সাউথ আফ্রিকার কাছে বাংলাদেশের হার!

---

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। ভালো থাকতে পারাটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ । তবে এই চ্যালেঞ্জে কেউ পরাজিত হয় আবার কেউ জয়ী হয় । এখন ওয়েদার পরিবর্তন হয়েছে। শীতের ভাব এখন সকাল হলেই বুঝা যায়। রাতে ফ্যান ছাড়লেই শীত শীত লাগে। তো যায়হোক, আমরা যারা খেলাপ্রেমী মানুষ আছি তারা নিশ্চয় ক্রিকেট বিশ্বকাপের খেলা দেখছি। আজকে বিশ্বকাপের ২৩ তম ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করবো। ম্যাচটি হয়েছিল বাংলাদেশ ও সাউথ আফ্রিকার দুদেশের মধ্যে! গত ২৪ ই অক্টোবর ম্যাচটি হয়েছিল। এবারের বিশ্বকাপে যে কয়টা টিম ভালো খেলছে তার মধ্যে সাউথ আফ্রিকাও আছে। যে কয়টা খেলা দেখেছি সবগুলোতে দলগত পারফর্মেন্স ভালো ছিল। আর বাংলাদেশের কথা আর কি বলবো! আফগানিস্তানের সাথে জেতার পর এখনও জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ।

_{screenshot from Gazal Tv Youtube Channel}

টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। সাউথ আফ্রিকাট টপ অর্ডার থেকে শুরু মিডল অর্ডার ব্যাটাররা সবাই খুব ভালো ব্যাট করছে। টেম্বা বাভুমার ইনজুরির কারণে সেদিন দলে থাকতে পারেনি। নেয়া রেজা হেনড্রিকসকে। রেজাকে নিয়ে মাঠে নাম কুইন্টন ডি কুক। ডি কুকের সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স বেশ ভালো। রেজা ও কক মিলে দেখেশুনে শুরুটা করে। কিন্তু ইনিংসের প্রথম আঘাত আনে শরিফুল ইসলাম। দলীয় রান যখন ৩৩ তখন রেজা আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে আসে
ডুসেন। এবারের বিশ্বকাপে তারও পারফর্মেন্স বেশ ভালো। কিন্তু সেদিন তার পারফর্মেন্স দেখাতে পারেনি। মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। কিছুটা চাপে পরে তখন সাউথ আফ্রিকা। আমি ধরেই নিয়েছিলাম ডি কুককে আউট না করতে পারলে কাজ হবে না। রানের পাহাড় তৈরি করে ফেলবে।

_{screenshot from Gazal Tv Youtube Channel}

তারপর মাঠে আসে মার্কাম। টেম্বা বাভুমার অনুপস্থিতিতে ক্যাপ্টেন্সিতে করে মার্কাম। মার্কাম আর ডি কক মিলে ১৩১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। তার আগে দুজনই হাফ সেঞ্চুরি করে। কিন্তু মার্কাম আর ইনিংসটাকে বড় করতে পারেনি। ৩০ ওভার ৪ বল শেষে রান যখন ১৬৭ তখন মার্কাম সাকিব আল হাসানের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে । তারপর মাঠে নামে হেনরি ক্লাসেন। আগের ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেছিল ক্লাসেন। তাকে নিয়ে ভয় হচ্ছিল। আর সেটাই হয়। শুরু থেকেই এটাকিং মোডে খেলতে থাকে। ডি কুক আর ক্লাসেন মিলে আবারো একটা বড় পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। নিজের ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি তুলে নেয় ডি কুক। সেঞ্চুরি করার পর ডি কুক মারমুখী ব্যাটিং শুরু করে। বাংলাদেশের পেসাররা সেদিন অসহায় আত্মসমর্পন করে। সবাই লাইন ল্যান্থ ভুলে গিয়েছিল। খেলা দেখে মোটামোটি রাগও হচ্ছিল। শেষমেশ ডি কুকের ইনিংস থামে ১৭৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে। দলীয় সংগ্রহ তখন ৩০৯ সাউথ আফ্রিকার। অবশেষে সাউথ আফ্রিকা ৩৮২ রান সংগ্রহ করে।

_{screenshot from Gazal Tv Youtube Channel}

বলতে গেলে বিশাল রানের একটি টার্গেট! এতো রান চেস করার ইতিহাস হয়নি এখনও বাংলাদেশের! আমি ধরেই নিয়েছিলাম এ খেলা কখনোই জিততে পারবে না বাংলাদেশ। বাংলাদেশ চাপ নিয়ে খেলতে পারে না। শুরু থেকেই একটার পর একটা আউট হতে থাকে। খেলা দেখা তখনই বাদ দিয়ে দিছিলাম। কিন্তু পরে যখন দেখি মাহমুদুল্লাহ এখনও একাই লড়াই করে যাচ্ছিল সেটা দেখে খুব ভালো লাগল। মাহমুদুল্লাহ সেদিন সেঞ্চুরির দেখা পায়। বাংলাদেশ হারলেও মাহমুদুল্লাহ এর সেঞ্চুরিটা হারার আক্ষেপটাকে অনেকাংশে কমিয়ে দিয়েছিল। মাহমুদুল্লাহ এর ইনিংস থামে ১১১ রানে। দলীয় সংগ্রহ তখন বাংলাদেশের ২২৭ রানে নয় উইকেট। শেষ অবধি বাংলাদেশ সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রান সংগ্রহ করতে পারে। ১৪৯ রানে বিশাল ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ। আসলে এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের খেলার অবস্থা দেখে সবাই মর্মাহত। টিমের সবাই মিলে কোনো পারফর্মেন্স নেই। ব্যাটিং অর্ডার ঠিক নেই। বোলাররাও ভালো বোল করতে পারছে না। সবমিলিয়ে বাংলাদেশ টিমের যা-তা অবস্থা।

---

---

10% beneficary for @shyfox ❤️

ধন্যবাদ সবাইকে

---

---

আমি কে?

^{আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।}