রাজস্থান রয়েলসের দারুণ জয়!
29-04-2025
১৬ বৈশাখ , ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে চলে এলাম আপনাদের সাথে খেলা নিয়ে আলোচনা করার জন্য। আপনারা জানেন যে আমি মাঝে মাঝে খেলা নিয়ে আলোচনা করে থাকি। আপনারা হয়তো জানেন যে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আইপিএল চলমান রয়েছে। আইপিএলের অনেকগুলো ম্যাচ ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে। তো আজকে চলে আসলাম রাজস্থান রয়েলস ও গুজরাট টাইটান্সের মধ্যকার ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করার জন্য। তো টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান রয়েলস। এবারের আইপিএলে ভালোই রান হচ্ছে সবকটি ম্যাচ। তো শুরুতেই ব্যাটিং করতে আসে সুধারসন ও শুভমান গিল। শুভমান গিল গুজরাট টাইটান্সের ক্যাপ্টেন। তার ক্যাপ্টেন্সিতে ভালোই করছে গুজরাট টাইটান্স।
তো শুরুতেই সুধারসন ও গিল দেখেশুনে ব্যাটিং করতে থাকে। একের পর এক বাউন্ডারি মেরে চাপে রাখার চেষ্টা করে রাজস্থান রয়েলস এর ব্যাটার। পাওয়ারপ্লেতে কোনো উইকেট পরেনি। সেটা একটা প্লাস পয়েন্ট বলা যেতে পারে। কারণ পাওয়ারপ্লেতে উইকেট না পরলে বড় একটা স্কোর দাড় কারনোর সম্ভাবনা তৈরি হয়। তো শুভমান গিল ও সুধারসন দারুণ ছন্দে ব্যাটিং করতে থাকে। একের পর এক বাউন্ডারি মেরে ভালো একটা স্কোর দাড় করায় স্কোরবোর্ডে। তবে গুরাটের দলীয় সংগ্রহ যখন ৯৩ রান তখন সুধারসন থিকসানার বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে আসে জস বাটলার। জস বাটলার একজন রাইট হ্যান্ডেড হার্ড হিটার ব্যাটার। বাটলার নামার পর শুভমান গিল অর্ধশত করে ফেলে। অর্ধশত করার পর সে আরও ভালো ব্যাট করতে থাকে। যেভাবে রান যাচ্ছিল মনে হচ্ছিল ২৫০+ ক্রস করবে। তবে গুজরাটের দলীয় সংগ্রহ যখন ১৬৭ রান তখন শুভমান গিল ব্যক্তিগত ৮৪ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে আসে ওয়াশিংটন সুন্দর। তো ওয়াশিংটন সুন্দর নামার পর ব্যাটিং তান্ডব শুরু করে জস বাটলার। শেষ অবধি জস বাটলারের ব্যক্তিগত ৫০ রানের সুবাধে ২০৯ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয় গুজরাট টাইটান্স!
তো দেখার বিষয় ছিল রাজস্থান রয়েলস কেমন ব্যাটিং করে। ২০ ওভারে ২০৯ রান চেইস করা সহজই বলা যেতে পারে। কারণ আগের অনেকগুলো ম্যাচে ২০০ রানের উপরে করেও জিততে পারেনি এমনও হয়েছে। তবে বোলিং ভালো করলে আবার জেতার সম্ভাবনা থাকে। দেখার বিষয় ছিল রাজস্থান রয়েলস এর ব্যাটাররা কেমন ব্যাট করে। তো শুরুতেই ব্যাট করতে নামে জাইসওয়াল ও সুরিয়াভানসি। তো জাইসওয়ালের ব্যাটিং দেখা হয়েছে কিন্তু সুরিয়াভানসির ব্যাটিং দেখা হয়নি। ইয়াং লেফট হ্যান্ডেড এ ব্যাটার নতুন জয়েন দিয়েছে টিমে। তো দেখার বিষয় ছিল কেমন ব্যাটিং করে। শুরু থেকেই ব্যাটিং তান্ডব শুরি করে দেয় জাইসওয়াল ও সুরিয়াভানসি। তবে খুব ভালো লাগছিল সুরিয়াভানসির ব্যাটিং করে। ইয়াং এ ব্যাটারের হাতে যথেষ্ট স্ট্রোক রয়েছে! একের পর এক বাউন্ডারি ও ছক্কা মেরে গুজরাট টাইটান্সের বোলারদের বলতে গেলে নাস্তানাবুদ করে ফেলে।
ওভার প্রতি রান রেট আসতেছিল ১৩ এর উপরে করে! খেলা দেখে মনে হচ্ছিল ২০ ওভার লাগবে না। তার আগেই রাজস্থান রয়েলস এর হাতে খেলা চলে আসবে। আর সে কাজটাই করলো ওপেনিং জুটি! সুরিয়াভানসি ৩৭ বলেই ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি করে বসে! এতো অল্প বয়সে একটা চমক দেখাল। পরবর্তীতে আমার মনে হয় ভারতীয় টিমে খেলার সুযোগ পাবে। তো রাজস্থান রয়েলস এর দলীয় সংগ্রহ যখন ১৬৬ রান তখন সুরিয়াভানসি আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। আর তখন খেলা বলতে গেলে জয়ের দ্বারপ্রান্তে। শেষ অবধি রায়ান পরাগের ব্যক্তিগত ৩২ রান ও জাইসওয়ালের ৭০ রানের সুবাধে ১৬ ওভারের আগেই খেলা জিতে যায় রাজস্থান রয়েলস! প্লেয়ার অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হয় সুরিয়াভানসি!
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গুজরাট টাইটান্সের ইনিংসটা ছিল একদম দারুণ। শুরুতে শুভমান গিল আর সুধারসন খুব বুঝে-শুনে ব্যাটিং করে। পাওয়ারপ্লেতে কোনো উইকেট না হারানোয় একটা ভালো শুরু পাওয়া যায়, যেটা বড় স্কোর গড়ার জন্য খুব দরকার।সুধারসন আউট হলেও গিল নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করে এবং দলের রান বাড়াতে থাকেন। পরে যখন জস বাটলার মাঠে নামে, তখন ম্যাচের রং একদম পাল্টে যায়। বাটলার একের পর এক শট মেরে দলকে দ্রুত রান এনে দেয়। শেষ দিকে ওয়াশিংটন সুন্দরও ভালো সাপোর্ট দেয়।
@haideremtiaz, (https://pussteem.com/)-এ $PUSS ডিপোজিট না করলে কিন্তু এখন থেকে পোস্টে ভোট পড়বে না। না বুঝতে পারলে টিকিট কেটে মডারেটর দের কাছ থেকে হেল্প নিন।
জি দাদা। আমি একাউন্ট করেছি এখনো ডিপোজিট করা হয়নি!