কালবৈশাখী শপিং - পর্ব ৪
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
আজকের পোস্টটা ভীষণ স্পেশাল। আজ এমন একটা সিরিজ শেয়ার করতে যাচ্ছি আপনাদের সাথে যেটা প্রত্যেক বছরে একটিমাত্র শেয়ার করা হয়। বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সেই পুরনো ইউজার গুলো এখন আর নেই বললেই চলে। তারা সাক্ষী ছিল আমার এই সিরিজের আগের পোস্টগুলোর। এটি হচ্ছে কালবৈশাখী শপিং এর চতুর্থ পর্ব। কালবৈশাখী শপিং হচ্ছে প্রত্যেক ঈদুল ফিতরের দু থেকে তিন দিন আগের রাত্রে শপিং করতে যাওয়া। আমরা ৮ থেকে ১০ জন একসাথে যাই এই শপিংয়ে, আর সারারাত শপিং করতেই কাটিয়ে দেই। সেহেরির কিছু সময় আগে বাড়িতে ব্যাক করি।
কালবৈশাখী শপিং এর নামটা কেন হয়েছিল সেটা পর্ব ১ দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন। সেকি ঝড়ের কবলে পড়েছিলাম!! ভয়ংকর ঝর, আম কুড়ানো, শপিং করা সবমিলিয়ে দারুন ছিল রাতটি। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও আমরা গিয়েছিলাম। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে ঈদের দিন থেকেই আমি প্রচন্ড অসুস্থ থাকার কারণে আর এই পোস্টটি শেয়ার করা হয়নি। নানান ব্যস্ততার কারণে এই পোস্টটা করতে অনেক বেশি দেরি হয়ে গেল। যাই হোক যারা আগের পোস্ট গুলো দেখেনি তাদের সুবিধার্থে লিংক গুলো দিয়ে দিচ্ছি।
আমরা সবাই একসাথে হয়ে রাত নটার দিকে রওনা দিয়েছিলাম। ঈদুল ফিতরের ওই সময়টাতে এখন আর ঝড় হওয়ার তেমন সম্ভাবনাই নেই। গাছের আমগুলোও খুব ছোট ছোট। তাই প্রথমবারের মতো ঝড় আর আমের এক্সপেরিয়েন্স নেয়া হলো না। ওয়েদারটা ছিল হালকা ঠান্ডা ঠান্ডা। খুব আরামেই যাচ্ছিলাম আমরা। এক বন্ধুকে ফোন দিলাম ও আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল মার্কেটের আশেপাশেই। প্রথমে শহরে পৌঁছাই ইজির শোরুমে হামলা দিলাম।
অনেকদিন পর পোষ্ট লিখছি বলে কোথায় কি করেছি সঠিক ভাবে মনে নাই। খেয়াল করতে পারছি না ইজি থেকে কিছু কিনেছিলাম কিনা। যাই হোক ইজি থেকে বের হওয়ার পরেই দেখতে পেলাম সামনে একটি টিকিয়ার দোকান। এই জিনিসটা আমার ভীষণ প্রিয়। যখন কলেজে পড়তাম তখন শহরের মধ্যে আসলে প্রায়ই এটা খাওয়া হত। স্মৃতিতে এখনো রয়ে গেছে সেই দিনগুলি।
সবাই একসাথে অনেকগুলো টিকিয়া খেলাম। সেই পুরনো চিরচেনা স্বাদ। আরো খেতে ইচ্ছে করছিল , কিন্তু সেহরি করতে হবে তাই আরো বেশি খেলাম না। ভাজাপোড়া বেশি খেলে আবার সমস্যা হতে পারে। খাওয়া শেষ করে সবাইকে বললাম যার যার মত শপিং করে ফেলতে। কারণ একজনের শপিং এর পিছে সবাই ঘুরে বেড়ালে সারারাত কেটে যাবে কারো শপিংই কমপ্লিট হবে না। তবে এবারের শপিং টা খুব আরামের সাথেই করতে পারছিলাম কারণ ওয়েদারটা ছিল ঠান্ডা ঠান্ডা। গত বছর যে প্রচন্ড গরমে খুব অস্বস্তি লাগছিল এবার তেমনটা ছিল না।
শপিং এর ফাঁকে লেবুর শরবত খেয়ে শরীর মন ঠান্ডা করে নিলাম। সবাই নিজের মতো শপিং করছে, আমরা কয়েকজন একসাথে ঘুরে বেড়াচ্ছি। এবার অবশ্য আমি তেমন কিছু শপিং করিনি। পাঞ্জাবি বাড়িতে আছে তাই শুধুমাত্র একটা পায়জামা নিয়েছি। আর কয়েকটা বক্সার নিয়েছি। এটাই ছিল আমার শপিং।
সবার পুরো শহর ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম আর সবার সাথে শপিং ইনজয় করছিলাম। সবার শপিং যখন শেষের দিকে তখন শহর প্রায় ফাঁকা। শহরের এমাথা সাথে ওমাথা কয়েকটা চক্কর দিলাম। এরপর সবাই একসাথে হলাম বাড়ির দিকে ফেরার জন্য।
রাস্তায় যেমন গাড়ি নেই। সবাই একসাথে হাইওয়েতে গভীর রাতে বাইক চালানোর মধ্যে দারুণ একটা অনুভূতি আছে। সবাই একসাথে ফিরছিলাম আর আমি মনে মনে ভাবতেছিলাম আগামী বছর ইনশা আল্লাহ আবার এরকম আসবো আমরা। যাইহোক প্রতিবারের ন্যায় এবারও আমরা চায়ের বিরতি নিলাম এক জায়গায়। প্রতিবাদ যে জায়গায় চা বিরতি দেয়া হয় সেখানেই। চা খেলাম, পেটিস খেলাম, আর যার যা ভালো লাগে কিছু খেয়ে নিল। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে এবার বাড়ির পথে রওনা।
নিস্তব্ধ গভীর রাতে নদীর পাড় দিয়ে বাইক চালাচ্ছি। সেই প্রথম বারের স্মৃতি মনে পড়ল। যখন নদীর পারে আসামাত্রই প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়েছিল। Alhamdulillah for everything.
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

কালবৈশাখী শপিং মানেই ঐতিহাসিক শপিং। প্রথম দুই বছরে অবশ্য কালবৈশাখী শপিংয়ে ছিলাম না। কিন্তু তারপর তৃতীয় বছরে কালবৈশাখী শপিং এ ছিলাম আর অনেক মজা করেছিলাম। আর বছরে অবশ্য সিলেট থাকার কারণে কালবৈশাখী শপিংয়ে যাওয়া হয়নি। তবে না গেলেও কালবৈশাখী শপিংয়ের গল্পটা পড়ে বেশ ভালো লাগছে। আবার এই ঐতিহাসিক কালবৈশাখী শপিংয়ের জন্য আরো এক বছর অপেক্ষা করতে হবে।
এই কালবৈশাখী শপিংয়ে প্রতি বছরই বেশ মজা করি এবারেও বেশ মজা হয়েছে আবহাওয়া হালকা ঠান্ডা থাকায় শপিং করতে খুব বেশি দুর্ভোগের শিকার হতে হয়নি। ঠান্ডা আবহাওয়ায় বেশ মজাই লেগেছে। তবে ভাই এই টিকিয়া খাওয়ার বিষয়টা কিন্তু বেশি মজা ছিল যদিও তুলনামূলক আমি ভাগে কম পেয়েছি হা হা হা। আপনার পোস্ট পড়ে দিনটার কথা আবার মনে পড়ে গেল ভাই।
কালবৈশাখী শপিং নিয়ে করা পোস্ট গুলো আমার পড়া হয়ে উঠেনি।আর এই পর্বটি শেয়ার করতে নানান ঝামেলায় দেরী হয়ে গেছে আপনার।তবে পোস্ট পড়ে বুঝলাম আপনারা বন্ধুরা সব মিলে ঈদুল ফিতরের আগে মার্কেটে যান।আর খুব আনন্দ করেন।কেনাকাটা আর এর ফাঁকে খাওয়া-দাওয়া ও চলে।সেদিন খুব ঘুরাঘুরি করেছেন।সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনার কালবৈশাখী শপিং নিয়ে আগের বছরগুলোতেও অনুভূতি পড়েছিলাম।আপনারা সবাই মিলে দারুণ সময় পার করেছিলেন।গরমে লেবুর শরবত না খেলে ঠিক জমে না,ধন্যবাদ দাদা।