বাংলাদেশের সহজ জয়!
15-07-2025
৩১ আষাঢ় , ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সুস্থ্য থাকাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি যদি সুস্থ্য না থাকেন তাহলে আপনার কোনো কিছুই করতে ইচ্ছে করবে না। তো মানসিক সুস্থ্যতার পাশাপাশি শারীরিক সুস্থ্যতাও জরুরি। তো আপনারা যারা খেলাপ্রেমী মানুষ আছেন তারা নিশ্চয় খেলাধুলার খবর নিয়মিত রাখেন। বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যকার টিটোয়েন্টি ম্যাচ হচ্ছে। ইতোমধ্যে দুটি ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছে। তো প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল। যদিও প্রথম খেলাটা দেখা হয়নি। আজকে আলোচনা করবো দ্বিতীয় ম্যাচ নিয়ে। বর্তমানে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি টিমের অধিনায়ক করা হয়েছে লিটন দাসকে। প্রথম ম্যাচে আশানুরূপ রেজাল্ট করতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য বাচাঁ মরার লড়াই বলতে গেলে। কারণ জিততে পারলে সিরিজ জয়ের একটা সম্ভাবনা থাকবে।
টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। আগের ম্যাচেও বাংলাদেশ আগে ব্যাটিং করে টার্গেট দিয়েছিল। আগে ব্যাটিং করে ভালো একটা স্কোর না করলে আবারো হেরে যাওয়ার একটা শঙ্কা থেকেই ছিল। তো টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে তানজিদ তামিম ও ইমন। শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম ওভারেই বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যেতে হয় ইমনকে। তারপরে ব্যাটিং করতে আসে ক্যাপ্টেন লিটন দাস। লিটন দাস নামার পরে তানজিদ তামিমও আউট হয়ে যায়। ৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তখন বিপর্যয়ে। তারপর মাঠে আসে তৌহিদ হৃদয়। তৌহিদ হৃদয় নামার পরে লিটন দাসকে নিয়ে দারুণ ছন্দে ব্যাটিং করতে থাকে দুজন। একের পর এক বাউন্ডারি মেরে বোলারদের চাপে রাখার চেষ্টা করে দুজন। যেভাবে দুজন ব্যাটিং করছিল আমি ধরে নিয়েছিলাম হয়তো স্কোরটা ২০০ এর কাছাকাছি যেতে পারে।
বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ যখন ৭৬ রান তখন বিনুরার স্লোয়ার বলে থার্ড মিডে দাঁড়িয়ে থাকা প্লেয়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয় হৃদয়! আউট হওয়ার আগে ব্যক্তিগত ৩১ রান সংগ্রহ করেছিল হৃদয়। তারপর মাঠে আসে মিরাজ! কিন্তু মিরাজ এসে মাত্র ১ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। তারপর মাঠে আসে শামীম পাঠোয়ারী। আমার মনে হয় বাংলাদেশের বর্তমানে ওয়েল ফিনিশার শামীম পাঠোয়ারী। আগের ম্যাচেও কম বলে বেশি রান করেছিল শেষের দিকে নেমে। নির্বচকরা হয়তো ফিনিশার হিসেবেই তাকে দলে ভিড়িয়েছে। তার পাশাপাশি জাকের আলীও ভালো একজন ফিনিশার। শামীম নামার পরে লিটন দারুণ ছন্দে ব্যাটিং করতে থাকে। এদিকে শামীমও দারুণ ছন্দে লিটনের সঙ্গে ব্যাটিং করতে থাকে। তবে লিটনের সংগ্রহ যখন ৭৬ রান তখন সে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তবে লিটনের ব্যাটিং দেখার মতো ছিল সেদিন।
শেষের দিকে শামীমের ৪৮ রানের চমৎকার ইনিংসের সুবাধে বাংলাদেশ ২০ ওভার শেষ ১৭৭ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়। তো এটা মোটামোটি ভালোই টোটাল বলা যায়। যদিও শ্রীলংকার মাটিতে খেলা হচ্ছিল! আলাদাভাবে একটু সুবিধা তো তারা পাবেই! তো ব্যাটিং করতে নামে নিসাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস! দুইজনেই ফর্মের তুঙ্গে রয়েছে বলা যায়! তাদের দুজনকে যত তাড়াতাড়ি আউট করা যায় ততই ভালো বাংলাদেশের জন্য! তো দ্বিতীয় ওভারেই দারুণ এক্ ফিল্ডিং করে কুশল মেন্ডিসকে রান আউট করে শামীম! তারপর মাঠে আসে কুশল পেরেরা। ডেঞ্জারাস একজন ব্যাটার! যতক্ষণ মাঠে থাকে ততক্ষণই রান আসতে থাকে। তবে শরীফুল ইসলামের বলে শূন্য রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। তারপর মাঠে আসে আবিস্কা। রাইট হ্যান্ডেড এ ব্যাটারের ব্যাটিং স্টাইল যথেষ্ট ভালো। তো আবিস্কা ফার্নেন্দু মাত্র দুই রান করে শরীফুলের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে।
তারপর মাঠে আসে আসালাঙ্কা! কিন্তু আসালাঙ্কা ও নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি। দলীয় সংগ্রহ যখন ৫ রান তখন আসালাঙ্কা আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর নিসাঙ্কা চেষ্টা করে খেলাটাকে চালিয়ে নেয়ার কিন্তু তার ইনিংসটাও বড় করতে পারেনি। তবে বাংলাদেশেরে বেলারদের কৃতিত্ব দিতে হয়। চমৎকার ইকোনোমিতে বোলিং করেছিল মোস্তাফিজ ও শরীফুল। পাশপাশি রিশাদ হাসান ও দারুণ বোলিং করেছিল। বাংলাদেশের বোলিং ভালো হওয়ার কারণে শ্রীলংকার ইনিংস ১০০ রান হওয়ার আগেই গুটিয়ে যায়। ৯৪ রানে অলআউট হয় শ্রীলংকার টিম! তো এরই মাধ্যমে সিরিজে ১-১ এ সমতায় আসে। পরের ম্যাচটি যারা জিতবে তারাই সিরিজ জিতে যাবে!
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Twitter share
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.