচ্ছে জাগলো।ভীষণ লোভনীয় রেসিপিটি আপু।ধাপে ধাপে চমৎকার সুন্দর করে রন্ধন প্রণালী আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি কাঠালের রেসিপি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য।

 last year 

মায়েরা সবসময় সন্তানদের পছন্দের খাবারগুলো সংরক্ষণ করে রাখার চেষ্টা করে আপু। কাঁচা কাঁঠালের তরকারি খুব একটা খাওয়া হয়নি আমার। তবে অনেকের কাছে শুনেছি এই খাবারগুলো খেতে দারুন লাগে। আপু আপনি অনেক সুন্দর করে এই রেসিপি তৈরির পদ্ধতি শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 last year 

অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার চমৎকার এ রান্নার পোস্ট দেখে ভালো লাগলো আমার। কাঁঠাল রান্না করে খেতে আমিও খুব ভালোবাসি আপু। মাঝেমধ্যে পরিবারে আমিও কাঁঠাল রান্না করে দিয়ে থাকি।

 last year 

আপনার রেসিপি দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে আপু। কাঁঠাল রান্নার রেসিপি বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। রন্ধন প্রক্রিয়া খুবই সুন্দর করে আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করেছেন। বিভিন্ন রকম মসলা দেওয়াতে খেতে বেশ ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে কাঁঠাল রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

মজাদার কাঁঠাল রান্নার রেসিপি দেখেই অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। এত মজাদার রেসিপি তাই খেতে ইচ্ছা করছে। এই রেসিপির পরিবেশনে আমার অনেক ভালো লেগেছে।

 last year 

আপনি খুব লোভনীয় কাঁঠাল রান্নার রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব ভালো ছিল।রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। এটা দেখে যে কেউ সহজেই রেসিপিটি তৈরি করে নিতে পারবেন।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন মজাদার কাঁঠালের ইচোড় রান্নার রেসিপি তৈরি করে। আসলে গ্রাম অঞ্চলের মানুষ এই রেসিপি সব থেকে বেশি খেয়ে থাকে। সকালবেলায় বেশিরভাগ সময় রুটি দিয়ে এই রেসিপি খাওয়া হয়ে থাকে। আমার কাছে কাঁঠালের এই রেসিপি খেতে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরির পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

কাঁঠাল ফলটা আমার খুব একটা পছন্দ না। আবার এইরকম রান্না করেও কম খাওয়া হয়। কাঁঠাল এর রেসিপি টা বেশ চমৎকার তৈরি করেছেন আপু। রেসিপি টা দেখে বেশ চমৎকার লাগছে। এবং এটা বেশ ইউনিক একটা রেসিপি টা। পাশাপাশি রেসিপি টার প্রতিটা ধাপ খুবই চমৎকার উপস্থাপন করেছেন। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল আপনার পোস্ট টা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।