কক্সবাজারের বার্মিজ আচার সমগ্র দেশ জুড়ে বিখ্যাত।
আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সবাই ভাল আছেন। আবারো কক্সবাজার সম্পর্কে একটি নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে অনেকদিন পরে। সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো।
কক্সবাজারের নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বিশাল সমুদ্রসৈকত আর পর্যটকদের ভিড়। কিন্তু শুধু সমুদ্রই নয়, কক্সবাজারের আরও কিছু বিশেষ খাবার রয়েছে যা দেশজুড়ে জনপ্রিয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো বারমিস আচার। এই আচার শুধু স্বাদেই নয়, ইতিহাস ও ঐতিহ্যেও ভরপুর।
বার্মিজ বা আরাকানি জনগোষ্ঠীর হাত ধরে এ অঞ্চলে আচার তৈরির ধারা শুরু হয়েছিল বহু বছর আগে। তাদের নিজস্ব রেসিপি ও মশলার সংমিশ্রণে তৈরি এই আচার আজ কক্সবাজারের পরিচয়ের অংশ হয়ে গেছে। স্থানীয়রা যেমন এটি নিয়মিত খেয়ে থাকেন, তেমনি পর্যটকরাও কক্সবাজারে গিয়ে এই আচার না কিনে ফেরেন না।
বারমিস আচারের স্বাদ একেবারেই ভিন্ন ধরণের। এতে ব্যবহার করা হয় সরিষার তেল, শুকনা মাছ, ঝাল মরিচ, আদা-রসুন ও নানা ধরণের মশলা। বিশেষ করে শুকনা চিংড়ি বা মাছ দিয়ে বানানো আচারের আলাদা একটা গন্ধ ও স্বাদ থাকে, যা খেতে গেলে ভাত বা খিচুড়ির সাথে অনন্যভাবে মিলে যায়। এছাড়া আম, জলপাই বা অন্যান্য ফল দিয়েও নানা ধরণের বারমিস আচার তৈরি করা হয়।
কক্সবাজার শহরের প্রায় প্রতিটি বাজারেই বারমিস আচারের দোকান চোখে পড়ে। ছোট-বড় বোতলে বা কেজি হিসেবে বিক্রি হয় এই আচার। দামও খুব বেশি নয়, তাই সবাই সহজেই কিনে নিতে পারেন। সবচেয়ে বড় কথা, এর দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করার সুবিধা থাকায় অনেকেই বাড়িতে উপহার হিসেবেও নিয়ে যান।
আজ কক্সবাজারে বারমিস আচার শুধু একটি খাবার নয়, বরং সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। এটি পর্যটকদের কাছে এক বিশেষ আকর্ষণ, যা কক্সবাজার ভ্রমণের স্মৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলে। তাই বলা যায়, সমুদ্রসৈকতের পাশাপাশি বারমিস আচারও কক্সবাজারের আরেকটি সুস্বাদু পরিচয়।
অসংখ্য ধন্যবাদ শেষ পর্যন্তই পড়ার জন্য পুনরায় নতুন কোন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে আবার উপস্থিত হব ইনশাল্লাহ।