সম্ভাবনাময় নতুন পর্যটন স্থান কক্সবাজারের নাজিরারটেক
আসসালামু আলাইকুম
আবারো নতুন একটি লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি।আশা করি সবাই ভাল আছেন সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো।
আমরা যারা শুটকি খেতে ভালবাসি আমরা কি জানি বাংলাদেশের সবচাইতে বেশি শুটকি উৎপাদন স্থান কোথায়।
বাংলাদেশের অধিকাংশ শুটকি উৎপাদিত হয় কক্সবাজার জেলার মধ্যে। কক্সবাজার জেলায় বেশ কয়েকটি দ্বীপ রয়েছে সেখানে প্রচুর পরিমাণে শুটকি উৎপাদিত হয়। এরমধ্যে মহেশখালী কুতুবদিয়া সোনাদিয়া দ্বীপ অন্যতম। সাধারণত আপনারা দ্বীপ এলাকাগুলোতে গিয়ে শুটকি আরত পরিদর্শন করার মত সুযোগ পাবেন না। এই দ্বীপগুলো ছাড়াও আরো একটি স্থান হয়েছে যেখানে প্রচুর পরিমাণে শুটকি উৎপাদিত হয়। এবং কক্সবাজারে যে পর্যটকরা ভ্রমণে আসে তারা চাইলেই এই স্থানে গিয়ে ভ্রমণ করে আসতে পারে এবং সেই সাথে তাদের পছন্দমত শুটকি অল্প দামে অল্প দামে কিনতে পারে অল্প দামে কিনে আনতে পারে।
কক্সবাজারে যারা একই স্থানে বারবার গিয়ে বোরিং হয়ে যাচ্ছেন কিংবা নতুন স্থান খুঁজছেন তাদের জন্য নাজিরারটেক হতে পারে একটি আদর্শ স্থান। বাখালী নদীর তীর রে বড় বড় যেই নৌকাগুলো আছে প্রত্যেকটাই এই এলাকাতে এসে যে শুটকি বিক্রি করা হয় সেই শুটকি গুলো এখানে সংরক্ষণ করা হয়। এবং আপনারা চাইলেই কক্সবাজার সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে মাত্র ৫০ টাকা লোকাল ভাড়া খরচ করে চলে যেতে পারেন এই এলাকায়। তবে আপনাদের জন্য সবচাইতে ভালো হবে যদি আপনারা শীতকালে আসেন। কারণ শীতকালেই প্রচুর পরিমাণে শুটকি প্রসেস করা হয় এই সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে রোদ থাকে। বর্ষাকালে যদি আপনারা কেউ আসেন তাহলে কিন্তু শুটকি প্রসেস করার স্থানে গিয়ে কোন লাভ নেই। কারণ এই সময়ে সেখানে গেলে আপনারা কোন কিছুই উপভোগ করতে পারবেন না। যেহেতু বর্ষার সময়ে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয় তাই শুটকি সাধারণত কৃত্রিম তাপ দিয়ে অথবা গ্যাস দিয়ে শুকানো হয়।
তাই আপনারা যদি প্রাকৃতিকগতভাবে শুটকি শুকানোর প্রসেস দেখতে চান তাহলে আপনাদেরকে অবশ্যই চলে আসতে হবে শীতকালে। অথবা এমন কোন সময়ে যে সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে রোদ থাকে। আরো একটি সুন্দর তথ্য যারা নিরিবিলি এবং সুন্দর সমুদ্র সৈকত দেখতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এই স্থানটি হতে পারে একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা। কারণ এই জায়গায় প্রচুর পরিমাণে পর্যটক না থাকায় আপনারা সমুদ্রের একদম শান্ত পূর্ণ একটি পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন। এর আরো একটি সুন্দর্য রয়েছে সেটা হল কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রান হয়ে যেটা সমুদ্রের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে তৈরি হয়েছে সেটা কিন্তু এই এলাকাতেই। কিছুক্ষণ সেখানে ঘোরাঘুরি করতে করতে আপনারা হয়তো বা সমুদ্রের পানির সঙ্গে বিমানের ছুঁয়ে যাওয়া ল্যান্ডিং দেখতে পারেন। সব মিলিয়ে বলতে গেলে নাজিরারটেক সমুদ্র সৈকটটি খুবই চমৎকার এবং আদর্শ একটি স্থান। সুযোগ হলে অবশ্যই একবার এই এলাকায় ঘুরে আসতে পারেন।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত লেখাটি পড়ার জন্য। আবারো নতুন একটি লেখা নিয়ে পুনরায় আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ।