দিদির জন্য চুড়িদার কিনতে

in আমার বাংলা ব্লগlast year

নমস্কার বন্ধুরা,

প্যাচ প্যাচে গরমের মধ্যে কোথাও বেরোতে ইচ্ছে করে না তার ওপরে কেউ যদি জোর করে কাপড় কিনতে পাঠায় তাহলে কেমন লাগে বলুন তো। আমরা ছেলেরা যেখানে শুধুমাত্র বিশেষ অনুষ্ঠান বা পুজো পার্বণ এর সময়েই জামা কাপড় কিনে থাকি সেখানে মহিলাদের জামা কাপড় কেনা সারা বছর ধরে লেগে থাকে। বাড়িতে হাজারো কাপড় থাকুক তবুও রাস্তায় দেখলেই সেখানে দাঁড়িয়ে পড়ার অভ্যাস। সেই ভয়ে আমি মা, পিসি কারো সাথেই বিশেষ একটা বাজার ঘাট করতে যাই না। কারণ তাদের সাথে আমার জামা কাপড় কিনতে গিয়ে তারা শাড়িতে হাত বাড়িয়ে দেন।

PXL_20240528_145854194_copy_1209x907.jpg

PXL_20240528_145906192_copy_907x1209.jpg

থাক সে সব এখন মূল কথায় আসি। আমার এক দিদি দিল্লিতে থাকেন। জানিনা প্রতি দুই তিন মাস অন্তর অন্তর তার কেন জামাকাপড়ের প্রয়োজন পড়ে তবে তিনি মোটামুটি বাড়ির সকলকেই একবার করে ফোন করে জামা কাপড় কিনতে যাওয়ার জন্য রীতিমতো ধমক দেন। আসলে অনুরোধ তার মুখ থেকে খুব একটা আসে না। যা বলেন সবই ধমকের সুরে। তার ধমক খেয়েই আমি গিয়েছিলাম আদি ঢাকেশ্বরী বস্ত্রালয়ে সুতির চুড়িদার পিস কিনতে।

বিগত কয়েক দিনে এমনিতেই কলকাতায় পঞ্চাশ ডিগ্রির মতো অনুভূতি হচ্ছে। আসলে বর্ষার প্রাক্কালটায় ভ্যাপসা গরম প্রচন্ডই হয় এবারও সেরকমই শুরু হয়ে গেছে। যদিও দুদিন আগেই রি-মাল আমাদের ধামাল করে দিয়ে অনেকটা বৃষ্টি উপহার দিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু দু দিনেই সব উধাও হয়ে গরম পড়ে গেল। তারমধ্যে আবার ধমক খেয়ে গেলুম আদি ঢাকেশ্বরী বস্ত্রালয়ে। দিদির আবার অন্যান্য ব্রাঞ্চের জিনিস পছন্দ না, সেসব কিনতে হবে রাসবিহারী এভিনিউ এর মূল দোকান থেকে। যাওয়ার ইচ্ছা যদিও আমার প্রাথমিকভাবে ছিল না কিন্তু অন্য আরেকটা কাজ হাতে নিয়ে চলে গেলাম।

PXL_20240528_145534210_copy_1209x907.jpg

PXL_20240528_145530705_copy_1209x907.jpg

PXL_20240528_144804754_copy_1209x907.jpg

দোকানে পৌঁছে কোনোরকম ঝুঁকি না নিয়ে ভিডিও কলে শুরু হলো কাপড় পছন্দ করার পালা। এর প্যান্ট পছন্দ নয় তো তার চুড়িদারের সামনে পছন্দ নয়। এই করতে করতে প্রায় খান তিরিশেক চুড়িদার পিস দেখে ফেললাম। যিনি আমাকে এসব দেখাচ্ছিলেন তার মুখে রীতিমত বিরক্তি ভাবটা বুঝতে পারছিলাম। খরিদ্দার বলে তিনি প্রকাশ করতে পারছিলেন না। অনেক হম্বিতম্বি করে শেষমেষ চারখানা চুড়িদার পিস পছন্দ হল। দাম সব আকাশছোঁয়া। দাম মেটাতে গিয়ে চক্ষু চরক গাছ। প্রত্যেক পিসের দাম সাড়ে তিন হাজার টাকার উপরে। কোনো ছাড়ও নেই নি। যার জিনিস তাকেই দিলেই অনলাইনে টাকা মিটিয়ে আমিও ঝোলা তুলে বেরিয়ে এলাম। আবার সেই ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল হওয়ার পালা।

PXL_20240528_145746834_copy_1209x907.jpg




IMG_20220926_174120.png

Vote bangla.witness

Or

Set @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

আহারে দাদার কি দুঃখ,মা পিসির সাথে জমা কাপড় কিনতে গেলে তারা শাড়ি কিনতে চায়।মেয়েদের একটু বেশিই লাগে জমা কাপড়।দিদির ধমক খেয়ে চুরিদার কিনতে গেলেন।সেখানে গিয়ে অনেক কাপড় ভিডিও কলে দেখালেন তাকে আপনিও বিরক্ত গরমে দোকানদারও।😁😁
আগামীতে এরকম অনেক বিরক্ত হতে হবে কিন্তু ভাইয়া প্রস্তুতি নিন।😁😁

 last year 

দাদা কি আর বলবো, মেয়ে মানুষেরা শপিং ছাড়া কিছুই বুঝে না। জামাকাপড় দিয়ে ঘর ভরে ফেললেও, তাদের শপিং করা বন্ধ হয় না। যাইহোক আপনার দিদির ধমক খেয়ে তীব্র গরমের মধ্যে ঢাকেশ্বরী বস্ত্রালয়ে সুতির চুড়িদার পিস কিনতে গিয়েছিলেন তাহলে। আমি তো ভাবছি যদি আপনাকে বলা হতো চুড়িদার পছন্দ করে কিনতে, তাহলে কি একটা অবস্থা হতো😂। চুড়িদার পছন্দ না হলে তো আপনার দিদি ধমকের উপরে ধমক দিতো আপনাকে😂। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ভিডিও কল এ দিদিকে রেখে এতগুলো চুরিদার যে আপনি দেখিয়েছেন, আপনার ও তো ধৈর্য্য কম নয় দাদা‌!! আপনার আর বেচারা সেলসম্যান দুজনের করুণ অবস্থা চিন্তা করে হাসি পাচ্ছে! যদিও হাসা টা বোধ হয় ঠিক হবে না 😂😂😂 কিন্তু চেপে রাখতেও পারলাম না। তবে তাও তো ভালো যে একসাথে চারটি সেট আপনার দিদির পছন্দ হওয়ায় বিক্রি তো হয়েছে!

 last year 

এই কথাটা একেবারেই ঠিক দাদা, মেয়েদের বাড়িতে যতই কাপড়চোপড় থাকুক না কেন, তারা রাস্তায় কাপড়চোপড় দেখলেই দাঁড়িয়ে পড়ে। হা হা হা...😁 তবে আপনার দিদির ধমক খেয়ে যে আপনি আদি ঢাকেশ্বরী বস্ত্রালয় চলে গেছেন চুড়িদার কেনার জন্য, এটাই সবথেকে মজার বিষয় ছিল। যাইহোক, অনেক ঘাটাঘাটি করে যে শেষ পর্যন্ত চারটে চুড়িদার পিস পছন্দ হয়েছে, এটাই বড় কথা। আজকাল তো মেয়েদের কোন কিছুই পছন্দ হতে চায় না।

 last year 

ভাইয়া আমি মনে করি দিদির জন্য কিছু কিনতে পারা মানেই দারুণ ভালোবাসা। তবে আপনার দিদির ঝাড়ি দেওয়ার বিষয়টা আসলেই একটু বেশি সুন্দর। ‍দিদিতো দিদি-ই