যত ভোগান্তি সাধারণ মানুষের
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনার সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে ভালো আছি তবে আমার মায়ের শরীরটা খুব বেশি একটা ভালো নেই। গতকালের পোস্ট জানিয়েছিলাম, গতকাল রাতেই আমার মাকে নিয়ে হাসপাতালে আসতে হয়েছিলো হঠাৎ করেই গরম এবং বিভিন্ন সমস্যার কারণে আম্মুর অনেক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এছাড়াও বেশ কয়েকদিন ধরেই বলছিল আম্মুর দুই পা অনেক ব্যথা করছিল। তাই গতকাল ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসা হয়েছিল। আজকে ডাক্তার কিছু টেস্ট করিয়েছে কিন্তু এই যে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছি, তারা মনে করে আমাদের কাছে অর্থ রয়েছে এবং সময় রয়েছে। তাই তারা খেয়াল খুশির মতোই সবকিছু করে।
সামান্য দুটো টেস্ট করিয়েছেন কিন্তু এরপরে ডাক্তারের আর হদিস নেই। ডাক্তার গিয়েছে অন্য চেম্বারে অন্যান্য চেম্বারে রোগী দেখার পরে সে আবারো এই চেম্বারে এসে বসবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত এই চেম্বারের রোগীরা ডাক্তারের জন্য অপেক্ষা করবে। আমার একটি বিষয়ে মাথায় আসেনা। তাদের এতই কি টাকার প্রয়োজন! দেখা যায় একটি ডাক্তারের নামটা একটু বেশি হয়ে গেলেই তারা ইগো এবং তার আত্মসম্মান অনেকটা উপরে চলে যায়। তার একটু ভিজিট করার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এই বিষয়গুলো একটা স্বাভাবিক হয়ে গেছে এবং এই বিষয়গুলো আমরা মেনেও নিয়েছি। কিন্তু একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে আমরা যারা ডাক্তারের শরণাপন্ন হই তারা কিন্তু এমনি এমনি আসি না। প্রত্যেকটা মানুষই তার নিজস্ব সমস্যাগুলো নিয়েই ডাক্তারের কাছে আসে, একটু সেবা পাওয়ার জন্য। কিন্তু সেই ডাক্তার যখন ঘন্টা পর ঘন্টা চেম্বারের সামনে বসিয়ে রাখে সেটা আর যাই হোক না কেন মানব সেবা বলা যাবেনা।
ডাক্তারের কাছে এসেছি সন্ধ্যা সাতটার সময়। এখন বাজে রাত সাড়ে দশটা কিন্তু এখন পর্যন্ত ডাক্তারের দেখা নেই। ডাক্তার নাকি তার অন্য চেম্বারে বসেছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমাদেরকে যে রিপোর্টগুলো দেখাতে হবে তাহলে আমরা কার কাছে রিপোর্টগুলো দেখাবো তার যদি সময় না থাকে তাহলে তিনি কেন আমাদের কাছ থেকে সময় নিলেন এবং ভিজিট নিলেন! তা যদি অন্যান্য কাজেই এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকেন তাহলে কেন তিনি এখানে সিরিয়াল দেওয়ার জন্য বসলেন।
এদিকে আমার মায়ের অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গেছে উঠে দাঁড়াতে পারছে না. কিন্তু তারপরও সেখানে প্রায় চার ঘন্টা যাবৎ বসে রয়েছে ডাক্তার দেখাবেন বলে। এই হচ্ছে বর্তমানে আমাদের নীলফামারের অবস্থান। আর কি বলব আমার মাথা কোন কিছুতেই কাজ করছে না। শুধু এখানে আমার মায়ের জন্য ও কথাগুলো বলছি না। আমার মায়ের সাথে আরো পাঁচ ছয়টা রোগী রয়েছে। যারা অনেক অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন। তাদেরকে টেস্ট করাতে বলে তিনি চলে গেছেন অন্য জায়গায়। টেস্ট করিয়ে রিপোর্ট হাতে পেয়েছি আর দুই ঘন্টা পার হয়ে গেছে কিন্তু তারপরও তার কোন খোঁজ নেই। এই হচ্ছে আমাদের বর্তমানে ডাক্তারদের রমরমা ব্যবসা।
এমত অবস্থায় এখন কি করা উচিত আমি সেটাই বুঝে উঠতে পারছি না। এদিকে ডাক্তারের কাছে এসে আমার মা সহ অন্যান্য রোগীরা আরো বেশি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। আমার কি করনীয় এবং বর্তমানে আমি কোথায় যাব সেই বিষয়টাও আমার বোধগম্য হচ্ছে না। এতটাই খারাপ লাগছে এবং রাগ লাগছে কি করবো সেটাও বুঝে উঠতে পারছি না। আসলেই আমরা সাধারণ মানুষেরা সব সময় ভোগান্তির শিকার হই। কারণ আমরা সাধারণ মানুষ আমাদের রাজনৈতিক কোন দল নেই। আমাদের কোন মামা কিংবা চাচা নেই যার রেফারেন্সে আসলে একটু দ্রুত কাজ হবে। যাই হোক না কেন আজকে আর বেশি কিছু লিখতে পারছি না। আপনারা সবাই আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: যত ভোগান্তি সাধারণ মানুষের
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
This does sound bad, are there any other good hospitals around? If not, it would be disappointing. Please take care of you and your mother no matter what, may you survive this suffering, and I hope my words will be helpful to you.
thank you
আমাদের দেশের বেশিরভাগ হসপিটালের সেবার মান খুব খারাপ। ডক্টর দেখাতে গেলে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয়। এই ব্যাপারটা সত্যিই খুব বিরক্তিকর। আর আমি এখন হসপিটালে বসেই কমেন্ট করছি। যাইহোক আপনার মায়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।