মায়ের অসুস্থতা
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহতালার অশেষ রহমতে ভালো আছি তবে শারীরিক দিক থেকে একটু অসুস্থ রয়েছি। এইতো গত দুদিন আগেই আমি নীলফামারী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। যদিও তখন আম্মুর শরীরটা অনেক বেশি খারাপ ছিল। নীলফামারী তে ডাক্তার দেখিয়েছি এবং ওষুধও খাইয়েছি। বিভিন্ন ধরনের টেস্ট দিয়েছিল সেগুলো করিয়েছি। কিন্তু ব্যথা কমার কোন নাম নেই বরং ব্যথা দিন দিন বেড়েই চলছিল।
আমি যেদিন নীলফামারী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম সেদিনও আম্মুর ব্যথা অনেকটাই বেশি ছিলো। তারপরও আম্মু বলেছিল তুমি আগে ঢাকায় যাও পরবর্তীতে দেখা যাক কি করা যায়। কিন্তু আমি যেদিন আর ঢাকায় নামলাম অর্থাৎ পরের দিন সকালবেলা থেকেই শুনতে পেলাম আম্মুর অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়ে গেছে। খুব বেশি সিরিয়াস হলে আম্মু কখনোই ডাক্তার দেখাতে না। এমন একটি অবস্থায় ছিল সেক্ষেত্রে আম্মু নিজেই বলছিল ঢাকায় গিয়ে ভালো ডাক্তার দেখাবে। তাই আমিও আর বেশি দেরি না করে আমি যেদিন এসেছিলাম তার পরের দিনেই আমার বউ এবং আমার মা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এবং আজ সকালে তারা ঢাকায় এসে পৌঁছায়।
আজ সারা দিনই অনেকটা ব্যস্ততম সময় পার হয়েছে। এদিকে ভার্সিটির পরীক্ষাও শুরু হবে। আজ সকালবেলা থেকেই ক্লাস টেস্ট, ভাইভাো প্রেজেন্টেশন এগুলো দিয়ে অনেকটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। দুপুর ২ঃ০০ টার দিকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। বাসায় এসে গোসল করে ফ্রেশ হয়ে আবারো বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে আম্মুকে নিয়ে আমরা ধানমন্ডির উদ্দেশ্যে রওনা দেই। এদিকে আম্মুর মামা অর্থাৎ আমার দুঃসম্পর্কের নানু ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে মহাপরিচালক ছিলেন। যদিও এখন তিনি সেই পথ থেকে অবসরপ্রাপ্ত। তার রেফারেন্সে আজকে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একটি ডাক্তার দেখালাম এবং বেশ কিছু টেস্ট তিনি দিয়েছিলেন।
বিভিন্ন ধরনের টেস্ট তিনি দিয়েছিলেন তার মধ্যে এমআরআই টেস্টি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেটা আজকেই আমরা করিয়ে এনেছি। রিপোর্ট হয়তো আগামীকাল রাতের বেলা দেবে। এদিকে মায়ের ব্যথায় এখন পর্যন্ত কমছে না। বরঞ্চ ব্যথা বেড়েই চলেছে। কোনভাবে আম্মুকে বুঝিয়ে আজকের রাতটা বাসায় রাখার চেষ্টা করছি। কালকে আবারো ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং রিপোর্টগুলো দেখিয়ে আম্মুর মেইন সমস্যাটা কোথায় সেটা খুঁজে বের করতে হবে। আম্মুর এরকম একটি সমস্যা এক যুগ আগেই হয়েছিল। ঠিক ২০১২ সালেই একই ডাক্তার দেখিয়ে আম্মু সুস্থতা লাভ করে। সেই ডাক্তারের কাছেই আজকে আবারো আমরা গিয়েছিলাম। ডাক্তারের ঠিকানা খুঁজে বের করে সেই পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার গিয়েই তাকে দেখানো হলো।
তবে এমআরআই করাতে গিয়ে আম্মু বেশ ভয় পেয়েছিল। আমি এবং আমার ছোট ভাই আম্মুর সাথে সবসময় ছিলাম এবং সবগুলো টেস্ট করিয়ে আবারও বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। বাসায় আসতে আসতেই রাত আনুমানিক দশটা বেজে যায়। এদিকে ঢাকা শহরের রাস্তা শুক্রবারেও প্রচন্ড জ্যাম ছিল যার কারণে সেই ধানমন্ডি থেকে আমাদের বাসায় আসতো প্রায় দুই ঘন্টার বেশি সময় লেগে যায়। আপনাদের সকলের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি, আমার মায়ের জন্য মন ভরে দোয়া করবেন। তিনি যেন আগের মত সুস্থ হতে পারেন এবং স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফিরে আসতে পারেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সকলকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: মায়ের অসুস্থতা
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......