অজিদের কাছে হোয়াইটওয়াশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ!
29-07-2025
১৪ শ্রাবণ ,১৪৩২ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সুস্থ্য থাকাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি যদি সুস্থ্য না থাকেন তাহলে আপনার কোনো কিছুতেই মন বসবে না। এজন্য আমি খেলাধুলার সাথে সম্পৃক্ত থাকার চেষ্টা করি। খেলাধুলার সাথে সম্পৃক্ত থাকলে আপনি মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ্য থাকতে পারবেন! তো আপনারা ইতোমধ্যে হয়তো জানেন, অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হয়েছে। পাচঁ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল অবসরে চলে গেছেন। তার বিদায়টা সতীর্থরা সুন্দর করেই দিয়েছে। ছোটবেলা থেকেই আন্দ্রে রাসেল, কাইরন পোলার্ড, ক্রিস গেইলের মতো ব্যাটিং দানবদের ব্যাটিং তান্ডব দেখিছি! তাদের বড় ছক্কা মারার দৃশ্য কখনো ভুলবার নয় আসলে। তবে জীবনের একটা পর্যায়ে এসে আমাদের সবারই অবসরে যেতে হয়! তবে তাদের দেয়া মুহূর্ত কখনো ভুলবার নয় আসলে।
তো ইতোমধ্যে চারটি টি-টোয়েন্টি হয়েছে। আর চারটিই হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ! ওয়েস্ট ইন্ডিজে ভালো মানের ব্যাটিং থাকলেও এখনও বোলাররা জ্বলে উঠতে পারে না! বোলিং এর কারণে ভালো ব্যাট করেও হেরে যেতে হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। তো সিরিজ আগেই জিতে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া! পাচঁ নাম্বার ম্যাচ শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ওয়াইটওয়াশ করার বাকি। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অবশ্য চাইবে একটা ম্যাচে অন্তত জিতুক। তো পাচঁ নাম্বার ম্যাচে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়! আগের ম্যাচগুলাতে পরে ব্যাটিং করেই জিততে পেরেছে বেশি অজিরা! তো শুরুতেই ব্যাটিং করতে নামে সেই হোপ ও ব্রেন্ডন কিং! তো আগের ম্যাচে তাদের ওপেনিং পার্টনারশিপটা দারুণ ছিল। তবে দেখার বিষয় ছিল তাদের ওপেনিং ব্যাটিং পার্টনারশিপটা কেমন হয়। ওভারের শুরুটা ভালোভাবেই করেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে দলী সংগ্রহ যখন ১৪ রান তখন হোপ আউট হয়ে যায়। তারপর মাঠে আসে কার্তি। কার্তি আসার পর কিংও আউট হয়ে যায়। তারপর মাঠে আসে রাদারফোর্ড! রাদারফোর্ড নামার পরে কার্তি আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে।
কিছুটা চাপে পরে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ! তারপর মাঠে আসে সিমরন হেটমায়ার! হেটমায়ার নামার পর রাদারফোর্ড এর ব্যাটিং তান্ডব শুরু হয়। একের পর এক চার ছক্কা মেরে বোলারদের চাপে রাখার চেষ্টা করে। তবে রাদারফোর্ড এর ইনিংসটা বেশি বড় হতে পারেনি। ১৭ বলে ৩৫ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। তারপর মাঠে আসে হোল্ডার! হোল্ডারকে সাথে নিয়ে ব্যাটিং তান্ডব শুরু করে হিটমায়ার! তবে দলীয় সংগ্রহ যখন ১১১ রান তখন হোল্ডার আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে। তারপর শেষের দিকে হেটমায়ার এর ব্যক্তিগত ৫২ রানের সুবাধে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ অবধি সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়।
আগের ম্যাচে ২০০ এর কাছাকাছি রান করেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিততে পারেনি। তো ১৭০ করে আশা করা যাচ্ছিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিততে পারবে কি না! তাদের বোলিং লাইনআপ আছে তবে কভার দিতে পারে না! আখিল হোসেন ছাড়া কারো বল যেন ভালো হয় না এমনটা মনে হয়। ব্যাটিং করতে নামে মার্শ ও ম্যাক্সওয়েল! ম্যাক্সওয়েলকে এ প্রথম আমি ওপেনিং এ নামতে দেখলাম। শুরু টা অজিদের মোটেও ভালো হয়নি। শূন্য করেই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় ম্যাক্সওয়েল কে। তারপর মাঠে আসে জস ইংলিশ! তার ইনিংসটাও ভালো হয়নি। ১০ রান করেই আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে আসে ক্যামেরন গ্রিন! গ্রিন নামার পর ক্যাপ্টেন মার্শ আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে। কিছুটা চাপে পরে যায় অজিরা। মাঠে আসে টিম ডেভিড! আগের ম্যচেও সে ব্যাটিং তান্ডব চালিয়েছিল।
ডেভিড নামার পরেই চার ছক্কার যেন বন্যা শুরু হয়ে যায়। তবে ইনিংসটা লম্বা করতে পারেনি টিম ডেভিড ১২ বলে ৩০ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। তারপর মাঠে আসে ওয়েন। ওয়েন আগের ম্যাচে তেমন পারফর্ম করতে পারেনি! ওয়েন নামার পরে গ্রিনকে নিয়ে একটা পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করে। তবে দলীয় সংগ্রহ যখন ১২৩ রান তখন ওয়েন আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে আসে হার্ডি। শেষের দিকে গ্রিনের ৩২ রান ও হার্ডির ২৮ রানের সুবাধে জয়ের বন্দরে চলে যায় অজিরা! ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। প্লেয়ার অফ দা সিরিহ্জ হয় ক্যামেরন গ্রিন।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.