নামহীন দোকানে মোমোর স্বাদ
নমস্কার বন্ধুরা,
রবীন্দ্র সরোবরের আশেপাশে এমন বহু দোকান আছে যাদের কোন নাম নেই অথচ তারা আশেপাশের মানুষজনের কাছে খুব সুপরিচিত। তার একটাই কারণ, সেসব জায়গায় গুরুত্ব তাদের খাবারের স্বাদে। সরোবরের আশেপাশে যেদিকেই ঘোরাফেরা হোক সবদিকেই রয়েছে এই সব খাবারের দোকান এবং দোকানের সামনের ভিড়। কদিন আগেই সন্ধ্যাবেলায় কাজ কমে আসার জন্য হাঁটতে বেরিয়েছিলাম। হাঁটতে হাঁটতে লেক মার্কেটে দিকটায় পৌঁছাই। যদিও ততক্ষণে ঘেমে স্নান করার মত পরিস্থিতি হয়ে গিয়েছে। সে অবস্থায় আবার ফেরা শুরু করলাম।
হাঁটতে হাঁটতে, একটা ছোট্ট নামহীন দোকান নজরে এলো যার সামনে দুটো ছোট্ট লম্বা টুল পাতা রয়েছে এবং তার সামনে দু তিনজন দাঁড়িয়ে রয়েছে। কি জানি মনে হল আমিও দাঁড়িয়ে পড়লাম। কথাবার্তা এবং দেখে বুঝলাম, সেটা ছিল একটা মোমোর দোকান। অথচ কোন নাম নেই। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই আরও বেশ কয়েকজন মানুষজন সেখানে ভিড় হয়ে গেল, তাদের দেখে বুঝলাম সবাই তারা স্থানীয়। অর্থাৎ খাবার এখানে ভালো হবে সেটাই খুব স্বাভাবিক। ভেজ মোমো থেকে শুরু করে চিকেন মোমো, এমনকি মোমোর লিস্টে রয়েছে আরও কতকগুলো নাম।
চিকেন মোমো অর্ডার করে দাঁড়ালাম। আমার সামনেই আরো সাত আট জন মানুষ অর্ডার করে দাঁড়িয়ে পড়ল। আমার আগে যারা অর্ডার করেছিল তাদের মোমোমগুলো হাতে চলে এলো। সেই মোমো গুলোর চেহারা দেখে বেশ ভালোই লাগছিল। আমিও মিনিট পাঁচেক দাঁড়াতেই পেলাম মোমোর প্লেট। ৮ পিস মাঝারি সাইজের মোমো, সাথে দু ধরনের চাটনি, ঝাল এবং পুদিনা। আর ছিল একটা মাঝারি মাপের বাটিতে সুপ। হাতে প্লেট পেতেই ঝপাং করে ঝাঁপিয়ে একটা মোমো অর্ধেক কামড়ে মুখে নিয়ে এলাম।
একটা... দুটো... তিনটে এমন করতে করতে সব কটা মোমো সাবরে দিলাম। স্বাদ ভালই ছিল তবে মনে হলো আরেকটু চিকেন হলে আরো ভালো হতো। স্যুপ টাও মোটামুটি ছিল। দাম মাত্র ৫৫ টাকা। পরিমাণ, স্বাদ ও দাম অনুযায়ী ৮/১০।
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা
"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা
X-প্রোমশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao $PUSS

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মোমোর স্বাদ সম্পর্কে আপনার বর্ণনা খুবই জীবন্ত! যদি আরও কিছু বিস্তারিত যোগ করতেন—যেমন, এটি মিষ্টি নাকি টক, নরম নাকি কড়কড়ে—তাহলে আমাদের জন্য আরও আকর্ষণীয় হতো।নামহীন দোকানটির পরিবেশ সম্পর্কে একটু লিখলে ভালো হতো। যেমন, দোকানের গন্ধ, সাজসজ্জা বা বিক্রেতার আচরণ—এগুলো পড়ে আমাদের মনে দৃশ্যটি ভেসে উঠতো।