সময় নষ্ট না করে নিজের স্কিল উন্নয়ন করুন!
25-06-2025
১১ আষাঢ় , ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য থাকার চেষ্টা করছেন প্রতিনিয়ত। তো আমিও ভালো থাকার চেষ্টা করছি। আর সেটা অব্যাহত রাখতেই হবে! কারণ আপনি যদি ভালো না থাকেন তাহলে কোনো কিছুই আপনার করতে ভালো লাগবে না। তো যতই দিন যাচ্ছে সবকিছু যেন হাতের নাগালে চলে আসছে। আগে যে কাজটা করতে তিন ঘন্টা সময় লাগতো এখন সে কাজটা ত্রিশ মিনিটে শেষ হয়ে যাচ্ছে। তো এতে করে আসলে ফায়দাটা কি হচ্ছে? প্রথম কথা হলো আমাদের সময় বেচেঁ যাচ্ছে। অল্প সময়ে কাজ শেষ করতে পারছি। তবে কথা হলো টেকনোলজি সম্পর্কে তো আপনার ন্যূনতম আইডিয়া থাকা লাগবে। এইযে বর্তমানে এ আই দিয়ে প্রায় সব কাজ কমপ্লিট করা যাচ্ছে। আপনার কোন কাজ করা দরকার সেটা এ আই সবকিছু বলে দিচ্ছে। বিশেষ করে আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য চ্যাটজিপিটির গুরুত্ব অপরিসীম বলা যেতে পারে, হাহা।
কারণ ক্লাসে স্যার ও ম্যামদের দেয়া এসাইনমেন্ট যা সহজে সমাধান করা কঠিন। আর সে কঠিন কাজ চ্যাটজিপিটি ইজিলি কম সময়ে করে দিচ্ছে! আর আমরাও দ্রুত সময়ের মধ্যে এসাইনমেন্ট সাবমিট করতে পারছি। তবে চ্যাটজিপিটি আমাদের জীবনকে অনেকটাই ইজি করে দিয়েছে! চ্যাটজিপিটিকে আপনি যেভাবে বলবেন সেভাবে আপনার কাজ করে দিবে। সেটা করার জন্য হলেও জ্ঞান থাকা জরুরি। এখনকার যুগে এসে আপনি যদি সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নিজের দক্ষতা উন্নয়ন না করেন তাহলে আপনাকে ঝরে পরতে হবে খুব শীঘ্রই! যতটুকু সম্ভব স্কিল ডেভলপ করতে সময় দিন। যেকোনো কিছু শেখার চেষ্টা করুন! এই যে, আমাদের এ সেমিস্টারে প্রোগ্রামিং সাবজেক্ট টা আছে। তো আমি প্লেন করেছি প্রোগ্রামিং ভাষাটাকে শেখার! যেভাবে হোক প্রোগ্রামিং ভাষাটাকে শিখতে পারলে একে তো আমার দক্ষতা বাড়লো পাশাপাশি একটা জব পাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হলো।
বর্তমানে যে স্কিলফুল ব্যক্তি তার জবের অভাব হয় না! কারণ আপনার দক্ষতা জীবনের কোনো না কোন জায়গায় কাজে দিবেই। আপনি যদি ভালো করে প্রোগ্রামিং শিখে থাকেন তাহলে সেটাও কোনো না কোনো ক্ষেত্রে কাজে লাগবেই। বর্তমানে প্রোগ্রামিং এর উপরেই সবকিছু বলতে গেলে। কারণ এ আই যে ডিজাইন করা হয়েছে সেখানেও কিন্তু প্রোগ্রাম ইউজ করা হয়েছে। এমনভাবে সেখানে প্রোগ্রাম সেট করা হয়েছে আপনি যাই দেন না কেন সাথে সাথে সেটার উত্তর পেয়ে যান। তো প্রোগ্রামিং এর যে জ্ঞান সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলা যেতে পারেই। আপনি প্রোগ্রামিং পারলে ঘরে বসেই অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়ে যাবেন। আমি এমনও দেখেছি ঘরে বসে বাহিরের দেশের ক্লায়েন্টদের কাজ করে দিচ্ছে। বিনিময়ে তারা পাচ্ছে ডলার! আপনার কোথাও যাওয়াও লাগলো না! ঘরে ভিতরে বসেই আপনি কাজ সেরে ফেলতে পারছেন! ব্যাপারটা কিন্তু আসলেই ইন্টারেস্টিং একটা ব্যাপার! এজন্য কোনো স্কিল শেখায় মনোযোগী হন।
এমন অনেকেই আছে তাদের অনেক ইচ্ছে থাকে একটা স্কিল দেখার। কিন্তু তাদের কথা হলো তাদের হাতে সময় নেই! তাই তারা করে কি একদিনেই সব ভিডিও দেখে শিখে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু এটা কি আদৌ শেখা সম্ভব!! কখনোই সম্ভব না আসলে। আপনাকে একটা কনসিসটেন্সি মেইনটেন করে আগাতে হবে। আপনি একদিনেই কোনো স্কিল আয়ত্ত করতে পারবেন না। তারজন্য দরকার প্রতিদিন সময় দেয়া। সেটা হতে পারে ত্রিশ মিনিট করেও। তারপরেও প্রতিদিন সময় দিতে হবে। লেগে থাকলে একটা সময় পরে দেখতে পাবেন আপনি কতটা ডেভেলপ করেছেন! এজন্য স্কিল শেখায় সময় দিতে হবে, লেগে থাকতে হবে। সবচেয়ে ইম্পর্টেনট যে বিষয়টা সেটা হচ্ছে ধৈর্যশক্তি। আপনাকে ধৈর্যের সাথে লেগে থাকতে হবে। একটা সপ্তাহ পরে নিজের কাছে প্রশ্ন করুন, আসলে আপনি কি শিখেছেন এ সপ্তাহে! শুধু ইউটিউব এ ভিডিও দেখলেন আর আপনি বললেন শিখে ফেলেছি সেটা কখনোই পসিবল না। আপনাকে বাস্তব জ্ঞান অর্জনের জন্য পর্যাপ্ত প্র্যাকটিস করতে হবে।
আমাদের শেখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধাঁ হলো আমাদের ফোন! আমরা ফেইসবুক স্ক্রল করতে করতে কখন যে ত্রিশ মিনিট পার করে দেয় সেটার খেয়াল রাখি না! এজন্য শেখার সময় সোস্যল মিডিয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। যেহেতু আপনি ফোনে বা ল্যাপটপে ভিডিও দেখে শিখছেন সেহেতু মনোযোগ ধরে রাখাটা কঠিন হবে। এজন্য শেখার সময় গ্যাপ নিন। পাচঁ মিনিট করে বিশ্রাম নিতে পারেন। তাহলে দেখবেন আপনার কনসেন্ট্রেশন ব্রেক হবে না! দিনশেষে, কথা একটাই আসলে আপনাকে যেকোন কিছু শিখতে হবে! যেকোন কিছু মানে যেকোন কিছু! টেকনোলজির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আপনি যদি স্কিলফুল হয়ে যান তাহলে টেকনোলজিকে কাজে লাগিয়ে সে কাজ আরও দ্রুত করে ফেলতে পারবেন! এজন্য নির্দিষ্ট লক্ষ্যের সাথে সময় ব্যবস্থাপনাটাও জরুরি! তারপর আপনার দক্ষতা উন্নয়ন বুঝতে পারবেন!
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
twitter share