রাতের নিরবতা, চিন্তা আর কফির কাপ
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
প্রথমেই আমি বলতে চাই, দীর্ঘ কয়েকটি মাস অতিক্রম করার পর আমি আবারো ফিরে এসেছি আপনাদের মাঝে।
এখানে বেশ কয়েকটি মাস অনুপস্থিত ছিলাম বেশ কিছু কারণ ছিল। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আর্থিক সমস্যা। এছাড়াও আরো বেশ কিছু কারণ রয়েছে যা হয়তোবা ধীরে ধীরে আপনাদের বলবো।
যাই হোক আমি এর আগেও বেশ কয়েকবার ফেরার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু পারি নাই। ইনশাআল্লাহ এবার আশা করি ভালো ভাবে আপনাদের মাঝে রেগুলার থাকতে পারবো মনোবল ও ইচ্ছা শক্তি নিয়েই এসেছি।
ও আচ্ছা, এই ছবিগুলো দেওয়ার কারণ হচ্ছে — বারোটা অব্দি ঘুম আসছিল না প্রচণ্ড গরমে। বেশ কিছু সময় ছাদের উপরেও বসে ছিলাম।
পারিবারিক বেশ কিছু বিষয় এবং নিজেরও কিছু বিষয় নিয়ে ভাবছিলাম ছাদের উপর বসে বসে।
এমন সময় রেজাউল ভাই হোয়াটসঅ্যাপে আমাকে মেসেজ দিলেন:
“জাকারিয়া তুমি কোথায়? Firing এর কন্ট্রোল রুমে আসো, দুজনে বসে কফি খাই।”
যাইতে চাইলাম না এত রাতে। কিন্তু ভাই বেশ কয়েকবার বলল, তাই বললাম,
"তাহলে একটু বাহির হন, তাহলে যাই।"
তিনি বললেন, "আসো, আমি আছি।"
আমি ছাদ থেকে নিচে নেমে রেজাউল ভাইয়ের সাথে কন্ট্রোল রুমে চলে গেলাম।
নাইট শিফটে আসলে আমাদের এখানে শ্রমিক দিয়ে কাজ করায় না।
শুধু ইমারজেন্সি সেকশনগুলো চালু থাকে।
আমি বসে থাকা অবস্থায় সিকিউরিটি গার্ডরা তাদের দায়িত্ব পালন করছিল।
যারা তখন দায়িত্বরত ছিল, তারা রাত বারোটা বাজলে প্রতিটি সেকশনে গিয়ে
কারা কারা নাইট শিফটে কাজ করছে সেই নামগুলো লিখে আনছিল।
এরপর রেজাউল ভাই তাঁর পানির হিটারে পানি গরম করতে দিলেন।
পানি গরম হওয়ার পর আমি আর ভাই দুজনে Green Tea খেলাম।
আমাদের ফ্যাক্টরির ভেতর যা খেতে মন চায়, সবই সহজে পাওয়া যায়।
আমরা যখন যেটা চাই, তখনই ব্যবহার করতে পারি।
কারণ, আমাদের এই ফ্যাক্টরির ভেতরেই কোয়ার্টার।
গেটের বাইরে আমাদের যেতে হয় না।
আমরা চাইলে কোয়ার্টারেও যে কোন আইটেম নিয়ে যেতে পারি।
আল্লাহ যেন আমাদের হালাল রিজিকে বরকত দান করেন। আমিন।
✍️ জাকারিয়া
ওয়েলকাম টু স্টিমিট নতুন ভাবে। আপনাকে প্লাটফর্মে দেখে ভালো লাগলো। আশা করি নতুন ভাবে কাজে মনোযোগ দিবেন ইনশাআল্লাহ
ইনশাল্লাহ অবশ্যই ধারাবাহিক হওয়ার চেষ্টা করতেছি, দোয়া করবেন যেন ধারাবাহিকতার সাথে কাজ করতে পারি।