ছোটকালের স্মৃতিচারণ।

হ্যালো বন্ধুরা

হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তেমনি আজকে আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে ছোটকালের স্মৃতিচারণ একটি পোস্ট শেয়ার করব। আসলে ছোটকালের কিছু কিছু ঘটনা আছে যেগুলো মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মনে থাকবে। আর এই কথাগুলো যখন মনে পড়ে তখন নীরবে মুখে হাসি আসে। কারণ এই স্মৃতিগুলো সব সময় মনে পড়ে এবং সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেয়। আজকে আমি সেরকম একটি স্মৃতিচারণ পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আমি যখন স্কুলে ক্লাস থ্রি পড়তাম। তখন আমি চেষ্টা করতাম স্কুলে প্রথম বেঞ্চে বসার জন্য। যদিও আমাদের শিক্ষক বলেছে ক্লাসের প্রথম রোল যার সেই প্রথমে বসবে। তবে সে ছেলেমেয়েদের হাতের লিখা হতে অন্য সবকিছু তুলে শিক্ষককে দেবে। কিন্তু আমি রোল নং ১ এর কথা মানতাম না। কারণ সে আমার সমবয়সী তাকে আমি কেন মানবো।

যদিও ওই সময় আমার রোল নং ১০ এর মধ্যে ছিল। আর আমি চেষ্টা করতাম ক্লাসে প্রথম বেঞ্চে বসার জন্য। আর আমি বসলে রোল নং এক মেয়েটি আমাকে ওই জায়গা থেকে তুলে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করে। কিন্তু আমি ওই জায়গা থেকেও উঠতে চাই না। এরকম কয়েকবার যখন মেয়েটির সাথে আমার ঝগড়া হলো তখন একদিন সেই ক্লাস শিক্ষককে বলেছে। এবং ক্লাস শিক্ষক আমাকে ওই জায়গা থেকে তুলে দিল এবং ব্য্যাত দিয়ে আমাকে আঘাত করল। এরপর আমি কানতে কানতে বাড়িতে চলে গেলাম। আর স্কুল আমাদের ঘরের পাশেই ছিল। বাড়িতে গিয়ে আমি আমার বড় বোনকে বললাম। শিক্ষক আমাকে মেরেছে। এরপর আমার বড় বোন স্কুলে এসে শিক্ষককে বলেছে কি কারনে আমাকে মারধোর করল।

তখন যে শিক্ষক আমাকে মেরেছে সেই বলেছে প্রথম বেঞ্চ এর প্রথম জায়গাটি ক্যাপ্টেন এর জায়গা থাকবে। আর আপনার বোনকে বলার পরও সেই সব সময় ওই জায়গাতে বসে এই কারণে আমি তাকে মেরেছি। আমার বড় বোন আমাকে মেরেছে ওই শিক্ষককে বলেছে প্রয়োজনে বুঝিয়ে পাশের সিটে তাকে বসাবেন। আর প্রথম টেবিলে পাশের সিটে বসলে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু আমি ক্লাসের প্রথম বেঞ্চের প্রথম জায়গাতে বসতে চাই অন্য জায়গা না। তখন শিক্ষক আমাকে বলেছে তাহলে তুমি রোল নং ১ পাস কর তাহলে ওই জায়গা বসতে পারবে। আর এই কথা বলার কারনে আমার কাছে একটু খারাপ লাগলো।

তারপর থেকে আমি ক্যাপ্টেনের পাশের সিটে বসতাম। প্রথমে আমি তার সাথে তেমন কথাবার্তা বলতাম না। পরবর্তীতে আস্তে আস্তে রোল নং এক আমার সাথে কথা বলতো। এরপর আস্তে আস্তে আমাদের ভালো সম্পর্ক হয়ে গেল। তারপর আমরা একসাথে বসতাম একসাথে এইদিক ওদিক খেলাধুলা করতাম। অনেক সময় যখন স্কুলে বিরতি দেওয়া হতো নাস্তা করার জন্য তখন ক্যাপ্টেন আমাদের সাথে আমাদের বাড়িতে যেত। এবং আমাদের ঘরের নাস্তা থাকলে একসাথে বসে খেতাম। অনেক সময় আমি নিজেও ক্যাপ্টেনের সাথে তাদের বাড়িতে যেতাম। এভাবে আমরা আস্তে আস্তে পড়ালেখা করতে করতে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত চলে গেলাম।

এরপর পঞ্চম শ্রেণি শেষ করার পর আমরা দুইজন হাই স্কুলে একসাথে ভর্তি হলাম। তারপর থেকে আমরা দুজন আবার একসাথে বসতাম। পরবর্তীতে আমরা যখন পড়ালেখা অবস্থায় একসাথে ছিলাম ওই মেয়েটি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে গেল। আর আমার ওই বেস্ট ফ্রেন্ডের নাম হচ্ছে তুলি। আর এভাবে আমরা এসএসসি পর্যন্ত একসাথে পড়ালেখা করেছি। আর ছাত্র জীবন অবস্থা আমরা দুজন রক্তের বাঁধনের আত্মীয় হয়ে গেলাম। যে কোন সময় আমার সেই বান্ধবী তুলি আমাদের বাড়িতে আছে। আর আমি নিজেও যে কোন সময় তাদের বাড়িতে যাইতাম। আর বর্তমান পর্যন্ত আমাদের দুই বান্ধবীর এখনো যোগাযোগ আছে। তবে আমাদের দুই বান্ধবীর বিয়ে হয়ে গেল দুই জায়গাতে। সত্যি বলতে ছোটকালে এই স্মৃতিতে আমার কাছে এখনো মনে পড়ে। আর মাঝেমধ্যে এই কথাগুলো আমার বান্ধবীর সাথে শেয়ার করি। আশা করি আমার স্মৃতিচারণ পোস্ট পড়ে আপনারা অনেক ভালো লাগবে।

🥰 ধন্যবাদ সবাইকে 🥰