Global Warming Prevention Project :Planting trees saves the world.steemCreated with Sketch.

in Steem Bangladesh5 years ago (edited)

আসসালামু আলাইকুম।
আশা করি সবাই ভালো আছেন।

আমাদের জন্য এতো সুন্দর প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য প্রথমে ধন্যবাদ জানাই @ rex-Sumon ভাইকে।

আজ আমি আপনাদেরকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং কি,এর কারন, ক্ষতিকারক দিক ও কিভাবে মুক্তি পাওয়া সম্ভব তা সম্পর্কে বলার চেষ্টা করব।

গ্লোবাল ওয়ামিং কি?

পৃথিবীতে দিন দিন বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। বিগত ১০০ বৎসরে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে বিজ্ঞানীরা তা প্রমান করেছে। সারা পৃথিবীতে এই উষ্ণতা বৃদ্ধিকেই গ্লোবাল ওয়ামিং বলা হয়।

গ্লোবাল ওয়ামিং এর কারন

১. আমরা বন উজার করে গাছ পালা কেটে ফেলছি আর এই গাছ কমে যাওয়ার কারনে কার্বন ডাই অক্সাইড শুষে নেওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে।

২. আমরা আমাদের জীবনে যে সব রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করছি তা বায়ুমণ্ডলের জন্য অতি ক্ষতিকর। আমরা আমাদের কৃষিকাজে রাসায়নিক সারের ব্যবহার দিন দিন বাড়িয়ে তুলেছি এটি আমাদের বায়ুমণ্ডলে ভয়ানক ক্ষতি ডেকে আনছে।

৩. কলকারখানা ও যানবাহনের বিষাক্ত কালো ধোঁয়া, ট্যানারি কারখানার বর্জ্য পদার্থ ইত্যাদি থেকে নাইট্রোজেন অক্সাইড, সালফারের কণা আমাদের বায়ুমণ্ডলে মিশে যাচ্ছে।আর এই কারনে বিশ্ব উষ্ণয়ন বেরে যাচ্ছে।

ক্ষতিকর দিক

গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কারনে মেরু অঞ্চলের তাপমাত্রা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে হিমশৈলসহ সুমেরু কুমেরুতে জমে থাকা সমস্ত বরফ গলে গিয়ে তা জলে পরিনত হচ্ছে। এতে সমুদ্রের জলের উচ্চতা পাচ্ছে। একেইভাবে যদি বরফ গলতে থাকে তাহলে পৃথিবীর উপকূল এলাকার অনেক অংশ সমুদ্রের নিচে তলিয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে যেমন ভারত, বাংলাদেশ ও অন্য অনেক জায়গা সমুদ্রতলে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রতিনিয়তই এই তাপমাত্রা বাড়ার ফলে বায়ুমণ্ডলের ওজন স্তরে গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। আর ওজন স্তর ভেঙে গেলে সূর্য হতে অতি বেগুনী রশ্মি পৃথিবীতে চলে আসবে। এতে পৃথিবীর সমস্ত প্রানী বিভিন্ন রকমের সমস্যার সামনে পরবে।

বিভিন্ন রোগ জীবানুর প্রকোপ বাড়বে। বিভিন্ন নতুন রোগ দেখা দেবে।

আবহাওয়ার এই পরিবর্তন ঘটলে ফসল কমে যাবে। কৃষিক্ষেত্র ধ্বস নামবে।

সমগ্র পৃথিবীতে দেখা দিবে বন্যা ও খরা। দেখা দিবে খাদ্যের অভাব। প্রতিদিন নতুন নতুন সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।

কিভাবে মুক্তি পাওয়া সম্ভব গ্লোবাল ওয়ামিং থেকে?

গ্লোবাল ওয়ামিং এর এক মাত্র মহা প্রতিষেধক হচ্ছে গাছ লাগানো। বনায়ন গড়ে তোলা। অপ্রয়োজন গাছ নিধন না করে বনায়ন গড়ে তোলা।
একটি গাছ কাটলে আরো ১০ টি চারাগাছ লাগানো।প্রতিবছর কিছুপরিমাণ গাছ লাগানো। গাছ আমাদের বাঁচাতে পারে এই ভয়াবহ ক্ষতির হাত থেকে। কারন গাছ কারবন ডাই অক্সাইড শোষন করে নেয়। বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। গাছ লাগানো ছাড়া আমরা কিছুতেই গ্লোবাল ওয়ামিং থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে পারবোনা। আর আমাদের রাসায়নিক দ্রব্যাদির ব্যবহার কমাতে হবে।
গাছ আমাদের পরম বন্ধু।

আসুন গাছ লাগাই পৃথিবী বাচাই

আজ আমি একটি নিম গাছ রোপন করেছি। সকল গাছেই আমাদের পরিবেশের জন্য উপকারী। তবে আমি নিম গাছটি বেছে নিয়েছি।

20200918_234945.jpg

১ম ধাপ: গাছটি লাগানোর জন্য আমি আমার বাসার কিছুটা সামনে একটি জায়গা নির্বাচন করেছি।

20200918_235000.jpg
২য় ধাপ : আমি গাছটি লাগানোর জন্য গর্ত করেছি।

20200918_234536.jpg

৩য় ধাপ: গাছটি লাগিয়েছি।

20200918_234523.jpg

৪ র্থ ধাপ: আমি গাছটি রোপন করা শেষ করেছি।

নিম গাছের গুনাগুন আর কি করবো। এরতো গুনাগুনের কোন শেষ নেই।

নিমের পাতা থেকে ডাল,ডাল থেকে ছাল, ছাল থেকে মূল সবাই উপকারী।

বিজ্ঞানীরা বলেছেন নিমের হাওয়া আমাদের পরিবেশন ও সাস্থের জন্য অনেক উপকারী।

নিম গাছের কিছু উপকারিতা

১. নীম গাছের ডাল থেকে দাঁত মাজলে দাঁত বিভিন্ন জীবানুর হাত থেকে সুরক্ষিতা থাকে।
২. নিমের পাতা বেটে বা শুকিয়ে প্রতিদিন খেলে শরীরের এলার্জি সমস্যা দূর হয়। যেকোনো চামরার সমস্যার জন্য নিম পাতার প্রলেপ অনেক উপকারী।
৩. নিমের বাকল শুকিয়ে তা পানিতে ভিজিয়ে খেলে পেটের সমস্যা বদ হজম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

নিম গাছের রয়েছে এমন হাজার গুনাগুন।

পরিশেষে এটাই বলতে চাই, আসুন আমরা সবাই মিলে গাছে লাগাই, আমাদের পৃথিবীকে রক্ষা করি।
যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি সুন্দর পৃথিবীর অক্সিজেন গ্রহন করতে পারে।

ধন্যবাদ সবাইকে।