সাতকরা দিয়ে মাংসের মজার রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রায় দুই থেকে আড়াই মাস পর আজ প্রথম রান্না করলাম। যেহেতু বাংলাদেশে যাওয়ার আগে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলাম তাই হাজবেন্ড রান্না করতো।এরপর বাংলাদেশে গিয়ে তো রান্নার কোন দরকারই ছিল না।অনেক আরাম করেছি। আসলে রান্না করাটা আমার কাছে খুবই ঝামেলার মনে হয়।রান্না করা আমার মোটেও পছন্দ নয়, শুধু দরকারের তাগিদে রান্না করে থাকি। আমি আবার সকল মা ও বোন থেকে আলাদা। আমি দেখেছি বেশিরভাগ মা ও বোনেরা রান্না করতে পছন্দ করে কিন্তু আমার বেলায় ঠিক উল্টো।যাইহোক বাচ্চারা খুব অশান্তি করছিল তারা তার মায়ের হাতের রান্না খাবে। এই দুইদিন আমার ভাবির দেওয়া তরকারি খেয়েছি।আজ প্রথম রান্না করলাম বাংলাদেশ থেকে আনা সাতকরা দিয়ে মাংসের চাপ রেসিপি।আমি এখানে শীপের মাংশ ব্যবহার করেছি।আপনারা চাইলে যে কোন মাংস ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে সাতকরার পরিমাণটা, আর ভেতরের রসালো অংশটুকু ফেলে দিতে হবে, তা না হলে টক হয়ে যাবে তরকারি।দারুন একটা ফ্লেভার আসে তরকারিতে এই সাতকরা দিলে। এই সাতকরা সিলেটের একটি ঐতিহ্য। যাই হোক আমার রেসিপিটি কিন্তু খুবই স্বাদের হয়েছিল।আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে।চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
মাংস | ২ কেজি |
পিঁয়াজ কুচি | ২ কাপ |
টমেটো কুচি | হাফ কাপ |
সাতকরা | ৫/৬ পিস |
কাঁচা মরিচ | ৬/৭ টি |
হলুদ গুঁড়া | দেড় চা চামচ |
মরিচ গুঁড়া | ১ টেবিল চামচ |
জিরা গুঁড়া | ১ টেবিল চামচ |
কারিপাউডার | ২ টেবিল চামচ |
গোল মরিচ, এলাচি, লবঙ্গ | ৪/৫ টি করে |
দারুচিনি, তেজপাতা | দুই টুকরা করে |
কার্যপদ্ধতিঃ
![]() | ![]() |
---|
প্রথমেই মাংসগুলো পানিতে ভিজিয়ে রেখেছি বরফ ছাড়ানোর জন্য। এরপর পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ ও টমেটো কেটে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এরপর সাতকরা এভাবে ছোট ছোট পিস পিস করে কেটে নিয়েছি। সেখান থেকে কয়েক পিস নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এরপর মাংসগুলো ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি।এরপর হাঁড়িতে হালকা তেল গরম করে তাতে আদা রসুন পেস্ট দিয়ে দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এরপর পেঁয়াজকুচি, টমেটো, কাঁচা মরিচ ও লবন দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি।এরপর মাংসগুলো দিয়ে, গরম মসলা গুলো দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এরপর সাতকরাগুলো দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে আরো কয়েক মিনিট রেখে দিয়েছি মাংসগুলো সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য। এরপর মাংস সিদ্ধ হয়ে গেলে সকল গুড়া মশলা গুলো দিয়ে দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এরপর মসলাগুলো মাংসের সাথে ভালোভাবে মাখিয়ে কয়েক মিনিট কষিয়ে নিয়েছি।এরপর দুই কাপ পানি অ্যাড করে ফুল আঁচে ৭-৮ মিনিটের জন্য রেখে দিয়েছি। ব্যাস হয়ে গেল আমার মজাদার সাতকরা দিয়ে মাংসের মজার রেসিপি।
পরিবেশনের জন্য রেডি।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR

বাচ্চারা মায়ের হাতের রান্না খেতে অনেক পছন্দ করে। যেহেতু বাংলাদেশ থেকে সবে মাত্র গিয়েছেন তাই হয়তো মন খারাপ। সাতকরা কখনো খাওয়া হয়নি। মনে হচ্ছে এভাবে মাংস রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগবে।
সাতকরা নামটি প্রথম শুনলাম এবং জিনিসটিও প্রথম দেখলাম তবে বুঝতে পারলাম না জিনিসটি কি। খুব সুস্বাদু একটি রেসিপি। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুন্দর হয়েছিল। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আসলেই অনেক দিন পর রান্না করলেন আপু। তবে রেসিপিটা দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। কালার দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে দারুণ লেগেছিল। খুব ভালো লাগলো রেসিপিটা দেখে। এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সাতকরা এই জিনিসটির নাম এর আগে কখনো শুনিনি। এবং এটি খেতে কি রকম তাও জানা নেই। তবে আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে মাংস দিয়ে রান্না করলে খেতে বেশ ভালোই লাগবে আশা করি। রেসিপির কালার টাও বেশ লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সাতকরা দিয়ে যে কোন মাংস আমা্র খুব পছন্দ। একটা অন্য রকম ঘ্রান আসে মাংসে। তাই খেতে বেশি মজা লাগে। কেউ সিলেট গেলে তাকে সাতকরা আনতে বলি। বেশ মজা লাগে এই সাতকরা। আর সাতকরার আচারটিও বেশ লাগে খেতে।
সাতকরা নামটি শুনে খুবই অবাক হলাম এর আগে কখনো এই জিনিসটি সম্পর্কে শুনিনি বা আমার জানাও ছিল না। তবে আপনার এই রেসিপিটি দেখে বেশ ভালো লাগলো। দেখে মনে হচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ।