ঘামের ফোঁটায় লেখা জীবন
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আল্লাহর অসীম রহমতে আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব,জীবন রোজ প্যাডেলের সাথে ছোটে এরকম একটি বিষয় নিয়ে, তো চলুন শুরু করা যাক।
ফটোগ্রাফি মানে শুধু একটি দৃশ্যকে ক্যামেরাবন্দি করা নয়, এটি আসলে অনুভূতিগুলোকে জমিয়ে রাখা। প্রতিটি ছবি এক একটি গল্প, এক একটি হাসি, এক একটি বিষণ্ণতা। ক্যামেরার শাটার ক্লিক করার মাধ্যমে আমি সময়ের চাকা থামিয়ে দিই। আমার ছবিতে আমার আবেগ আর অনুভূতিরা কথা বলে, যা শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা যায় না।কারণ প্রতিটি ফ্রেমের পেছনে লুকিয়ে থাকে এক একটি মুহূর্ত, এক একটি ভাবনা। ক্যামেরা আমার তৃতীয় চোখ, যা দিয়ে আমি পৃথিবীকে নতুনভাবে দেখতে শিখি, এবং সাধারণ জিনিসগুলোকে অসাধারণ করে তুলি।
![]() |
---|
রিকশা... শব্দটা আমাদের কাছে কেবল একটি যাতায়াতের মাধ্যম। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছি, এর পেছনের মানুষটির গল্পটা কেমন? শহরের এই যান্ত্রিক জীবনে আমরা যখন গাড়ির আরামদায়ক আসনে বসে থাকি, তখন আমাদেরই মতো একজন মানুষ খালি পায়ে প্যাডেল ঘুরিয়ে চলেছে। সূর্য ওঠার আগেই তার দিন শুরু হয়, আর শেষ হয় অনেক রাতে, যখন পুরো শহর শান্ত হয়ে যায়।
রিকশার প্যাডেল তার কাছে শুধু গতি নয়, এটি তার জীবন, তার পরিবারের ভরসা। রোদের তীব্র তাপে তার শরীর পুড়ে গেলেও তার চোখে থাকে এক অদম্য জেদ। বৃষ্টিতে ভিজে সে থরথর করে কাঁপে, তবুও সে থামে না। কারণ, সে জানে, প্রতিটি প্যাডেলের ঘূর্ণনের সাথে তার সন্তানের একটি নতুন খেলনার স্বপ্ন, তার স্ত্রীর ভালো একটি শাড়ির আবদার, অথবা অসুস্থ মায়ের ওষুধের প্রয়োজন জড়িত। তার কাছে ক্লান্তি মানেই থেমে যাওয়া, আর থেমে যাওয়া মানেই স্বপ্নগুলোর অকালমৃত্যু।
আমরা হয়তো তাদের অনেক সময় তাড়া দিই, ভাড়ার জন্য দরদাম করি। কিন্তু আমরা ভুলে যাই, এই মানুষগুলো আমাদেরই সমাজের অংশ। তারা শুধু একটি রিকশা টানে না, তারা নিজেদের জীবনের বোঝা, আর সমাজের অনেক প্রত্যাশা তাদের কাঁধে নিয়ে চলে। তাদের ঘামের প্রতিটি ফোঁটা কেবল শারীরিক পরিশ্রমের চিহ্ন নয়, বরং একটি স্বাধীন জীবনের জন্য তাদের নিরন্তর সংগ্রামের প্রমাণ।
আসুন, আমরা তাদের দিকে সম্মানের চোখে তাকাই। তাদের দিকে তাকানোর সময় শুধু একটি রিকশা চালককে না দেখে, একজন বাবাকে দেখি, একজন ছেলেকে দেখি, যে তার পরিবারের জন্য সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করছে। তাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষগুলো আমাদের সমাজের প্রাণ। তাদের শ্রমকে সম্মান করা মানে নিজেদের মানবতাকে সম্মান করা।
বন্ধুরা, আজকের পোস্টটি এখানেই শেষ করছি এবং আপনাদের কাছ থেকে ভালো মন্তব্য আশা করছি। পরবর্তী ব্লগে নতুন বিষয় নিয়ে দেখা হবে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলকে সুস্থ রাখুক।
আমি আব্দুল আলীম, Steemit-এ আমার ব্যবহারকারীর নাম @alimtutorial । আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্বিত। Steemit কেবল আমার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি আমার ভালোবাসার জায়গা। এখানে মানুষ তাদের সৃজনশীলতা এবং পছন্দ-অপছন্দ একে অপরের সাথে ভাগ করে নেয়। এই প্ল্যাটফর্মটি আমাদের মতো কন্টেন্ট নির্মাতাদের জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি করেছে, যেখানে আমরা নিজেদের প্রকাশ করতে পারি এবং অন্যদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারি। পড়া, লেখা, ব্লগিং, ফটোগ্রাফি, গান গাওয়া এবং ভ্রমণ আমার প্রিয় জিনিস। প্রতিটি কাজ আমাকে নতুন জীবনযাপন করতে শেখায়, এবং Steemit আমার এই সমস্ত শখ সকলের সামনে তুলে ধরার একটি দুর্দান্ত মাধ্যম।
ফটোগ্রাফির বিবরণ
📱 ডিভাইসের নাম | 📍অবস্থান | কভার ডিজাইন |
---|---|---|
Redmi note 10 pro max | Jamalpur/BD | pixabay |
- | - | - |
ধন্যবাদ
@photoman
@blacks
@royalmacro
@beautycreativity
@curators
@hungry-griffin
আমার পোস্টটি দেখার জন্য
🎉 Congratulations!
Your post has been upvoted by the SteemX Team! 🚀
SteemX is a modern, user-friendly and powerful platform built for the Steem community.
🔗 Visit us: www.steemx.org
✅ Support our work — Vote for our witness: bountyking5
খেটে খাওয়া মানুষদের জীবন খুবই কষ্টের। তাদের ঘামের বিনিময়ে অর্জন করে অর্থ। তাদের নিয়ে ভাববার কেউ নেই। অসাধারণ লিখেছেন আপনি।
পরিবার চালানো মাঝে মাঝে সত্যি অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। এই মানুষগুলো সারা জীবন ধরে পরিশ্রম করে। লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো।