"কৃষ্ণসায়র ফুলমেলা"(কিছু ভাস্কর্য্যের ফটোগ্রাফি পর্ব : 17)
নমস্কার
"কৃষ্ণসায়র ফুলমেলা"
কিছু ভাস্কর্য্যের ফটোগ্রাফি পর্ব : 17
এখন গ্রীষ্মকাল চলছে।তবে আমি এই ছবিগুলো সংগ্রহ করেছিলাম শীতকালেই।কারণ শীতকালেই দেখা যায় প্রচুর পরিমাণে সত্যিকারের নানান রঙিন ফুলের সমাহার।দেখলে যেন চোখ জুড়িয়ে যায়।তো আমাদের বর্ধমান ইউনিভার্সিটি ও কৃষ্ণসায়র উৎসব কমিটির যৌথ উদ্যোগে একটি ফুলের মেলার আয়োজন করা হয়।যেখানে কৃষি-শিল্প-চিত্র ও পুষ্প সব মিলিয়ে জমজমাট এক মিলনমেলা দেখতে পাওয়া গিয়েছিল।তেমনি এই মেলা থেকেই কিছু ভাস্কর্য্য বা শিল্পের ফটোগ্রাফি করেছিলাম।আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের কাছেও ভাস্কর্য্যের ফটোগ্রাফিগুলি।তো চলুন শুরু করা যাক---
ভাস্কর্য্যের ফটোগ্রাফি:
পার্কের ভিতরে প্রবেশ করেই আমাদের চোখে পড়েছিল এই সুন্দর মূর্তিটির।যেটি ছাতার মতো একটি গাছের আকৃতির সঙ্গে ধরে ছিল নারী মূর্তিটি।মাঝবরাবর অংশে এটি অবস্থিত ছিল আর চারিপাশে জলাশয় ছিল।মূলত এটি একটি জলের ফোয়ারা ছিল, গাছের ছাতার মতো অংশটিই জলের ফোয়ারা।যেটি দিনের বেলা বন্ধ ছিল।মূর্তির ঠিক পিছনে নারিকেল গাছ ও সুন্দর একটি ডালপালাযুক্ত গাছ ছিল।
এখন গ্রামীন একটি ভাস্কর্য্যের সঙ্গে পরিচিত হলাম।যেটা পুরোনো দিনের কথা মনে করতে সাহায্য করে।আসলে প্রাচীন যুগে মানুষ কোনো জিনিস তার কাধে করে বহন করে নিয়ে যেত।তেমনি এখানেও এই ব্যক্তিটি বাঁকে করে কিছু বহন করে নিয়ে যাচ্ছে।
এটি হচ্ছে কৃষ্ণসায়র পার্ক কমিটির অফিস।অফিসটি অনেক সুন্দর ও অদ্ভুত।সবথেকে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে এখানের গাছগুলো।তেমনি একটি গাছকে ঘিরে এই অফিসটি তৈরি করা হয়েছে রাজকীয়ভাবে।গাছটি খুবই সুন্দর দেখতে লাগছিলো।
এটি হচ্ছে একটি উদ্যান।যেখানে বেশ কয়েকটি গ্রাম্য মূর্তি রয়েছে।যেখানে এক একটি মূর্তি দ্বারা একেক রকম জীবনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।প্রত্যেকটি ভাস্কর্য্য জীবনের আলাদা বৈচিত্র্যের কথা বলে।এখানে বেশ কয়েকজন মহিলা ও পুরুষের আলাদা ধরনের কর্মময় মূর্তি রয়েছে।
এই মূর্তিটি হচ্ছে একতারা হাতে একজন সাধকের।প্রথমে মনে হয়েছিল কোনো বাউল গানের সাধক হবে কিন্তু পরবর্তীতে আমার কাছে এটি চৈতন্যদেবের মূর্তির মতো মনে হয়েছে।কারণ মূর্তির কপালে তিলকের চিহ্ন রয়েছে।
যখন আমি বিকেলবেলা এখানের দৃশ্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছিলাম তখন এই জলের ফোয়ারাটি চালু ছিল না।কিন্তু সন্ধ্যা নামার ঠিক আগে এই জলের ফোয়ারাটি চালু করে দেওয়া হয়েছিল।ফলে এখানে সবাই ছবি তুলেছিলো নিজের ও ওই দৃশ্যের।
ঝর্ণার মধ্যে গাছ ধরে থাকা মূর্তিটি ভীষণ সুন্দর দেখতে লাগছিলো তখন।তাছাড়া বিভিন্ন কালারের সাহায্যে লাইটিং এর ব্যাবস্থাও ছিল।সন্ধ্যার সময়ে ফোয়ারার পিছনে লম্বা গাছগুলো দেখতেই বেশি ভালো লাগছিলো।ছাতার মতো অংশ দিয়েই জলগুলি বের হচ্ছিলো।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান,গোলাপবাগ |
আমার পরিচয় |
---|
টাস্ক প্রুফ:
কমেন্টস লিংক--
https://x.com/green0156/status/1923549425068089570
https://x.com/green0156/status/1923550493093011719
https://x.com/green0156/status/1923552420786794537
https://x.com/green0156/status/1923561522762219632
https://x.com/green0156/status/1923562473908732322