শারদীয়া কনটেস্ট ১৪৩২, দশমীর ফটোগ্রাফি।
কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই? আসলে এই উৎসবের দিনগুলোতে আপনারা সবাই খুব ভালো ছিলেন এবং আপনাদের সময়টা খুব ভালো কেটেছে। আসলে পুজো মানে প্রত্যেকটা বাঙ্গালীদের জীবনে একটা আনন্দের উৎসব। কেননা আমরা সারা বছর অপেক্ষায় থাকি যে কবে আমাদের এই দুর্গাপূজা আসবে। "আমার বাংলা ব্লগে" ঠিক প্রতিবারের মতো এবারও শারদীয় কনটেস্ট এর আয়োজন করা হয়েছে। তাই এই কনটেস্টে আমি অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। তো আজ আমি দশমীর ফটোগ্রাফি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। আর এর মাধ্যমে আমার পুজোর পরিক্রমা শেষ হলো।
|** ✠ দশমী ✠** |
*থিমের নাম :- স্বামী নারায়ণ মন্দির নীলকন্ঠ ধাম। *
আসলে পূজার সময় একটা সুবিধা হলো যে একটু বেশি রাত করে বেরোলে কিন্তু লোকের ভিড় অনেক কমে যায় এবং খুব সহজে আমরা একটা প্যান্ডেল থেকে অন্য প্যান্ডেলে দ্রুত যেতে পারি। ঠিক তেমনি এবার বনগাঁর এগিয়ে চলো সংঘ স্বামী নারায়ণ মন্দির নীলকন্ঠ ধাম মন্দিরটিকে কেন্দ্র করে এই প্যান্ডেলের থিম তৈরি করা হয়েছে।
আমরা যতগুলো প্যান্ডেল দেখেছি তার মধ্যে অন্যতম একটি সেরা প্যান্ডেল। আসলে এই প্যান্ডেলের সামনে বড় মাঠ থাকায় বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান হচ্ছিল এই প্যান্ডেলের পাশে। আসলে প্যান্ডেলটি সামনে থেকে দেখতে একদম অসাধারণ মনে হচ্ছিল আমার কাছে।
এরপর আমরা আস্তে আস্তে যখন প্যান্ডেলের ভেতর প্রবেশ করলাম তখন দুই পাশে মহাদেব এবং পার্বতী মায়ের বিভিন্ন ধরনের ছবির পোস্টার দেখতে পেলাম।
আর যখন আমরা ভিতরে ঢুকলাম ঠিক চারিদিকের কারুকার্য দেখে আমরা অবাক হয়ে গেলাম এবং আমাদের মাথার উপরে যে কারুকার্য করা রয়েছে তা দেখে মনে হচ্ছে যেন আমরা বড় কোন প্রাসাদের প্রবেশ করেছি যার উপরে এত সুন্দর কারুকার্য রয়েছে।
আসলে সামনের দিক থেকে দেখতে কিন্তু অনেক বেশি ভালো লাগছিল আমার কাছে এবং ফাঁকা ছিল বলে আমি একদম নিরিবিলি ছবি তুলছিলাম।
এরপর আমরা মায়ের সামনে গিয়ে কিছুক্ষণ প্রার্থনা করলাম এবং একটা ফ্যানের সামনে কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়িয়ে রইলাম। এরপর আমরা আস্তে আস্তে করে প্যান্ডেল থেকে বের হয়ে এলাম।
* দশমীর ফটোগ্রাফি *
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 2.13 mm
তারিখ : 02/10/2025
লোকেশন
থিমের নাম :- চাই না হতে উমা।
এর আগে যতগুলো প্যান্ডেলের ছবি দেখেছিলাম সবগুলো প্যান্ডেলের ছবি আমার কাছে ভালো লাগলেও এবারের প্যান্ডেলের ছবিটি আমার কাছে অসাধারণ মনে হয়েছে। আসলে ঐক্য সম্মেলন সংঘের প্রয়াসে এই সুন্দর প্যান্ডেলটি তৈরি করা হয়েছে এবং এর থিম হলো চাই না হতে উমা।
আসলে প্রথমত এই প্যান্ডেলের ছবি দেখে আপনারা হয়তোবা কিছুটা অনুমান করতে পারছেন যে কিসের উপর ভিত্তি করে এই প্যান্ডেলটি তৈরি করা হয়েছে।
আসলে বর্তমান সময়ে নারী যে কিভাবে আমাদের সমাজে নির্যাতিত হচ্ছে তার প্রেক্ষাপটে এই প্যান্ডেলটি তৈরি করা হয়েছে এবং প্যান্ডেলের গায়ে বিভিন্ন ধরনের বার্তা আমাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে।
আসলে আমাদের চারিপাশে এতটাই ধর্ষণ হচ্ছে যে এখন নারীদের রাস্তাঘাটে চলতে গেলে অনেক বেশি ভয় ভীতি নিয়ে চলতে হচ্ছে।
এছাড়াও প্যান্ডেলের দুই পাশে বিভিন্ন ধরনের কারুকার্য দেখে আমরা বুঝতে পারছি যে এই প্যান্ডেলের গভীর মর্ম কি। আসলে প্রত্যেকটা জিনিসই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগছিল।
আসলে বর্তমান সময়ে মেয়ে হিসেবে জন্ম নেওয়া কিন্তু একটা পাপের বিষয় মনে হচ্ছে। আসলে এই ভাবনা চিন্তার পরিবর্তন আমাদের অবশ্যই করতে হবে না হলে এই নারী জাতি কখনো উন্নতির মুখ দেখতে পাবে না।
আমি যতই এই প্যান্ডেলের ভেতরের বিভিন্ন দৃশ্য দেখছিলাম ততই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছিলাম।
এছাড়াও মায়ের মূর্তি খানি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন মা এবার এসেছেন সকল পাপের বিনাশ করতে। তাই মায়ের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করতে লাগলাম।
* দশমীর ফটোগ্রাফি *
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 2.13 mm
তারিখ : 02/10/2025
লোকেশন
থিমের নাম :- মায়া।
আসলে আমরা এর আগে যে প্যান্ডেলটি দেখলাম ঠিক তার পেছনেই এই প্যান্ডেলটি তৈরি করা হয়েছে। আসলে ১৫'পল্লী যুব গোষ্ঠী এবার এই মায়া থিমকে কেন্দ্র করে এই প্যান্ডেলটি তৈরি করেছেন।
এছাড়াও এই প্যান্ডেলে ঢোকার আগের মুহূর্তে দুই পাশে এত সুন্দর করে গেট সাজানো হয়েছে যা দেখে সত্যিই আমরা সবাই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছিলাম।
এছাড়াও অন্যান্য কাজগুলো আমাদের সামনে বেশ সুন্দরভাবে তুলে ধরার জন্য এখানকার কর্তৃপক্ষ অনেক বেশি চেষ্টা করেছেন। আসলে প্রত্যেকটা জিনিস অনেক সুন্দর হয়েছিল।
আর আমরা যখন ভিতরে প্রবেশ করলাম তখন দেয়ালের গায়ে বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সুন্দর মায়ের মুখ মূর্তি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
যখন উপরের দিকে দেখলাম তখন দেখলাম যে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি খাঁচার থেকে বের হয়ে চারিদিকে মুক্তির আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এছাড়াও অন্যান্য পাশে খুব সুন্দর ভাবে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এখানকার শিল্পী বিভিন্ন ধরনের জিনিস প্রকাশ করার জন্য চেষ্টা করেছেন।
এছাড়াও আপনি যখন উপরের দিকে তাকাবেন তখন দেখবেন যে উপরের থেকে শত শত ক্ষুদ্র উল্কাপিণ্ড আমাদের দিকে ধেয়ে আসছে।
এরপর আমরা মায়ের সামনে গিয়ে প্রণাম করে আবার পুনরায় পরবর্তী প্যান্ডেলের জন্য বের হয়ে গেলাম।
* দশমীর ফটোগ্রাফি *
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 2.13 mm
তারিখ : 02/10/2025
লোকেশন
থিমের নাম :- গর্ভধারিনী।
আসলে বনগাঁর স্পোর্টিং ক্লাব এবার গর্ভধারিণী মাকে কেন্দ্র করে সুন্দর একটা প্যান্ডেলের থিম আমাদের সামনে তারা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
আসলে এই প্যান্ডেলের প্রত্যেকটা জিনিস আপনার হৃদয় ছুঁয়ে দেওয়ার মত। কেননা গর্ভধারিনী মাকে কেন্দ্র করে তারা ভিতরের জিনিসগুলো ঠিক অবিকল সেই ধরনের তৈরি করার চেষ্টা করেছে।
এরপর আমরা দেখতে পেলাম যে মায়ের পেটের মধ্যে কিভাবে বাচ্চা রয়েছে সেটি তারা ছোট্ট একটা শিল্পকর্মের মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করেছে।
আমরা যতই ভিতরের দিকে প্রবেশ করছি ততই কেমন যেন মনে হচ্ছে আমরা পুনরায় আবার সেই মায়ের গর্ভের ভিতরে প্রবেশ করছে আস্তে আস্তে।
আসলে মায়ের গর্ভে সময়টা আমাদের জন্য সবথেকে ভালো সময় ছিল যখন শত আঘাত এবং বাধা বিপত্তি মা আমাদের কাছে আসার আগেই লড়াই করে সেটিকে দূরে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতেন।
এদিকে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে মা কিভাবে সংগ্রাম করে একটা সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করে তোলার জন্য কত চেষ্টা করছে।
প্যান্ডেলের ভেতরের উপরের অংশের দৃশ্যটি দেখে মনে হচ্ছে যেন শত শত রক্তবিন্দু আমাদের চারিদিক ঘিরে রেখেছে।
একদম মায়ের সামনের চারিদিক আমরা দেখতে পাচ্ছি যে বিভিন্ন ধরনের কারুকার্য দিয়ে এখানকার শিল্পী গর্ভধারিনী মাকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।
আসলে মায়ের এই কোমল চেহারা দেখে সত্যিই আমাদের মনটা ভরে গেল এবং প্রণাম করে পরবর্তী প্যান্ডেলের জন্য আমরা রওনা দিলাম।
* দশমীর ফটোগ্রাফি *
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 2.13 mm
তারিখ : 02/10/2025
লোকেশন
থিমের নাম :- ডোকা শিল্পের আদলে।
এই প্যান্ডেলটি অভিযান সংঘের প্রচেষ্টায় তৈরি করা হয়েছে ডোকার শিল্পের আদলে। আসলে বোকা শিল্প বলতে আমরা সেই পূর্বের প্রাচীন সভ্যতাকে বুঝি। ডোকা শব্দের অর্থ হলো ঘোড়া।
আসলে এই প্যান্ডেলের সামনে এত কম জায়গা ছিল এবং একদম সামনেই মেইন রোড থাকার জন্য আমরা ভালোভাবে সামনে থেকে ছবি তুলতে পারছিলাম না।
তাই বিভিন্ন অংশের ছবি ভাগ করে করে আমি আপনাদের সামনে পুরো প্যান্ডেলের ছবিটা প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি।
প্যান্ডেলের চারিদিকে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট মূর্তি দিয়ে কিভাবে এই প্যান্ডেলটি সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
আসলে এখানের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নিখুঁত কাজ দেখে সত্যিই আমি অবাক হয়ে গেলাম যে এত সুন্দর করেও মানুষ একটা জিনিস কিভাবে অন্য মানুষের সামনে প্রকাশ করতে পারে।
আসলে মায়ের একদম সামনের উপরের ঝাড়বাতি এবং চারিদিকের সৌন্দর্য আমাকে এতটাই পাগল করে দিয়েছিল যে আমি সব থেকে বেশি সময় এই প্যান্ডেলের মধ্যে কাটিয়েছিলাম।
এরপর মায়ের সামনে গিয়ে প্রণাম করে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম মায়ের অপরূপ চেহারা দেখতে।
* দশমীর ফটোগ্রাফি *
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 2.13 mm
তারিখ : 02/10/2025
লোকেশন
থিমের নাম :- ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়।
১১'র পল্লী যুব গোষ্ঠীর প্রচেষ্টায় ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় এই থিম কেন্দ্র করে এই প্যান্ডেলটি তৈরি করা হয়েছে।
আসলে প্যান্ডেলের সামনের অংশ দেখেই আমরা বুঝতে পারছি যে এই পৃথিবীতে ক্ষুধার জন্য মানুষ কত বেশি কষ্ট পেয়ে থাকে।
আসলে প্যান্ডেলের ভিতর প্রবেশ করতে করতে আমরা চারিদিকের দেয়ালে বিভিন্ন ধরনের নীতি বাক্য এবং মানুষের খাবারের কষ্টের ছবি দেখতে পেলাম।
এছাড়াও প্রতিনিয়ত যেভাবে মানুষ খাবারের অপচয় করে এতে করে কিন্তু দিন দিন খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছে এবং যারা দুই বেলা দুই মুঠো খেতে পায় না তাদের কথা একই সাথে চিন্তা করলে অনেক বেশি খারাপ লাগে।
আসলে চারিদিকে খাদ্যের হাহাকার এবং মানুষ এই দু মুঠো ভাত খাওয়ার জন্য চারদিকে কষ্ট করে বেড়ায় এবং কেউ তাদেরকে কখনো অন্ন তুলে দেয়ার চেষ্টা করেনা।
তাইতো এই পৃথিবীটা ক্ষুধার রাজ্যে গদ্যময়। আসলে যারা ঠিকঠাক খাবার পায় না তারাই জানে যে এই পৃথিবীতে খালি পেটে থাকার কষ্ট কতটা বেশি।
আসলে এই ছবিতে দেখতে পাচ্ছি যে একজন মহিলা তার নিজের খাবার না খেয়ে অন্য একটা প্রাণীকে সেই খাবার দিয়ে দিচ্ছেন।
এছাড়াও একজন মা তার সন্তানের ক্ষুধা নিবারণ করার জন্য চারিদিকে হাহাকার করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এছাড়াও এই প্যান্ডেলের চারিদিকে দৃশ্য দেখে সত্যি মনে অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছিল তাদের জন্য যারা না খেয়ে কষ্ট হয়।
আসলে সব শেষে দেখতে পেলাম যে সেই মা কি করে তাদের সন্তানদেরকে আদর দিচ্ছেন এবং তাদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য কতই না সংগ্রাম করছেন। আসলে মায়ের এই সুন্দর মুখখানা দেখে আমার সত্যিই মনটা ভরে গেল।
* দশমীর ফটোগ্রাফি *
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 2.13 mm
তারিখ : 02/10/2025
লোকেশন
থিমের নাম :- ময়ূর মহল।
১২'র পল্লী মহিলাদের পরিচালনায় এই ময়ূর মহলটি তৈরি করা হয়েছে। আসলে ওই এলাকার সব মহিলারা মিলে একত্রে এই প্যান্ডেলটি তৈরি করেছেন।
প্যান্ডেলটি আমার কাছে কিন্তু এক কথায় অসাধারণ মনে হয়েছে। কেননা চারিদিকের কারুকার্য এত সুন্দর ভাবে শিল্পী ফুটিয়ে তুলেছেন যা দেখে আমরা মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
এরপর মূল প্যান্ডেলের সামনে এগিয়ে যেতেই মূল গেট দেখতে পেলাম এবং গেটের চারিপাশে বিভিন্ন ধরনের কারুকার্য একই সাথে দেখতে পেলাম।
আসলে গেটের ঠিক উপরের দিকে দুই পাশে ছোট ছোট কদবেল এর খোলস দিয়ে এই ধরনের ডিজাইনটি তৈরি করা হয়েছিল।
এরপরে আমরা পরবর্তীতে মূল মায়ের মূর্তির সামনে পৌঁছে গেলাম এবং উপরের দিকে ঝাড়বাতি দেখে সত্যিই আমাদের মনটা ভরে গেল এবং এত বড় ঝাড়বাতি পুরো প্যান্ডেলের ভেতরের অংশ আলোকিত করে দিয়েছে।
আসলে মায়ের সামনে চারিদিকের অংশ এত সুন্দর করে সাজানো হয়েছে যে আপনারা ছবিতে কতটুকু বুঝতে পারছেন তা আমি বলতে পারব না কিন্তু বাস্তবে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো মনে হচ্ছিল।
এরপর মায়ের সামনে গিয়ে আবার পুনরায় প্রণাম করে পরবর্তী প্যান্ডেলের উদ্দেশ্যে বের হয়ে গেলাম।
* দশমীর ফটোগ্রাফি *
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 2.13 mm
তারিখ : 02/10/2025
লোকেশন
থিমের নাম :- স্বপ্নের ফেরিওয়ালা।
সাহাপাড়া প্রফুল্ল স্মৃতি চক্র এবার স্বপ্নের ফেরিওয়ালা থিমের উপর কেন্দ্র করে এই প্যান্ডেলটি তৈরি করেছেন যেটি বাস্তবে দেখতে অনেক সুন্দর ছিল।
আসলে সর্বপ্রথম যখন আমি এই প্যান্ডেলের সামনে চলে এলাম তখন আমার কাছে ছোটখাটো একটা চকলেট হাউজের মতো মনে হচ্ছিল যার চারিদিকে শুধুমাত্র চকলেট আর চকলেট।
এছাড়াও ঠিক গেটে ঢোকার দুই পাশে এত সুন্দর ভাবে এখানকার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের চিন্তায় এত সুন্দর দৃশ্য ফুটে উঠেছে যা একদম কল্পনার বাইরে।
দুই পাশের দেয়ালে বিভিন্ন ধরনের কারুকার্য দেখে আমরা মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম এবং একই সাথে বিভিন্ন ধরনের অংকন দেখে আরো বেশি ভালো লাগছিল।
আসলে একদম মাঝের অংশটিতে আমরা কিছু মানুষকে দেখতে পেলাম যারা ফেরিওয়ালা এবং বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র বিক্রি করেন।
পরবর্তীতে ঠিক মায়ের সামনের চারিদিকের অংশটা এত সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে যা আপনারা ছবির মাধ্যমে দেখতে পারছেন এবং আপনাদের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগছে।
আসলে এখানে মায়ের কোমল মুখখানা দেখে সত্যিই আমাদের মনটা জুড়িয়ে গেল এবং এই বছর মায়ের এই মূর্তিটা দেখেই আমাদের পুজো দেখা কমপ্লিট হয়ে গেল।
* দশমীর ফটোগ্রাফি *
ক্যামেরা পরিচিতি : Motorola
ক্যামেরা মডেল : Motorola edge 50 pro
ক্যামেরা লেংথ : 2.13 mm
তারিখ : 02/10/2025
লোকেশন
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।