স্কুল জীবনের হারানো স্মৃতি।
২৬চৈত্র , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
০৯এপ্রিল , ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
১৭রমাদান, ১৪৪৪ হিজরী
রবিবার।
বসন্তকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
মানুষ হিসেবে আমরা আমাদের জীবনের মায়ের কোল থেকে বৃদ্ধ বয়সে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পর্যায়ের জীবন অতিবাহিত করে থাকি। এর মধ্যে আমাদের জীবনের সবচেয়ে সোনালী এবং স্মরণীয় সময় আমাদের বাল্যকাল।। আর বাল্যকালের সবচেয়ে স্মৃতি বিজড়িত স্থান হল আমাদের বিদ্যালয়।। খুব ছোটবেলা থেকেই নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হওয়া নতুন নতুন বন্ধুত্ব করে ওঠা।। লেখাপড়ার প্রতিযোগিতার রোল নাম্বার নিয়ে প্রতিযোগিতা হাতের লেখার প্রতিযোগিতা রিডিং করার প্রতিযোগিতা।। শিক্ষকের কাছে ভালো হওয়া খেলাধুলায় প্রতিযোগিতা আরো কত কি।। এরকম ভাবেই শুরু হয় আমাদের স্কুল জীবন এবং একটি সময় গিয়ে শেষও হয়ে যায়।। কিন্তু এই যে শেষ হওয়ার সময়টা প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত এই সময়টা আমাদের জীবনের সবথেকে মূল্যবান এবং সোনালী সময়।। দীর্ঘ এই দশ বছরের মধ্যে আমরা যতটা সময় অতিবাহিত করি এর মধ্যে থাকে হাজারো স্মৃতি হাজারো গল্পকথা হাজারো কথা আর হাজারো বন্ধু।। আর বন্ধুত্বের স্মৃতি সব সময়ই অমলের। বন্ধুত্বের গল্প স্কুল জীবনের গল্প শেষ হয়েও যেন হয় না।। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত থেকে যায় আমাদের স্মৃতির পাতায়।বেশ কয়েকদিন আগে আমি আমার পুরাতন বিদ্যালয় মাঠে কিছুটা সময় অতিবাহিত করেছিলাম। সেই মুহূর্তের ফটোগ্রাফি এবং কিছু কথা আপনাদের মাঝে তুলে ধরব।
আমার বাড়ি থেকে বিদ্যালয় এর দূরত্ব 0.5 কিঃমিঃ। ছোটবেলা থেকেই এই খেলার মাঠ এবং প্রাইমারি হাই স্কুল একই জায়গায় অবস্থিত হওয়ায় একই জায়গায় ঘোরাফেরা এর মানে দীর্ঘ ১০ টি বছর একই জায়গায় পার করেছি এক কথায় ভালোবাসার একটি স্থান।। এলাকায় থাকা হয় না এজন্য আগের মত খেলাধুলাও করা হয় না এবং বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে যাওয়া হয় না।। ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলাম তার মধ্যে হঠাৎ করেই এক বন্ধুর সাথে স্কুল মাঠের দিকে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে মাছ খেলতে বসলাম এবং স্কুলের চারিপাশের কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম।। যখন দুজনে বসে ছিলাম মাঝ দিতে বিকেল বেলায় তখন কত কথা কত স্মৃতি মনে জেগে উঠছিল।
তবে আমার বন্ধু আমাকে বারবার বলছিল একটু মনে করে দেখ তো এইতো কদিন আগে দুজন একই সাথে এই বিদ্যালয়ে আসতাম আবার একই সাথে বিদ্যালয় শেষ করে বাড়ি ফিরে যেতাম। বারবার বিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গা আঙ্গুল দিয়ে দেখাচ্ছিল আর বলছিল ওই জায়গায় দুইজন বসে থাকতাম এখানে খেলা করতাম ওখানে খেলা করতাম আরো অনেক কিছু।
২০১৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিদ্যালয় ছেড়েছি মাঝে যদিও দু-একবার গিয়েছি কাগজ পাতি উঠানোর জন্য তাছাড়া আর যাওয়া হয় না সেই পরিচিত জায়গাটিতে। যেখানে সকাল থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত প্রতিদিন একঘেয়েমি সময় পার করতাম। আসলে ছোটবেলার স্মৃতিগুলো এখনও আমাদেরকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় ছোটবেলার সেই বিদ্যালয়। যখন বসে ছিলাম দুজন মনে পড়ছিল বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ম্যাডামদের কথা কত কি করেছি কত মার খেয়েছি কত ভালোবাসা পেয়েছি।
বিশেষ করে স্মৃতির পাতায় ধূসর হয়ে যাওয়া বন্ধুদের কথা গুলো খুব করে মনে পড়ছিল কত জনের সাথে কথা হয় আবার কত জনের সাথে কথা হয় না আবার কত জনকে ভুলে গিয়েছি। আগের মত আর সবাইকে মনেও থাকে না কর্মব্যস্ততা পরিবার পরিজন নিয়েই ব্যস্ত থাকা হয় পুরো দিনের সময়টা।। কত বন্ধুদের সাথে বসে বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গণে আড্ডা দিয়েছি বিশেষ করে স্কুলের এক কন্যারে হানিফ ভাইয়ের চটপটি খাওয়ার মুহূর্তরা সব সময় মনে পড়ে।। পালাক্রমে আজ একদিন খাওয়ালে অন্যদিন অন্য বন্ধুর কাছ থেকে খাওয়া বান্ধবীদের সাথে আড্ডা দেওয়া তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন খাবার ছিনিয়ে নেওয়া সব কথাই যেন মনের মধ্যে জড়ো হতে লাগলো এখানে বসে।
এরকম কথা বলতে বলতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বসে থাকতে থাকতে কখন যে চোখের পাতা টা ভিজে উঠল বুঝতেই পারেনি। মনে হচ্ছে সেদিন এলাম আর দেখতে দেখতে দশটি বছর পার করে ফেললাম। একটি সময় আমার মনে হচ্ছিল এখানে বেশি সময় আর বসে থাকতে পারছি না পুরাতন স্মৃতিগুলো এমন ভাবে মনে পড়ছে যে চোখের পাতা গড়িয়ে পানি পড়ছে। বিশেষ করে কত বন্ধু এবং বান্ধবী ছিল কে কোথায় আছে কেউবা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে। বন্ধুদের সাথে তো মাঝে মাঝে দেখা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা হয়।। কিন্তু বান্ধবী গুলোর সাথে আর তেমন যোগাযোগই নেই।। যাহোক সবারই স্মৃতির পাতা এবং সোনালী অধ্যায় থাকে প্রথম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত।। সেই স্মৃতিময় বিজড়িত স্থানটি কিছু সময় অতিবাহিত করে কিছু কথা আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম আশা করছি ভালো লেগেছে।।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
স্কুল জীবনের স্মৃতি মধুর স্মৃতি। কখনও ভুলা যায়না। জীবনে চলার পথে অনেক বন্ধু হবে,স্মৃতি জমা হবে -আবার হারিয়েও যাবে। কিন্তু স্কুল জীবনের বন্ধু ও স্মৃতি কখনও হারায় না,হারিয়ে যাবেনা। আপনার পোস্ট পড়ে আমিও নস্টালজিক হয়ে গিয়েছিলাম,প্রিয় স্কুল আর বন্ধুদের কথা মনে পড়েছিল!! ভাল লিখেছেন।অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
ঠিকই বলেছেন আপু জীবনে চলার পথে অনেক বন্ধু হবে অনেক স্মৃতি জমা হবে বন্ধুগুলো হারিয়ে যাবে স্মৃতিগুলো হারিয়ে যাবে কিন্তু স্কুল জীবনে থাকা বন্ধু এবং স্মৃতিগুলো কখনোই ভোলার নয়।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য
সত্যি ভাইয়া সবারই স্মৃতির পাতা এবং সোনালী অধ্যায় থাকে( ১ ম-১০ ম) শ্রেণি পর্যন্ত। আপনার পোস্ট পড়ে কিছু সময়ের জন্য স্কুল জীবনে ফিরে গিয়েছিলাম। সত্যি আপনারা তো এখনো মাঝে মাঝে স্কুলে যান কিন্তু আমার বাড়িতে গেলে কখনো যাওয়া হয় না। আসলে ভাইয়া কতো বন্ধু আছে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে। আর বন্ধুদের এই স্মৃতি আর কখনো ভুলা যায় না। যাইহোক ভাইয়া সুন্দর লিখেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একথা ঠিকই বলেছেন আপু প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সবারই জীবনের একটি সোনালী অধ্যায় কত বন্ধ কত স্মৃতি।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।।
সুন্দর একটা অনুভূতি শেয়ার করেছেন ভাইয়া আসলে স্কুল জীবনের সময়টা অনেক সুন্দর সময়। সেই সময় শতচেষ্টা করলেও ফিরে পাওয়া যায় না। সবাই মিলে অনেক খেলাধুলা আড্ডা দেওয়া দুঃখ কষ্ট ভাগাভাগি করা অনেক কিছু। আর সেই ছোটবেলায় স্কুল জীবনের বন্ধুত্ব গুলো অনেক সুন্দর সম্পর্ক। এই সুন্দর সম্পর্ক বাস্তব জীবনে খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। আপনার ঘর থেকে স্কুলের দূরত্ব খুব কাছাকাছি হওয়ায় খেলাধুলার ক্ষেত্রে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
শত চেষ্টা করেও সেই সময় গুলো ফিরে পাবো না তবুও স্মৃতির পাতা থেকে বারবার খুঁজে নিয়ে পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা করি বন্ধু এবং স্মৃতিগুলোকে।।
আসলেই ভাইয়া স্কুল জীবনের স্মৃতি কখনও ভুলবার মতো নয়। একসাথে সবাই মাস্তি করা, আড্ডা দেওয়া, হৈ হুল্লোড় করা, মারামারি করা, খেলাধুলা করা সবমিলিয়ে সেই সোনালী স্মৃতি কখনও ভুলবার মতো নয়। আর ছোটবেলার বন্ধুরাই রয়ে যায় আজীবন। এই জিনিসটা আমি খেয়াল করেছি। আপনার পোস্ট পড়ে কিছুক্ষণের জন্য ছোটবেলার স্মৃতিতে হারিয়ে গিয়েছিলাম। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এখনো মনে পড়ে বন্ধুদের সাথে হইচই আর আড্ডা দেওয়ার গল্প গুলো কত শত স্মৃতি আর কত বন্ধু আর কত গল্প।।
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।।