আজ - সোমবার
১৫ জ্যৈষ্ঠ,১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৯ মে,২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ

আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আপনাকে স্বাগতম |
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি মুরগির মাংসের রেসিপি নিয়ে। আশা করি খুব সহজে আপনারা আমার এই রেসিপি প্রস্তুত এর ধরনটা বুঝে নিবেন প্রত্যেকটা ধাপ খুব মনোযোগ সহকারে বোঝার মাধ্যমে। তাই চলুন দেরি না করে এখনই বিস্তারিত কার্যক্রম শুরু করা যাক।
রেসিপি বানানোর উপাদান সমূহ: |
ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমান |
১. | মাংস | এক কেজি |
২. | পেঁয়াজ কুচি | তিন পিস |
৩. | রসুন কুচি | দুই পিস |
৪. | পানি | পরিমাণ মতো |
৫. | সয়াবিন তেল | ৫০ গ্রাম |
৬. | লবণ | পরিমাণ মতো |
৭. | মরিচের গুঁড়া | এক চা চামচ |
৮. | হলুদের গুঁড়া | এক চামচ |
৯. | ধনিয়া গুড়া | এক চা চামচ |
১০. | গরম মসলা | পরিমাণ মতো |
১১. | জিরা | ২৫ গ্রাম |


প্রথমে কড়াইয়ের মধ্যে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল ঢেলে নিলাম। কিছুটা সময় ধরে জাল দিয়ে তেল গরম করে নিলাম এরপর গরম তেলের মধ্যে পেঁয়াজ রসুন এর কুচিগুলো ছেড়ে দিলাম, এরপর কিছুটা সময় ধরে তা গরম করে নিলাম।



এবার গরম তেলের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার গোড়া মশলা দিয়ে দিলাম। গুড়া মসলার সাথে পেঁয়াজ রসুনের কুচি ভালোভাবে মিক্সার করে নিলাম।




এবার বয়লার মুরগির মাংস গুলো কড়াইয়ের মধ্যে গরম মসলাগুলোর উপরে ঢেলে দিলাম।



এবার মাংসসহ সমস্ত উপাদান গুলো একসাথে ভালোভাবে চামচ দিয়ে মিক্সার করে নিলাম। একদিকে চুলার জ্বাল চলতে থাকলো। এদিকে আমি আমার মত কড়াইতে বারবার চামচ দিয়ে নাড়তে থাকলাম।




অনেকক্ষণ ধরে জ্বাল দেওয়ার কারণে মাংস শুকিয়ে আসতে থাকলো এবং মাংসের পরিবর্তন দেখা দিল। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দেওয়ার ফলে ঝাল হলুদের গুড়া খুব সুন্দর ভাবে মাংসের সাথে মিক্সচার হয়ে গেছে।



এই পর্যায়ে মাংসগুলো চামচ দিয়ে খুব সুন্দরভাবে উল্টে পাল্টিয়ে দিলাম যেন কড়াইয়ের গরম প্রত্যেকটা মাংসের গায়ে ভালোভাবে লেগে সিদ্ধ হয়। প্রত্যেকটা মানুষের সুন্দরভাবে যেন সিক্ত হয় সেই প্রচেষ্ট চালাতে থাকলাম।



মাংসের তরকারির মধ্যে ঝোল ঝোল রাখার জন্য এক কাপ পরিমাণ পানি ফেলে দিলাম। এবার সুন্দর ভাবে চামচ দিয়ে মাংসগুলো নাড়তে নাড়তে কিছুটা পানি কমে গেল। আর এভাবে কিছুটা সময় ধরে মাংস জ্বাল দিতে দিতে একপর্যায়ে জ্বাল দেওয়ার কার্যক্রম শেষ হলো।



মাংসের ব্যাপক পরিবর্তন চলে আসলো এবং তার স্বাদ গ্রহণ করলাম সমস্ত মসলার গুনাগুন ঠিক আছে কিনা এই দিকে মাংস ভালোভাবে সিদ্ধ হয়েছে কিনা সেটাও পরীক্ষা করে কার্যক্রম শেষ করলাম।



রান্নার কার্যক্রম শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর খাওয়ার সময় পরিবারের সকল সদস্যদের মাঝে এ মাংস পরিবেশন করলাম। আর এভাবে আমার মাংস রান্নার কার্যক্রম সম্পন্ন হলো।


আশা করি,আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে বুঝতে ও শিখতে পেরেছেন। পোস্টটি উপস্থাপনা কেমন ছিল এবং এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি কেমন আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইলো। |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোষ্টে,ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |

ভাইয়া আপনার মুরগির মাংসের রেসিপি চমৎকার হয়েছে। আপনার মুরগির মাংস গুলো দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনার কমেন্ট পড়ে অনেক আনন্দ পেলাম
মুরগির মাংস আমার খুব পছন্দ। আপনার রেসিপিটি দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে। আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই খুশি হলাম।
ভাইয়া আপনার মুরগির মাংসের রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। এভাবে মুরগির মাংস রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। আপনার রেসিপির কালার দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
খুবই ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য
আপনার মুরগির মাংসের রেসিপি টি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে । দেখে মনে হচ্ছে ভীষণ ঝাল হয়েছে । ঝাল ঝাল মুরগির মাংস খেতে বেশ ভালোই লাগে । দারুন রান্না করেছেন আপনি । প্রতিটি ধাপের উপস্থাপন বেশ ভালো ছিল । ধন্যবাদ আপনাকে ।
আপনার ভালো লেগেছে জানে অনেক খুশি হলাম আপু
মুরগির মাংসের কালার টা কিন্তু অনেক সুন্দর হয়েছে। আমি এমনিতেই মুরগির মাংস অনেক পছন্দ করি তারপর এত সুন্দর কালার মুরগি মাংস দেখলে খেতে মন চায়। আপনি খুব সুন্দরভাবে স্টেপ বাই স্টেপ দেখিয়ে দিয়েছেন ভালো লেগেছে আমার কাছে আপনার রেসিপিটি।
চেষ্টা করেছি সুন্দরভাবে সাজানোর জন্য
মুরগির মাংসের রেসিপি দারুন হয়েছে ভাইয়া। খাবারের লোভনীয় ছবি দেখলেই জিভে জল চলে আসে মুরগির মাংস অনেক সুন্দর করে রান্না করেছেন ভাইয়া। মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজার হয়েছিল। মজার একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
অবশ্যই অনেক সুস্বাদু ছিল
সুস্বাদু ও মজাদার মুরগির মাংসের রেসিপি তৈরি করেছেন, দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। এত মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
বাহ্ দারুণ ব্যাপার আজ আপনি সম্পূর্ণ নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছেন ভাইয়া।আমি এই প্রথম আপনার রেসিপি পোস্ট দেখলাম।আজকের মুরগির মাংসের রেসিপি টি দেখতে খুবই লোভনীয় হয়েছে ভাইয়া।শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া।সবমিলিয়ে অসাধারণ হয়েছে।লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
এখন থেকে মাঝে মাঝে দেখতে থাকবেন
মুরগির মাংস আমার খুবই ফেভারিট আর সেটা যদি দেশি মুরগির মাংস হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই।।
দেশি মুরগির মাংসের খুব মজাদার একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন দেখেই লোভ হচ্ছে নিশ্চয়ই খুব মজা হবে খেতে।।
হ্যাঁ ভাই এটা দেশি মুরগির মাংস
আপনি খুবই লোভনীয় একটা রেসিপি তৈরি করেছেন, যা দেখে আমার তো জিভে জল চলে এসেছে। মুরগির মাংস খেতে সবাই অনেক বেশি পছন্দ করে। আমার তো ছোটবেলা থেকেই মুরগির মাংস অনেক প্রিয়। খুবই মজাদার ভাবে মুরগির মাংসের রেসিপিটা তৈরি করেছেন আপনি। রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি হয়েছিল। আর আপনারা সবাই মিলে অনেক মজা করে খেয়েছিলেন তাহলে। যাই হোক সম্পূর্ণ রেসিপিটা অসম্ভব ভালো ছিল।
সাবলিল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ