গল্প: ধুসর পৃথিবী এবং লাইফ কোড (পর্ব -০৪)|| Story: Gray Earth and the Life Code.
সাল: ৮৮৬৬ ইং
সময়: রাত ৬ টা
বন্ধু মিসলেনিয়াস তাকে এ কোথায় নিয়ে এসেছে এই ভেবে চলেছে রবিনসন। তাদের উড়ন্ত যান একটি বড় ফানেলের মত সুড়ঙ্গের মধ্যে গিয়ে চৌম্বকীয় আকর্ষণের মাধ্যমে আটকে গেছে। মিসলেনিয়াস রবিনসনকে গাড়ি থেকে নামিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতেই তাদের শরীরে তীব্র বেগুনি রঙের রশ্মি এসে পরেছে। অদ্ভুত ব্যাপার রবিনসনের গায়ে রশ্মি পরা মাত্র লাল বর্ন ধারন করেছে, তার মানে রবিনসনের শরীরের কোড তাদের সার্ভারের সাথে মিলছে না। সে ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না, রবিনসনের চোখ মুখ হঠাৎ কালো হয়ে গেছে। মিসলেনিয়াস ব্যাপারটা আন্দাজ করে মুচকি হেসে বললো তুই কোন চিন্তা করিস না, ব্যাপারটা আমি দেখছি। মূল দরজার পাশেই একটি স্ক্রিনের মতো রয়েছে, সেখানে মিসলেনিয়াস কি যেন একটা কোড ডায়াল করা মাত্র প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা পোকোনো হাজির হয়েছেন মনিটরে। মিসলেনিয়াস তাকে রবিনসনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং তাকে ভেতরে নেয়ার অনুমতি চায়।
পোকোনো আবারো জিঙ্গেস করেন তুমি ঠিক বলছো তো সে আমাদের জন্য নিরাপদ? মিসলেনিয়াস আবারো আস্বস্ত করলো সে আমার বন্ধু এবং আমাদের সাথে এই নিকৃষ্ট এলিয়েনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চায়। এবার পোকোনো একটি বোতাম টিপে তাদের ভেতরে প্রবেশ করার দুয়ার খুলে দিয়েছে। ভেতরটা পুরোটা আলো ঝলমলে এবং মোটা গ্লাসের তৈরি মনে হলো রবিনসনের কাছে। প্রায় কয়েকশো মানুষ এটার ভেতরে রয়েছে এবং বসবাস করে চলেছে। সবথেকে বড় ব্যাপার একপাশে দাড়ালে পুরো জায়গাটাতে কে কি করছে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে কারন দেয়ালগুলো কাঁচের তৈরি। রবিনসনকে ভেতরে দেখে অনেকেই তার দিকে সন্দেহের চোখে তাকাচ্ছিলো, তাই মিসলেনিয়াস হাত ধরে তাকে বিজ্ঞানী মিসানোর কাছে নিয়ে যাচ্ছে।
মিসানো প্রায় নব্বই উর্ধ একজন বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ, রবিনসনকে দেখা মাত্রই তার হাত ধরে কি যেন উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দেখে নিয়ে তার সাথে হেন্ডসেক করলো। তিনি বলে উঠলেন মিসলেনিয়াস তোমার বন্ধু এখানে এসেছে তার পিতা-মাতার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে। তুমি তার ভালো যত্ন নিও সে হবে আমাদের সবথেকে বড় যোদ্ধা। রবিনসনের মুখ একেবারে হা হয়ে গেছে, সে কি বলবো খুঁজে পাচ্ছেনা। শুধু বললো আপনি কিভাবে আমার সম্পর্কে এতো কিছু জানলেন?
মিসানো কিছু না বলে তার গবেষণায় মনোনিবেশ করলেন। এদিকে মিসলেনিয়াস তাকে তার থাকার ঘরটা দেখিয়ে দিয়েছে। অবাক ব্যাপার এখানে সবাই সবার দিকে যেকোন সময় দেখতে পারে। রবিনসনের ব্যাপারটা প্রথমে ইতস্তত লাগলেও পরক্ষনেই ভালো লাগতে শুরু করেছো। যাইহোক এখন সে তাদের একজন, তাই তাদের সবার সাথে মানিয়ে নিতেই হবে তাকে। প্রোটিন ক্যাপসুলের আকৃতি এখানে বেশ ছোট, এই এতটুকু খেয়েই বাঁচতে হবে এটা বলে দিয়েছে বন্ধু মিসলেনিয়াস। জার্নির ধকলটা তার এখনো যায়নি তাই সে ঘুমিয়ে পরেছে তাড়াতাড়ি। হঠাৎ তীব্র আলোতে তার ঘুম ভেঙ্গেছে। অদ্ভুত রহস্যময় একটা আলো পুরো কাঁচের ঘরগুলোর মধ্যে প্রবেশ করছে। এখানে মূলত কাঁচের তৈরি বিশেষ প্রিজমের সাহায্যে সূর্যের আলো ভেতরে দেয়া হচ্ছে শুধুমাত্র ত্রিশ মিনিটের জন্য। কেমন যেন একটা উষ্ণ গরম অনুভব করলো রবিনসন, এই বুঝি তার জন্য নতুন সূর্যোদয় হলো।
সকাল ছয়টা বাজার সাথে সাথে একটি অদ্ভুত দেখতে বন্দুক আর বিশেষ পোশাক নিয়ে হাজির তার সামনে। সে বললো দ্রুত পোশাক পরে নে আর এই নে তোর বন্দুক। রবিনসন তাড়াতাড়ি বিশেষ পোশাক পরে নিয়েছে এবং নিজেকে বেশ ভারী ভারী অনুভব করছে। এবার বন্দুক হাতে নিয়ে বেশ কষ্ট হচ্ছিল তার কারন এটা ছিল অসম্ভব ভারী একটা জিনিস।
এবার বেশ কষ্ট করে প্রশিক্ষণের জায়গায় পৌছালো রবিনসন। কিন্তু বন্দুক আর চালাতে পারছে না। হঠাৎ তার পিতা-মাতার কথা মনে পরলো , এবার সে সবাইকে অবাক করে দিয়ে একটু বোঝার সাথে সাথেই বিভিন্ন লক্ষবস্তুতে অনায়াসে বিদ্ধ করে চলেছে। মিসানো দূর থেকে সব খেয়াল রাখছে।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR

Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1689346551158841346?t=NdfPc1WVBO3UcTArZCRkhA&s=19
Heres a free vote on behalf of @se-witness.