বাংলাদেশের মানুষ ও ইলিশ মাছ—এ যেন এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। প্রতি বর্ষায় যখন পদ্মা, মেঘনা কিংবা পায়রা নদী প্লাবিত হয়, তখনই শুরু হয় ইলিশের আগমন। তবে এই স্বর্ণরুপা মাছ শুধু নদীতে সীমাবদ্ধ নয়, বঙ্গোপসাগরের গভীরতায় যে সামুদ্রিক চন্দনা ইলিশ ধরা পড়ে, তার স্বাদ, রঙ এবং চাহিদা যেন একেবারে অনন্য। এই চন্দনা ইলিশ যখন বাজারে আসে, তখন যে দৃশ্যের সৃষ্টি হয়, তা শুধু বেচাকেনার মুহূর্ত নয়—তা হয়ে ওঠে এক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আয়োজনের মতো।চন্দনা ইলিশ হল এমন এক প্রকার সামুদ্রিক ইলিশ যা সাধারণত গভীর সমুদ্র থেকে ধরে আনা হয়। এর গায়ে থাকে হালকা চন্দনের মতো উজ্জ্বলতা, তাই একে চন্দনা ইলিশ বলা হয়।

নদীর ইলিশের তুলনায় এই ইলিশ একটু বড়, মোটা এবং তেলযুক্ত। রান্নার পরে এর ঘ্রাণ ও স্বাদ এতটাই তীব্র ও উপভোগ্য যে বহু খাদ্যরসিক চন্দনা ইলিশকেই আসল ‘রাজকীয় ইলিশ’ বলে মানেন।গভীর সমুদ্র থেকে মাছ ধরার পর চন্দনা ইলিশ রাখা হয় বরফে। তারপর ট্রলার ভরে আনা হয় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, পটুয়াখালী, মোংলা, বরিশাল ইত্যাদি বন্দর বা উপকূলবর্তী শহরে। সেখান থেকে পাইকাররা নিয়ে যায় দেশের বিভিন্ন বাজারে। সবচেয়ে বেশি চাহিদা দেখা যায় ঢাকার কারওয়ান বাজার, মৌচাক, মোহাম্মদপুর, সিলেটের বন্দর বাজার, খুলনার নিউমার্কেট, এমনকি উত্তরবঙ্গের রংপুর ও রাজশাহীতেও।চন্দনা ইলিশ বাজারে এলেই শুরু হয় এক ধরনের উৎসব। ক্রেতারা সকাল সকাল বাজারে হাজির হন—কারও হাতে টিফিন ক্যারিয়ার, কারও ব্যাগ ভর্তি টাকা।

বিক্রেতার হাতের বড় কাটার শব্দ আর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা উৎসুক জনতার মুখে হাসির ঝিলিক—পুরো চিত্রটা যেন চলচ্চিত্রের দৃশ্য।চন্দনা ইলিশের দাম সাধারণত একটু বেশি হয়—প্রতি কেজি ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত উঠানামা করে। তবে ক্রেতারা দর কষাকষিতে পটু। কেউ বলেন, "ভাই, নদীর ইলিশে এত স্বাদ নাই। দাও না একটু কমে।" বিক্রেতা পাল্টা জবাব দেন, "ভাই, চন্দনা ইলিশ কিনছেন। দাম না দিলে মাছ রাগ করে যাবে!।এই চন্দনা ইলিশ মাছ প্রায় ৮-৯ কেজি ওজনের ছিল।এর দাম প্রায় ৬-৭ হাজার টাকা।এই মাছের এতো দাম বলে অনেকেই কিনতে সাহস পায়নি।

তাঁর কারণ হচ্ছে এতো দাম দিয়ে কিনবো আবার যদি এই মাছের স্বাদ না হয়।চন্দনা ইলিশ বিক্রির মুহূর্ত শুধু ব্যবসায়িক লেনদেন নয়, এটি আমাদের আবেগ, সংস্কৃতি, খাদ্যরুচি এবং সামাজিক বন্ধনের প্রতিফলন। এই স্বর্ণরুপা মাছ আমাদের কেবল তৃপ্তিই দেয় না, বরং জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ হয়ে ওঠে। তাই প্রতিবার চন্দনা ইলিশ বাজারে এলে যেন আমাদের হৃদয়ে বাজে আনন্দের ঘন্টাধ্বনি।

আমার আজকের ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করলাম।আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আমার আজকের ব্লগটি । ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।আজ এই পর্যন্তই।আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে।

আল্লাহ্ হাফেজ

ক্যামেরা পরিচিতি

Device	Motorola g34 5g
Camera	52 MP
County	Bangladesh
Location	Rangpur, Bangladesh

আমার নাম মোঃ আবু বকর (সিদ্দিক) ।আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক।আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা।আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর কারমাইকেল কলেজ এর(IHC)ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স করতেছি।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। সবথেকে বড় পরিচয় আমি "আমার বাংলা ব্লগ"কমিউনিটির একজন সদস্য।আমি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি।বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার।পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। আমার সব থেকে বড় ইচ্ছা আমি একজন উদ্যোক্তা হব।আমি মনে করি ধৈর্য,পরিশ্রম, বিশ্বস্ততা এগুলো সফল হতে সম্মুখ ভূমিকা পালন করে। ধন্যবাদ।

Vote@bangla.witness as witness

Or

Set@rme as your proxy

আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে অসংখ্য "ধন্যবাদ।