"হিসাব"
প্রিয়,
পাঠকগণ,
কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালো আছেন।
আজ আমি আমার লেখা একটা কবিতা শেয়ার করছি। আসলে কবিতার মাধ্যমে এমন অনেক অনুভূতি প্রকাশ করা যায়, যেগুলো বলে বোঝানো অনেক সময় সম্ভব হয় না, আবার অনেক সময় যার উদেশ্যে লেখা হয় সে হয়তো বুঝতেই পারে না। আবার কখনো কবিতা আমরা কল্পনার উপর ভর করেও লিখে থাকি। সবার জীবনে চলার রাস্তা যেমন সমান হয় না, তেমনি সবার জীবনকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গিও ভিন্ন হয়।
আমি সাধারনত আমার খারাপ লাগা, কষ্ট গুলো নিয়ে কবিতা লিখি কারণ আমার মনে হয় খারাপ লাগা গুলো শেয়ার করার মানুষের বড্ড অভাব, অন্যের জায়গায় দাঁড়িয়ে তার কষ্ট গুলো বোঝা বোধহয় আমাদের কারোর পক্ষে সম্ভব নয়। তাই খারাপ লাগা গুলো না হয় একান্ত নিজেরই থাক। আনন্দ গুলোই আমরা ভাগ করে নিই।এই কবিতা লেখার প্রচেষ্টা জানিনা আপনাদের কেমন লাগবে।আপনাদের উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।
"হিসাব"
সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত্রি নেমেছে সবে,
এখনো থেমে যায়নি কাঁচা রোদের আনাগোনা।
চন্দ্রালোকে এখনও দূর হয়নি পৃথিবীর বুকে জমে থাকা একরাশ বিষাদময় অন্ধকার।
তার মানে চলছে লাল,নীল,আবিরের খেলা।
দেখে মনে হয় যেন শুরু হয়েছে,
দোলপূর্নিমার রং উৎসব মেলা।
এমন দিনেও সূর্যোদয় হয় না জীবন অরণ্যে,
যেখানে ঢাকা পড়ে থাকে মনের সমস্ত চাওয়া।
হটাৎ পড়া কোনো কবিতার লাইন মনে পড়ে যায়,
মনে পরে,কোনো লেখকের একছত্র লেখনীর টান।
যা ব্যর্থ করে দেয় জীবনের সব চাওয়া পাওয়া।
বুঝতে পারি এক গভীর সমুদ্রে আশ্রয় নিয়েছি, যার তল খুঁজে পাওয়া আমার সাধ্য নয়।
নিরুপায় হয়ে লিখতে বসি,একাকিত্ব ঘোচাবার জন্য,
নিজেকে একবার ভালোভাবে বিশ্লেষণ করার জন্য।
হিসাবের খাতায় কিছু সঞ্চিত আছে কিনা,
কিংবা কিছু বাকি পড়ে আছে কিনা,....
উপেক্ষা আর অভিমানের প্রতিশব্দ খুঁজতে থাকি,
জানিনা তার আসল মানে ভালোবাসা কিনা।
জানিনা যা আঁকড়ে ধরে আছি একান্তই নিজের বলে, তার কতটা পাওয়ার যোগ্যতা আমার অর্জিত।
আজ হিসাব মেলাতে এসে দেখি কেবল শূন্যতা,
কেবলই না পাওয়ার আর্তনাদ চারিদিকে।
তার মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু পাওয়ার জন্য-
কোনো গর্ব নেই আমার,
এক নিমেষেই নিজেকে ঠেলে দিতে পারি,
একাকীত্বের আঙিনায়।
কিন্তু এই নিরুপায় ভঙ্গিমা সইতে পারি না আর।
চাওয়া যদি আমার সীমা ছাড়িয়ে যায়-
আমাকে ক্ষমা করো,
যদি মনে প্রাণে হও অন্যকারো, হয়তো তখন হিসাব মিলতেও পারে।
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। শুভরাত্রি।
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER: