শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচেই হতাশাজনক পরাজয়।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে আবারও হতাশা আর ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। ২ জুলাই ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশ দল এমন একটি পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে যা ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে সত্যিই লজ্জাজনক। ২৪৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পুরো দল মাত্র ১৬৭ রানেই অল আউট হয়ে যায়। এ পরাজয় শুধু স্কোরবোর্ডের হিসাবে নয়, মানসিকভাবেও বাংলাদেশি সমর্থকদের জন্য ছিল এক কঠিন আঘাত।
শুরু থেকেই বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং ছিল অস্থির। শুরুতে ওপেনারগন মোটামুটি কিছু রান করেছিল। তানজিদ হাসান ৬১ বলে ৬২ রান তুলে। দলের উপর চাপ তৈরি হয় প্রথম থেকেই। মিডল অর্ডারও সেই চাপ সামলাতে পারেনি। লিটন দাস, হৃদয়, মেহেদি হাসান জাতীয় দলের এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানরাও নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ হন।
এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল যে, হয়তো জাকের আলী ও তানজিম হাসান শেষের দিকে লড়াই করার চেষ্টা করবেন, কিন্তু সেই আশাও ভেস্তে যায়। জাকের আলী ৬৪ বলে ৫১ রান করলেও তাকে কেউ সঙ্গ দিতে পারে নি। সব শেষে ১৬৭ রানেই যখন শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস, তখন হতাশা আর ক্ষোভ দুটোই যেন চরমে পৌঁছে।
অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কা দল যথেষ্ট গোছানো ক্রিকেট খেলেছে। তারা প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ২৪৪ রান তোলে, যা খুব বড় টার্গেট ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশের বোলাররা কয়েকটি ভালো মুহূর্ত তৈরি করতে পারলেও নিয়মিত উইকেট তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। শ্রীলঙ্কার মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ধৈর্য্য ধরে খেলে দলের স্কোর ২৪৪-এ পৌঁছে দেন। তাদের প্রথম ৬০ রানেই চার উইকেট পড়ে গিয়েছিল। তবে আসালঙ্কা খেলাটা ধরে খেলেছে। সে ১২৩ বলে ১০৬ রান তুলে। তাকে সঙ্গ দেয় জ্যানিথ, মিলান ও হাসারাঙ্গা।
শ্রীলঙ্কার বোলারদের প্রশংসা করতেই হয়, বিশেষ করে যারা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল, হাসারাঙ্গা ও মেন্ডিস দু'জনই সাত উইকেট পায়।
ক্রিকেট বিশ্লেষক ও দর্শকদের মধ্যে এই হার নিয়ে প্রচণ্ড সমালোচনা শুরু হয়েছে। কেউ বলছেন, দলের ব্যাটিং লাইন আপ দুর্বল, আবার কেউ দোষ দিচ্ছেন টিম ম্যানেজমেন্ট ও কোচিং স্টাফদের। অনেকেই মনে করছেন, খেলোয়াড়দের মধ্যে ত্যাগ ও লড়াই করার মানসিকতার অভাব রয়েছে। পুরনো ভুলগুলো বারবার করে চলা এবং একই ধরনের পরাজয় দেখলে সমর্থকদের হতাশ হওয়াটাই স্বাভাবিক।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই অবস্থা কেন? প্রশ্ন অনেক। উত্তর খুঁজে বের করাটা জরুরি। নতুন ট্যালেন্ট তুলে আনা, পুরনোদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে সুযোগ দেয়া, ফিটনেস ও মেন্টাল স্ট্রেন্থের দিকে নজর দেয়া সব কিছুরই প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা না থাকলে জয় আসবে না, সমালোচনা এড়ানো যাবে না।
সামনে আরও অনেক খেলা রয়েছে, তাই এই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে দলকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। দর্শকরা সবসময় বাংলাদেশের পাশে রয়েছে, কিন্তু দলের কাছ থেকেও প্রত্যাশা থাকে সম্মানের লড়াই করার। দেশের জার্সি পরে নামা মানেই শুধু খেলা নয়, লাখো কোটি মানুষের আশা-ভরসার প্রতিনিধিত্ব করা। আশা করি, বাংলাদেশ দল এই কঠিন সময় থেকে বেরিয়ে এসে আবারও জয় তুলে নেবে।
ব্লগার: @joniprins
কমিউনিটি: আমার বাংলা ব্লগ
তারিখ: ০৩ জুলাই ২০২৫
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
https://x.com/RamimHa74448648/status/1940714240010342749?t=qw844x5kOnEIn4JxIOphDw&s=19
https://x.com/RamimHa74448648/status/1940714872154870250?t=4kDHcMH9o4_1H9Qa_syPuA&s=19
কালকের ম্যাচে দেখে আমি নিজেও হতাশ হয়ে গেলাম। বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকার এই ম্যাচ সত্যি শ্রীলংকার বোলারদেরকে প্রশংসা দিতে হবে। আর আপনার মত আমি নিজেও মনে করলাম জাকের আলী এবং তানজিব সাকিব ঘুরে দাঁড়াবে। আর জাকের আলী ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতে পারল না লাস্টের দিকে। আর এরকম খেলা দেখলে নিজের কাছেও খারাপ লাগে।
বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকার প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটি আমি বেশ সুন্দর উপভোগ করছিলাম।তবে শ্রীলংকা যেটুকু রান টার্গেট দিয়েছে এটা কিন্তু বাংলাদেশের জন্য সম্ভব ছিলো।প্রথমে তাদের পার্টনারশিপ ভালোই ছিলো।কিন্তু পর পর পাঁচ ছয়টি উইকেট হারিয়ে যাওয়ার পরেই পুরো ম্যাচটি তারা হারিয়ে ফেলে।যাইহোক বাংলাদেশের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।