পুজো পরিক্রমা ২০২৪: মোহনবাগান সর্বজনীন
নমস্কার বন্ধুরা,
ভারতের ফুটবলের সাথে মোহনবাগান ক্লাবটির নাম ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে। সেই মোহনবাগান ক্লাবটি যে পাড়ায় আছে সেইখানে মোহনবাগান ক্লাবের উদ্যোগে দুর্গা পুজোও করা হয়। যদিও এই ক্লাবের পূজোতে খুব বেশি চাকচিক্য ছিলনা তবে যে বিষয়টা তারা সুন্দরভাবে মেনে চলে তা পুজোর আধ্যাত্মিকতা। কোন আলাদা রকম থিমের উপরে নয়। পুজোর মন্ডপ হয় সাধারণ এবং মায়ের প্রতিমা হয় অসাধারণ। মূলত কোন নির্দিষ্ট ভাবনাহীন যে কোন মন্ডপ যেমনভাবে তৈরি করা হয় তেমনি মোহনবাগান সর্বজনীন দুর্গা পুজো ২০২৪ সালের প্রতিবেদন। মন্ডপ গঠনে খুব বেশি কারু কাজ নেই অথচ মন্ডপের ভেতরে ঢুকে এক অদ্ভুত স্নিগ্ধতা বিদ্যমান ছিল। সিকদার বাগান মন্ডপ থেকে বেরিয়ে একদম উত্তর কলকাতার গলিতে যখন হারিয়ে গিয়েছে সেই সময় এ পথ সে পথ ধরতে ধরতে মোহনবাগান সর্বজনীন এর সামনে গিয়ে পৌঁছালাম।
যদিও সেটা সামনে নয়, আদবে মোহনবাগান সর্বজনীন পুজোর গর্ভ গৃহে পৌঁছেছিলাম। কারণ তাদের পুজো মন্ডপ টি বানানো হয় একটি গলির ভেতরেই। গলির মধ্যে মন্ডপটা বানিয়ে তারা পুজো করে। হাঁটতে হাঁটতে সেখানেই শুরুতে পৌঁছেছিলাম। মায়ের প্রতিমায় ছিল অদ্ভুত ধরনের স্নিগ্ধতা। মন্ডপের আলো, মন্ডপের অন্তরের সজ্জা সবই ছিল পরিমিত এবং খুবই সুন্দর। সত্যি কারের কথা বলতে গেলে বর্তমানে থিমের লড়াইয়ে এ যেন আলাদা ধরনের ভালো লাগা। মন্ডপের গর্ভ গৃহ থেকে শুরু করেই মণ্ডপের বাইরে পর্যন্ত পৌঁছলাম। অন্য সময় সাধারণত মণ্ডপের বাহির দরজা থেকে ধীরে ধীরে মন্ডপের গর্ভ গৃহে পৌঁছই এইখানে উল্টোটাই হল। তবে মায়ের দর্শন ছিল অতীব সুন্দর।
ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান দুই ক্লাব ই তাদের দুর্গাপুজো করে থাকে তবে এইভাবে পথ ভুলে মোহনবাগান সর্বজনীন দুর্গাপুজোর সাক্ষী হয়ে থাকবো সেটা সত্যিই কল্পনায় ছিল না।। যা হয় ভালোর জন্যই হয় দারুন এক অভিজ্ঞতা হলো শতাব্দী প্রাচীন এক ফুটবল ক্লাবের মা দুর্গার আরাধনা দেখে অত্যন্ত আপ্লুত হয়েছি।
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা
"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা
X-প্রোমশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao $PUSS

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.