মাত্র কয়েকটি দক্ষতা, তৈরি পোশাক শিল্পে আপনার ক্যারিয়ার হবে সমৃদ্ধশালী!!
বাংলাদেশ বিশ্বের জনবহুল দেশের মধ্যে অষ্টম আর এই বিশাল জনসমষ্টিকে কাজে লাগিয়ে আমরা অর্জন করেছি বিশ্বের পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থান। তৈরি পোশাকশিল্প খাতের বিপুল সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে অনেকেই তাই এই খাতে পেশা গড়তে চান। সে জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন, কোন বিষয়ে পড়বেন, কী কী ধরনের সুযোগ আছে । আসুন জেনে নেই পোশাকশিল্পে দক্ষ ক্যারিয়ার গড়ার জন্য কি কি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে।
- মানসম্মত শিক্ষা ও কারিগরি প্রশিক্ষণ:
• তরুণদের জন্য পোশাক শিল্প সম্পর্কিত কারিগরি শিক্ষা এবং মাল্টিডিসিপ্লিনারি প্রশিক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। তাদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান, উৎপাদন প্রক্রিয়ার দক্ষতা, এবং ডিজাইন ও ফ্যাশন সম্পর্কিত ধারণা দিতে বিশেষায়িত কোর্স এবং টেকনিক্যাল ট্রেনিং কেন্দ্রগুলো তৈরি করা প্রয়োজন। - প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ও ইন্টার্নশিপ:
• তরুণদের জন্য শিল্পের সাথে সংযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ও ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে তারা সরাসরি শিল্পের বাস্তব পরিস্থিতি এবং কাজের ধরণ সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবে। বিদেশি মডেলের মতো ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম চালু করলে তারা বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে। - টেকনোলজি ও অটোমেশন দক্ষতা:
• পোশাক শিল্পে আধুনিক প্রযুক্তি ও অটোমেশন এর ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। তরুণদের মধ্যে ডিজিটাল দক্ষতা, CAD (Computer-Aided Design), এবং অটোমেটেড মেশিনের ব্যবহার সম্পর্কে দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন, যাতে তারা উৎপাদনশীলতা ও গুণগত মানে অবদান রাখতে পারে। - ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা:
• আন্তর্জাতিক ক্রেতা ও সংস্থার সাথে যোগাযোগ করতে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তরুণদের ইংরেজি ভাষায় যোগাযোগ ও লেখালেখির দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন, যাতে তারা বৈশ্বিক বাণিজ্য ও ম্যানেজমেন্ট কার্যক্রমে দক্ষ হতে পারে। - ম্যানেজমেন্ট ও নেতৃত্বগুণ:
• প্রশাসনিক দক্ষতা, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা, এবং নেতৃত্বের গুণ তৈরি করতে তরুণদের বিশেষায়িত ম্যানেজমেন্ট কোর্স ও ওয়ার্কশপ প্রয়োজন। এটি তাদেরকে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য প্রস্তুত করবে এবং তাদের ব্যবসার জন্য উপযুক্ত নেতৃত্ব প্রদান করতে সাহায্য করবে। - উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতা:
• তরুণদের মধ্যে উদ্ভাবনী চিন্তাধারা এবং সৃজনশীলতা বিকাশ করতে হবে। তাদেরকে বৈশ্বিক ফ্যাশন ট্রেন্ড ও নতুন ডিজাইন সম্পর্কে জ্ঞান প্রদান করতে হবে, যা তাদেরকে নতুনত্ব আনতে এবং আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে প্রতিযোগিতায় সাহায্য করবে। - বিশ্ববাজারের জ্ঞান:
• পোশাক শিল্পের আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা, মান এবং প্রতিযোগিতার বিষয়ে সচেতনতা থাকা জরুরি। তরুণদের বৈশ্বিক ব্যবসা কৌশল, রপ্তানি নিয়মনীতি এবং বাজার গবেষণা সংক্রান্ত জ্ঞান দেওয়া প্রয়োজন, যাতে তারা বৈশ্বিক স্তরে কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে। - সফট স্কিল উন্নয়ন:
• পোশাক শিল্পে কার্যকরভাবে কাজ করতে হলে সফট স্কিল যেমন যোগাযোগ দক্ষতা, দলগত কাজ, সময় ব্যবস্থাপনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসব স্কিল উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত। - অনলাইন শিক্ষার সুযোগ:
• তরুণদের জন্য অনলাইন শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা প্রয়োজন, যেখানে তারা গ্লোবাল ট্রেন্ড, নতুন টেকনোলজি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।
লেখক: আবদুল আজিজ