বাংলাদেশের দেশীয় পণ্যের শোরুম আড়ং কক্সবাজার শাখায় ভ্রমণের অভিজ্ঞতা
আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আরো একটি নতুন দিনের সূচনা হলো।
সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল।
সম্প্রতি কক্সবাজার ভ্রমণের সময় আমি আড়ং শোরুম পরিদর্শন করার সুযোগ পাই। সমুদ্রের শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই শোরুমটি শুধু একটি কেনাকাটার জায়গাই নয়, বরং এটি যেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও কারুশিল্পের এক জীবন্ত প্রদর্শনী।
শোরুমে প্রবেশ করেই চোখে পড়ে এর নান্দনিক সাজসজ্জা। বাহারি রঙে রাঙানো জামাকাপড়, হস্তশিল্পের পণ্য, গৃহসজ্জার সামগ্রী, গয়না এবং চামড়ার তৈরি ব্যাগ, জুতা — সবকিছুতেই মেলে দেশীয় ঐতিহ্যের ছাপ। স্থানীয় পর্যটক ও বিদেশি ভ্রমণকারীদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি আকর্ষণীয় স্থান। আড়ংয়ের প্রতিটি পণ্যে রয়েছে দক্ষ কারিগরের নিপুণ হাতের ছোঁয়া, যা সাধারণ কোনো শপিং এক্সপেরিয়েন্সের চেয়ে একধাপ ওপরে।
আমি নিজে কয়েকটি হ্যান্ডলুম শাড়ি, হাতে আঁকা পাঞ্জাবি এবং কিছু হস্তশিল্প কিনে নেই। সবচেয়ে ভালো লেগেছে, পণ্যের গায়ে প্রতিটির কারিগরের নাম ও উৎস লেখা ছিল, যা তাদের কাজের স্বীকৃতি ও মর্যাদা দেয়। আড়ংয়ের এই উদ্যোগ বাংলাদেশ গ্রামীন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে হাজারো কারিগরকে স্বনির্ভর করে তুলেছে।
শোরুমটির পরিবেশও বেশ আরামদায়ক ও পরিচ্ছন্ন। কর্মীরা অত্যন্ত সহনশীল ও আন্তরিক; তাদের আন্তরিক সেবায় যে কেউই মুগ্ধ হবেন। পর্যটকদের কথা ভেবে এখানে অনলাইন পেমেন্টসহ বিভিন্ন সুবিধাও রয়েছে।
কক্সবাজারে সাধারণত আমরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বা সি ফুড নিয়েই মুগ্ধ থাকি। কিন্তু এই আড়ং শোরুম ভ্রমণ সেই অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। এটি শুধু কেনাকাটার একটি জায়গা নয়, বরং দেশীয় ঐতিহ্য ও শিল্পকে কাছ থেকে দেখার ও উপলব্ধি করার একটি সুযোগ।
পরিশেষে, কক্সবাজার গেলে শুধু সমুদ্র দেখা নয়, একবার সময় করে আড়ং শোরুম ঘুরে দেখা উচিত। এটি নিঃসন্দেহে আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।
Hi, Greetings, Good to see you Here:)